শাহ মোহাম্মদ ফায়েক: ক‚টনৈতিক একটি গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল পেশা এবং উক্ত পেশায় সরকার যে সমস্ত ব্যক্তিদের নিয়োগ প্রদান করেন তাদেরকে গাড়ি, বাসভবন, বেতন ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকেন। সাধারণত একজন ক‚টনৈতিকের জন্য রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বর্থে প্রতিনিধিত্ব করাই তার প্রকৃত দায়িত্ব ও কর্তব্য। কিন্তু কোন ক‚টনৈতিক যদি একটি রাষ্ট্রের কেবল কোন একটি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করেন তাহলে ধরে নিতে হবে সে ক‚টনৈতিক পেশার জন্য অক্ষম এবং কার্যবিধি লঙ্ঘনের মাধ্যমে তার যথার্থ কর্তব্য ও দায়িত্বে অবহেলা করে ক্ষমতার উপেক্ষা করার সমকক্ষ। এ ধরনের অবহেলিত ক‚টনৈতিকরা দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত অকল্যাণকর।
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ঘাতকরা মর্মান্তিকভাবে হত্যা করেন, সেহেতু উক্ত দিন বাংলাদেশের জাতীয় শোক দিবস। আমরা দেখেছি পূর্বাবধি কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসটি অত্যন্ত সম্মানজনক ও গুরুত্ব সহকারে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। কিন্তু চলতি বছর করোনাকালীন সময়ের জন্য কানাডায় ২৫০ জনবিশিষ্ট যে কোনো সভা সমাবেশ করার জন্য সরকারিভাবে অনুমোদন থাকা সত্তে¡ও অটোয়াসহ হাইকমিশনের উদ্যোগে শোক দিবসটি কেবল ভার্চুয়াল মিটিং করেছেন, সেই সভা তেমন গুরুত্ব নিয়ে করা হয়নি। সভায় জাতির জনকের প্রতি যথেষ্ট সম্মান কিংবা শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কোন চেষ্টা ছিল না।
তার পরিবর্তে রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান সাহেব চৌদ্দ দলের নামে মন্ট্রিয়লে একটি ছোট্ট রেষ্টুরেন্টে শোক দিবস উদযাপনের অভিপ্রায়ে অনেককে টেলিফোনের মাধ্যমে নিজে দাওয়াত করে প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করে সভা করেন। তবে অত্যন্ত দুঃখজনক এবং কষ্টদায়ক বিষয় হচ্ছে, যে সমস্ত ব্যক্তিরা জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে সর্বদাই জঘন্য মন্তব্য, গালাগাল করেন সে সকল ব্যক্তিবর্গরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে যেখানে বাংলাদেশের মধ্যে চৌদ্দ দলের কোন অস্তিত্ব নেই সেখানে চৌদ্দ দলের নামে কানাডার মন্ট্রিয়ালে শোক দিবস পালন অতি বিস্ময়কর, রহস্যজনক ও নাটকীয় বিষয়। তাছাড়া কোন কোন দলের সমন্বয়ে চৌদ্দ দলের শোক দিবস পালন করেছেন তা জনসমাজে গোপনীয় ও রহস্যজনক বিষয়। আরো একটি তথ্য যোগ করতে হচ্ছে, খলিলুর রহমান কানাডার অটোয়াসহ বাংলাদেশ হাইকমিশনে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এটা ছিল প্রথম শোক দিবসের অনুষ্ঠান।
(শাহ মোহাম্মদ ফায়েক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওযামী লীগ, ক্যুইবেক, কানাডা)