মণিজিঞ্জির সান্যাল : শরৎ মানেই আকাশে বাতাসে খুশির হাওয়া। স্বচ্ছ নীল আকাশে গুচ্ছ গুচ্ছ সাদা মেঘের ভেলার ছোটাছুটি, নদীর ধারে কিংবা গ্রামের কোনো প্রান্তে হালকা হাওয়ায় দোল খাওয়া শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতা। দোলনচাঁপা, বেলি, শিউলি, শাপলা ফুলের অবারিত সৌন্দর্য নিয়ে আসে শরৎ। গ্রীষ্মের কাঠফাটা রোদ্দুর আর বর্ষার অঝোর ধারায় শ্রাবণের পর শরতের এই মেঘ, এই বৃষ্টি, আবার এই রোদের রৌদ্রছায়া খেলায় মুগ্ধ হয়ে আমাদের মন রবিঠাকুরের সুরে সুর মিলিয়ে গেয়ে উঠতে চায় —
“নীল আকাশে কে ভাসালে
সাদা মেঘের ভেলা রে ভাই
লুকোচুরি খেলা …
আজ ভ্রমর ভোলে মধু খেতে
উড়ে বেড়ায় আলোয় মেতে;
আজ কিসের তরে নদীর চরে
চখা-চখীর মেলা …”
শরতের স্নিগ্ধ জ্যোৎস্নার রাত্রি ভালোলাগায় হৃদয়কে ছুঁয়ে দেয়না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। পৃথিবীর এখন গভীর অসুখ, তবুও শরতের স্নিগ্ধ রূপ যে কাউকে মুগ্ধ করবে। শরতের ভোরের কুয়াশা আমাদের মনকে স্নিগ্ধ করে তোলে। সকাল বেলা কুয়াশা পড়া শুরু হয়। সেই সঙ্গে কুয়াশার ওপরে যখন সকালের সোনালি সূর্যের আলো এসে পড়ে তখন শিশির বিন্দু মুক্তার দানার মতো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সে এক আনন্দময় সুখকর স্মৃতি, এক চমৎকার দৃশ্য।
আমরা সবাই জানি বাঙালি এক উৎসবমুখর জাতি। সারা বছর ধরে আমরা মেতে থাকি বিভিন্ন উৎসবে। সেই আনন্দ উদ্দীপনা যেমন বইমেলা, ফিল্ম ফেস্টিভ্যালকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে; তেমনই থাকে বিভিন্ন ধর্মীয় রীতির প্রস্তুতি। দুর্গাপূজা, কালীপূজা, সরস্বতী পূজা, গাজন-চরক উৎসবের মতন বাঙালিদের আরও এক অন্তরের উৎসব হল বিশ্বকর্মা পুজো।
শরৎ ঋতুর প্রথম আনন্দই শুরু হয় বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে। এই সময়ে পুজো পুজো রব প্রতিটি মানুষের হৃদয়ের অন্তরালে। সেদিনই যেন পুজোর সূচনা পর্ব।আকাশ জুড়ে শুধুই রঙের খেলা। এই সেই বিশ্বকর্মা পুজো যার প্রধান ও অন্যতম আকর্ষণই হল ঘুড়ির টানটান লড়াই, আর তার কিছু সময় পরেই ‘ভোকাট্টা’। হাতে কঞ্চির লাঠি, গাছের ডাল নিয়ে কাটা ঘুড়িটির দিকে তাকিয়ে দে দৌড়। ঘুড়িটি মাটিতে নামবার আগেই লুঠ হয়ে যায় নিপুণ দক্ষতায়।
কয়েক বছর আগেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে এটিই ছিল গ্রাম বাংলার পরিচিত ছবি। শুধু গ্রাম বাংলাই নয়, শহরেও এই আয়োজন কম ছিল না। প্রতিটি বাড়ির ছাদে সকাল থেকেই ভিড়। হৈ চৈ শুরু হয়ে যেত পুরো পাড়াটায়।
বিশ্বকর্মা পুজোর সঙ্গে ঘুড়ি ওড়ানোটা সমার্থক। বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশজোড়া ঘুড়ির আলপনা। অসংখ্য ঘুড়ির ভেলায় যেন স্বপ্ন ভাসে। বহু কৈশোর আর যৌবনের মাঞ্জায় লেগে আছে ঘুড়ি ওড়ানোর স্মৃতি। যে ছেলেটা কোনওদিন সকাল দেখেনি, সেও বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সূর্য ওঠার আগেই ঘুড়ি-লাটাই নিয়ে ছাদে উঠে যায়। বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে ভেসে আসে ‘ভো কাট্টা’ চিৎকার। সমস্বরে চিৎকারের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে কাঁসর-ঘণ্টা। ঘুড়ি ওড়ানোকে কেন্দ্র করে চলে অলিখিত এক প্রতিযোগিতা। তার আগে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। সুতো কেনা, কাচ গুঁড়ো করা, মাঞ্জা তৈরি করা কিংবা সুতো শুকানো। সেই উৎসাহকে ঘিরে মাঝেমাঝেই বাড়িতে অশান্তি কিংবা মারধর বাঁধা ছিল ছেলেদের।
ভো-কাট্টা’ চিৎকারটা বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে হয়ে উঠত ‘জাতীয় শব্দ’। ঘুড়ি কাটা পড়লেই চিৎকার উঠত বিভিন্ন ছাদ থেকে। সেই চিৎকারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকত অনেকের রোমান্সও। ছাদে ঘুড়িতে ঘুড়িতে কাটাকাটির খেলার অগোচরে অনেকের মন দেওয়া নেওয়ার ঘটনা ঘটে যেত। ছাদে ছাদে আড়চোখে চাউনির মধ্যে মিশে যেত কত নিঃশব্দ আহ্বান। ভেসে যায় ঘুড়ি, পেটকাটি চাঁদিয়াল, বগ্গা। ভেসে যায় মনও।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে হারিয়ে গেছে ঘুড়ি ধরতে যাওয়া সেই সব ছেলেগুলো। পেটকাটি, চাঁদিয়ালদের কদর কমেছে। ঘুড়িতে লেগেছে চোখ ধাঁধানো এলইডি আলো। বদলে গিয়েছে মাঞ্জার উপকরণ, লাটাইয়ের নকশা।
অতীতে বিশ্বকর্মা পুজোর কয়েক দিন আগে থেকেই ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যেত। বাঁশের ছোট ছোট কাঠি লাগিয়ে বানানো হতো ঘুড়ি। তুলোর সুতো কিনে সাবু ও কাঁচের গুড়ো মিশিয়ে তৈরি হতো মাঞ্জা। তারপর বিভিন্ন বাড়ির ছাদ, মাঠ, জলাজমিতে দাঁড়িয়ে দল বেঁধে চলত ঘুড়ির লড়াই। আকাশজোড়া সেই লড়াই দেখতে ভিড় জমে যেত।
আগেকার দিনের মানুষেরা সেইসব ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে যায় তাদের। গ্রাম বা শহর প্রতিটি মানুষই তাদের মতো করে সেইসব দিনগুলোকে উপভোগ করতেন। মিষ্টি মধুর ছিল সেইসব দিন।
এই শরৎ ঋতুতে ছেলেবেলা কিভাবে যেন তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। পাড়ার ছেলেরা মিলে মাঠে ঘুড়ি ওড়ানো, তারপর কেটে যাওয়া ঘুড়ি ধরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। বাড়ি ফিরে মায়ের কাছে শেষে বকুনিও খাওয়া।
এক একজনের স্মৃতি এক একরকম। কারো কারো জীবনে ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ করার জন্য বাবা লাটাই ভেঙে দিতেন। সুতো ছিঁড়ে দিতেন। তারপরেও তাদের ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ হয়নি। কোনও ঘুড়ি কেটে দেওয়ার মধ্যে কী যে আনন্দ। আজকের এই নতুন প্রজন্মের কাছে এই আনন্দ অজানা। কারণ এখন দিলকাল বদলেছে। বিশ্বকর্মা পুজোর সারা দিনে সেভাবে ঘুড়ি উড়তে দেখা যায় না। এখন বাড়িতে ঘুড়ি কিংবা মাঞ্জা তৈরির চল স্বপ্ন মাত্র। এখন খুব বেশি হলে দোকান থেকে ঘুড়ি এবং মাঞ্জা কেনে অনেকে। ঘুড়ি বিক্রেতাদের থেকে জানা গিয়েছে, বছর কয়েক ধরে মাঞ্জার উপকরণে তুলোর সুতোর বদলে নাইলন আর সিন্থেটিক সুতোর ব্যবহার হয়। কারণ ঘুড়ির কাটাকাটিতে এই সুতোর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু এই সুতোয় ঘুড়ি ওড়াতে গেলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। ঘুড়িপ্রেমীরা এমন সুতো ব্যবহারে তেমন মজাও পান না। কিন্তু বাজারে এখন এই সুতোরই দাপট।
কিন্তু বর্তমানে এই ঐতিহ্য ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ার পথে। এখন আকাশে আর ক’টা ঘুড়ি চোখে পড়ে! বাচ্চারা সব মোবাইল ফোন আর ল্যাপটপে চোখ রেখে বন্ধ চার দেওয়ালের মধ্যে গেম খেলতেই ব্যস্ত। জায়গার অভাব না ডিজিটাল যুগ, কোনটা যে প্রকৃত কারণ সেটাই স্থির করা কঠিন।
বিশ্বকর্মা পুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের রাজ্যে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রথা চালু বহুদিন থেকেই। ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ কিন্তু সারা বিশ্বেই চালু আছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ঘুড়ি ওড়ে। ত্রিপুরাতেও বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। কিন্তু কেন যে বিশ্বকর্মা পুজোতেই ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ চালু হয়েছে তা কেউই জানে না।
বিশ্বে প্রথম ঘুড়ি উড়েছিল চীন দেশে। যিশুর জন্মের অনেক আগে। এই নিয়ে একটি চীনা লোককথা প্রচলিত আছে। এক চাষি মাঠে কৃষিকাজ করে বাড়ি ফিরছিলেন। এমন সময় প্রবল ঝড় উঠল। বারবার তাঁর মাথার টোকা উড়ে যেতে থাকল। অত বড় টোকাটাকে সামলাতে না পেরে তিনি সেটাকে হাতের দড়িগাছা দিয়ে বাঁধলেন। তখনই একটা বড় হাওয়া এসে টোকাটাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। টোকা ওড়ে আকাশে। হাতের দড়িও চাষি একটু একটু করে ছাড়তে থাকেন। অন্যরা সেটা দেখে খুব মজা পেলেন। এটাই নাকি পৃথিবীর প্রথম ঘুড়ি ওড়ানো বলে মনে করা হয়।
প্রথমদিকে কিন্তু ঘুড়ি ওড়ানো বিনোদনের মাধ্যম ছিল না। দূরত্ব মাপার জন্য, সংবাদ প্রেরণের জন্য বা যুদ্ধে সাংকেতিক বার্তা পাঠানোর জন্য ঘুড়িকে ব্যবহার করা হতো।
পরের দিকে ঘুড়ি বিনোদনের মাধ্যম হয়ে ওঠে। ক্রমে তা চীন থেকে ভারত, কোরিয়া, কম্বোডিয়া সহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটক মার্কো পোলো ঘুড়ি ওড়ানো দেখে খুব মজা পেয়েছিলেন। ইউরোপে তিনি নিয়ে গেলেন ঘুড়ি। কিন্তু সেখানে তেমন সাড়া মিলল না। তবে ঘুড়ি বিজ্ঞানের কাজেও সাহায্য করেছে। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন ঘুড়ি উড়িয়ে বিদ্যুৎ আবিষ্কার করেছিলেন।
আজ ঘুড়ি ওড়ানোকে কেন্দ্র করে সারা বিশ্বে অসংখ্য প্রতিযোগিতা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসে বিভিন্ন ধরনের ঘুড়ি। মাছ ঘুড়ি, প্রজাপতি ঘুড়ি, ড্রাগন ঘুড়ি ইত্যাদি। এখনও বিশ্বকর্মার পুজোয় ঘুড়ি ওড়ে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই নিয়ে আগ্রহ কম থাকলেও আকাশ এখনও ভরে যায় নানা রঙের ঘুড়িতে। আকাশের দিকে তাকিয়ে ঘুড়ি ওড়া দেখে প্রবীণরা যেন ফিরে পান তাঁদের নানা রঙের দিনগুলিকেই।
কিন্তু প্রশ্ন হল বিশ্বকর্মা পুজোতে ঘুড়ি ওড়ানো হয় কেন?
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশে ঘুড়ির মেলা। পেটকাটি চাঁদিয়াল, ময়ূরপঙ্খী কত রকমের ঘুড়ি শোভা পাবে এই দিনের আকাশে। এই দিন সকাল থেকেই শরতের আকাশ দখল নেয় রং বাহারি ঘুড়ির বাহারে। এই দুটো বছর করোনা আবহে সব উৎসব ফিকে হয়ে গেলেও ঘুড়ির উৎসবে কিন্তু তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং লকডাউনের জেরে কচিকাচারা আগে থেকেই মেতে উঠেছে ঘুড়ি নিয়ে।
কিন্তু এই দিন ঘুড়ি কেন ওড়ানো হয়?
পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা হলেন দেবলোকের কারিগর। যাকে বলা যায় দেবতাদের ইঞ্জিনিয়ার অথবা প্রকৌশলী। ব্রহ্মার আদেশে বিশ্বকর্মা দেব এই ধরাধামকে নিজে হাতে তৈরী করেন। কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারকা নগরী গড়ে ওঠার পিছনেও রয়েছে এই দেবতার হাত। ঋগবেদ অনুসারে, বিশ্বকর্মা হলেন স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যা অথবা স্থাপত্য বিদ্যার জনক। বিশ্বকর্মা দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথও তৈরি করেছিলেন। তা স্মরণ করতেই পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু হয়। শ্রমিক, ইঞ্জিনিয়ার, বিল্ডার,কারিগরদের কাছে এ’ হল এক বিশেষ দিন। যেসব জায়গাতেই যন্ত্র-কারিগরির কাজ হয় সেখানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে।
এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল বেশি ছিল উত্তর কলকাতায়। তখন আড্ডা চলত পাড়ার মোড়ে মোড়ে। কথিত আছে, রাজ আমলে বর্ধমান রাজবাড়িতেও ঘুড়ি ওড়ানোর চল ছিল। রাজা মহতাবচাঁদ নাকি নিজেই ঘুড়ি ওড়াতেন। বর্ধমানের রাজারা এসেছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে। সেখানে ঘুড়ি উৎসব বেশ জনপ্রিয়। বর্ধমানের রাজাদের হাত ধরেই বর্ধমানে ঘুড়ি উৎসবের চল বলে মনে করা হয়।
তখনকার দিনের বেশ কিছু অর্থবান ব্যক্তি নিজের অর্থ-প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়ির সঙ্গে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন। এমনও শোনা যায় অনেক রাজা জমিদার নাকি, টাকা জুড়ে আস্ত ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে ছাড়তেও কার্পণ্য বোধ করতেন না।
আমরা প্রায়ই ধর্মীয় বইয়ের পাতায় ছবি অথবা টেলিভিশনের পর্দায় কোনও দেবলোক কেন্দ্রিক সিরিয়াল দেখতে গিয়ে দেখেছি, দেবতারা অপূর্ব কারুকার্যময় রথে করে আকাশপথে উড়ে যাচ্ছেন। জেনে রাখা ভালো, বিশ্বকর্মা দেবতাদের আকাশ-রথেরও প্রস্তুতকারক ছিলেন। এছাড়াও দেবতাদের হাতে থাকা অস্ত্রগুলিও তাঁরই সৃষ্টি। বলা চলে বিশ্বকর্মা এই উড়ন্ত রথকে স্মরণ করতেই, তাঁর পুজোর দিন ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু হয়।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ‘কন্যা সংক্রান্তি’-র দিনে এই বিশ্বকর্মা পুজো পালন করা হয়। সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বকর্মা পূজিত হন।
প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। এর কারণ হল হিন্দু উৎসবের মধ্যে এটিই একমাত্র যা পালন করা হয় সূর্যের ওপর ভিত্তি করা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী। আর অন্যান্য পুজোগুলি পালন করা হয় চন্দ্রের ওপর ভিত্তি করা ক্যালেন্ডারের ওপর। বিশ্বকর্মা পুজো এমন সময় পালিত হয় যেদিন সূর্য সিংহ রাশির ঘর ছেড়ে কন্যা রাশিতে পা রাখে। তাই দিনটিকে কন্যা সংক্রান্তি দিবস বলা হয়ে থাকে।
বিশ্বকর্মা পুজো মূলত উত্তর-পূর্ব ভারতেই বেশি লক্ষ্য করা যায়। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, অসম, ওড়িশা এবং ত্রিপুরায় এই উৎসব পালন করা হয়।
মণিজিঞ্জির সান্যাল : কথা সাহিত্যিক, শিলিগুড়ি, দার্জিলিং
পশ্চিমবঙ্গ