স্পোর্টস ডেস্ক : দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই ম্যাচে মাঠে নেমেছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কিন্তু ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মাথায় চার ফুটবলারের কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে বিতর্ক শুরু হলে মাঠ ছাড়ে লিওনেল মেসিরা। যদিও স্বাগতিক দল ব্রাজিলকে মাঠের এক পাশে ওয়ার্মআপ করতে দেখা যায়। মাঠ ছাড়ার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ব্রাজিল ত্যাগ করে আলবিসেলেস্তারা। জানা গেছে, স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেপ্তার এড়াতেই এত তড়িঘড়ি করে ব্রাজিল ছেড়েছে তারা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে শুরু থেকেই ইংলিশ ক্লাবগুলো ফুটবলারদের ছাড়তে রাজি হয়নি। কেননা দুই দেশের কোয়ারেন্টিন ইস্যুতে পড়ে অনেক ম্যাচই খেলতে পারবে না তারা। এমন পরিস্থিতি ব্রাজিলের ৯ ফুটবলারই ছিল ইংল্যান্ডে। তবে ইংলিশ লিগে থাকা চার আর্জেন্টাইন ঠিক যোগ দিয়েছে দলে। একই সঙ্গে কোয়ারেন্টিন না করেই ভেঙেছে স্বাস্থ্যবিধি।
ব্রাজিলের ম্যাচের আগে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে খেলে এসেছে তারা। তবে ব্রাজিলের স্বাস্থ্যকর্মীরা শুরু থেকেই ওই চারজনকে নিয়ে আপত্তি তুলতে থাকে। রোববার রাতে ম্যাচ শুরুর পর হঠাৎ করে স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে মাঠে প্রবেশ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ সময় ১০ মিনিটের ব্যবধানে মাঠ ত্যাগ করে লিওনেল স্কোলানির দল। তার খানিক পরই তারা বিশেষ বিমানে আর্জেন্টিনার এজেইজাতে অবতারণ করেন। তাদের সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত ওই চার ফুটবলারও।
ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের কঠোর কোয়ারেন্টিন বিধি ভাঙার কারণে আর্জেন্টাইন ওই চার ফুটবলার গ্রেপ্তার হতে পারতেন। কেননা অভিযোগ উঠেছে, ইমিগ্রেশনের কাছে তথ্য গোপন করেছে আর্জেন্টিনা দল। তবে ম্যাচ বাতিলের কারণ হিসেবে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট যোগ হতে পারে আর্জেন্টিনার নামের পাশে। কনমেবলের নিয়মানুযায়ী এমনটাই হবার কথা। যদিও বা আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।