সোনা কান্তি বড়ুয়া : জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! বাংলাদেশ জুড়ে জনতা একতাবদ্ধ হয়ে আজও বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদে। মুজিব চিরন্তন! “এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ, / মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান।” দেশপ্রেমের ঝর্ণাধারায় ১৫ই আগষ্ট স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জাতীয় শোক ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী! আমাদের স্বাধীনতার জাতীয় ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, একটি জাতির পরিচয় ও অস্তিত্বের অভিনব স্বাক্ষর। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি যখন দেশের জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে করে সদর্পে ঘুড়ে বেড়ায়, তখন মুক্তিযোদ্ধারা কিছুতেই শান্তিতে থাকতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর শত-সহস্র শহীদের রক্তে রাঙা জাতীয় পতাকা বারবার অসম্মানিত হয়েছে। আসলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল খুনিরা।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবিতা লিখেছিলেন,
“রূপ-নারানের ক‚লে
জেগে উঠিলাম,
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।
রক্তের অক্ষরে দেখিলাম
আপনার রূপ,
চিনিলাম আপনারে
আঘাতে আঘাতে
বেদনায় বেদনায়;
সত্য যে কঠিন,
কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,
সে কখনো করে না বঞ্চনা।
আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন,
সত্যের দারুণ মূল্য লাভ করিবারে,
মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ ক’রে দিতে।”
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাযজ্ঞ মহাপাপে নিমগ্ন রাষ্ট্রদ্রোহীগণ! এবং আমাদের সময় (১০ই জুলাই, ২০০৭) পত্রিকায় হেডলাইন সংবাদ ছিল, “জেহাদের প্রস্তুতি নিতে সারা দেশে প্রচার পত্র বিলি করেছেন নিষিদ্ধ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির অন্যতম নেতা মুফতি মুনসূরুল হক। তার লেখা বইয়ের নাম “আফগান জিহাদ।” বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুচক্রি খন্দকার আবদুর রশিদ ও তার পরিবারের লোকজন আগে লিবিয়াতে থাকতেন। সেখানে তিনি নির্মাণ ব্যবসা শুরু করেন। ঘন ঘন পাকিস্তানেও যাতায়াত ছিল তার। তবে গাদ্দাফির পতনের পর তিনি এখন কোথায়, তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। ডালিম পাকিস্তানেই রয়েছেন বলে জানা যায়। সেখানে তিনি ব্যবসা করছেন। মাঝেমধ্যে তিনি লিবিয়া ও কেনিয়ার নাইরোবি যাতায়াত করেন ব্যবসার কারণে। এ দু’জনকেও শাস্তি দিতে বদ্ধপরিকর বাংলাদেশ সরকার। এবং আমাদের সময় (১০ই জুলাই, ২০০৭) পত্রিকায় হেডলাইন সংবাদ ছিল, জেহাদের প্রস্তুতি নিতে সারা দেশে প্রচার পত্র বিলি করেছেন নিষিদ্ধ হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামির অন্যতম নেতা মুফতি মুনসূরুল হক। তার লেখা বইয়ের নাম “আফগান জিহাদ”।
বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস বুকে চেপে ২১ বছর ধরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের (১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট) বিচার এবং বঙ্গবন্ধু বা তার পরিবারকে হত্যার ঘটনাটি কোনো বিশেষ দিনের ঘটনা নয়। এটি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের গভীর ষড়যন্ত্র। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জেনারেল জিয়াউর রহমান (BNP) জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (Jatiya) এবং খালেদা জিয়া (BNP) সরকার করলেন না! মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তান বহুদিন ধরেই এর ছক কষে। তাই মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে খুনিদের পাশাপাশি কুচক্রিদের ও শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। আশার কথা, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সেই কর্তব্যে অবিচল বাংলাদেশ! জাতির পিতৃ হত্যা মহাপাপে রাষ্ট্রদ্রোহীগণ তিলে তিলে ক্ষয়।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেখ হাসিনা সরকারই করেছেন! শেখ হাসিনা সরকারই RULE OF LAW IN BANGLADESH এটা সম্ভব করেছেন! What do we mean by election in BNP, Jatiya Party, Jamate Islamic Party and other Political Parties? Present situation is the survival of Bangladesh and its 1972 Constitution. জয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জয়! প্রতিটি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়ায় আলেমদের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন তিনি। ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জিয়ার ভাস্কর্য যখন নির্মাণ করা হয়েছিল তখন সংসদে সাঈদী, গোলাম আজম, মুজাহিদ, Matiur Rahman নিজামীরা ছিল। তখন কি ভাস্কর্যের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেছিল সংসদে? তখন হেফাজতের পীর সুফি, চরমোনাইয়ের পীর, গলাবাজ মামুনুল হকরা কোথায় ছিল?
বঙ্গবন্ধুর সাধনা ছিল বাংলাদেশে জাতীয় জীবনে স্বাধীনতার আলো জ্বালাতে! দুষ্টের দল আঁধারের যাত্রী বিএনপি মার্কা রাজাকার মিশে গেছে জামায়তে। “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম!” বজ্রযোগীনির বজ্রকন্ঠে বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টিদান! “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম” জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অমর অবদান।

কবি সোনা কান্তি বড়ুয়ার স্বরচিত কবিতায় :
অমরত্বের বরপুত্র মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বাংলাদেশের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর অমর অবদান।
’৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর মুকুট তো পড়ে আছে,
জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবার স্বজনকে কেন মেরেছে?
বঙ্গবন্ধুকে কারা মেরেছে, জনতা জানতে চায়,
জাতির পিতৃ হত্যা মহাপাপ, বিশ্বাসঘাতকদল তিলে তিলে ক্ষয়।
স্বাধীনতার দীপ ছিল, শিখা ছিল সব ছিল হায়
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আজ তুমি কোথায়?
যখন জাতির মাথায় ভেঙ্গে পড়লো বাংলার আকাশ
নিশুতি রাত গুমরে কাঁদে দেশে বিশ্বাসঘাতকতার বাতাস!
দেশের রক্তাক্ত আকাশের উপর সূর্য ওঠেছে ওই
জন্মভূমি বাংলা মা গো তোমার শহীদ ছেলেরা কই?”

মুক্তির মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ও পরিবারের প্রায় সকল সদস্যদের শাহাদাত বরণের দিন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সাল। শুধু বাংলাদেশ নয়; সভ্যতার ইতিহাসে নিকৃষ্ট এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের পরিশিষ্ট। দানবরূপী হিংস্র ঘাতক সৃষ্ট বর্বরতা ও নৃশংসতায় অভিশপ্ত হত্যাযজ্ঞের আচ্ছাদনে নিষ্ঠুর-নির্মমতায় আবৃত এক কঠিন শোকের দিন। শোকাবহ আগস্টের এই দিনে তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন এবং মহান স্রষ্টার দরবারে তাঁদের আত্মার অফুরন্ত শান্তি প্রার্থনা করছি। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কদর্য বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু হত্যার সম্ভবত প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পৃথিবী নামক এই গ্রহের মানচিত্রে লালসবুজের পতাকাবাহী প্রাণবিসর্জন ও ত্যাগের মহিমায় অবিনশ্বর ইতিহাসকে পাল্টে দিয়ে বাংলাদেশের সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করানি

“ক্ষমতার দম্ভ , খ্যাতির দম্ভ, বিত্তের দম্ভ এসব কিছুই নিমিষেই যে কোনো সময় চুপসে যেতে পারে। বড় কোনো শক্তির কাছে নয়। অতি ক্ষুদ্র এক আণুবীক্ষণিক ঈড়ৎড়হধ ভাইরাসের কাছে। পুরো দুনিয়াটাকে অচলাবস্থায় নিয়ে যেতে পারে খালি চোখে অদেখা এক ভাইরাস। তাই আমাদের সব রকমের দম্ভকে যেন আমরা সব সময় নিয়ন্ত্রণের মাঝেই রাখি। Corona ভাইরাস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে- কত স্বার্থপর আমরা! “Said Mr. Bill Gates. আগামি দিনের ইতিহাসে “বঙ্গবন্ধু অবদান” কাহিনী হয়ে বিজয় সিংহ এর ‘সিংহল অবদান’ এর পাশে সগৌরবে দেদীপ্যমান হয়ে থাকবে। সময় এসেছে সা¤প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। সামরিক শাসকগণের দুর্নীতির মাফিয়াচক্র থেকে বাঁচতে বঞ্চিত সর্বহারা মানুষ তাই আশ্রয় খুঁজেছে শেখ মুজিবের ভাষণে এবং বুদ্ধিজীবিদের লেখার মাধ্যমে।

মানুষের অন্তরে ধর্মান্ধের পশু রাজত্ব করছে। মুসলমান সন্ত্রাসীদের হাতে প্রতিশোধের হত্যাযজ্ঞ রাজনীতি মানব জাতির জন্যে মর্মান্তিক অশনি সংকেত। ধর্মান্ধের হিংসা উন্মত্ত রাজনৈতিক ধর্ম মানবতাকে ধ্বংস করেছে! বাংলাদেশে অমানবিক জামাতসহ বিভিন্ন ইসলামিক সন্ত্রাসী দল সাম্রাজ্যবাদই তৈরী করেছে “আহা রে হজ যাত্রীর নামে সউদিতে উগ্র মৌলবাদী পাচার হচ্ছে (যায়যায়দিন, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৮)।”

ইতিহাস সত্যের জয় ও মিথ্যার পরাজয় ঘোষণা করে। বাঙালী মহাপ্রাণ নেতাগণসহ বঙ্গবন্ধু বহু চড়াই-উৎরাইর মধ্যে দিয়ে এবং ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে সমাজে সত্য প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ। আজও বাঙালি বিবেক প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে। বিশ্বাসঘাতক রাষ্ট্রদ্রোহী সেনাশাসকগণ মর্মন্তিকভাবে নির্বিচারে গুলি করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল বাহাত্তরের সংবিধান এবং বঙ্গমাতাকে।

অমরত্বের বরপুত্র শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্ত করেছেন “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই সুকীর্তি এবং সুকর্ম মানুষকে অমরত্ব দান করে, যা মানবজাতিকে সব ধরনের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির পথ দেখায়। আমাদের সব রকমের দম্ভকে যেন আমরা সবসময় নিয়ন্ত্রণের মাঝেই রাখি। ঈড়ৎড়হধ ভাইরাস স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে- কত স্বার্থপর আমরা! অভিশপ্ত রাজনীতির বিদায়ের পর ও আলোকিত জনতা উপলব্ধি করেছেন ধর্মীয় রাজনীতির বর্ণবাদ প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম নয়। ইতিহাসে জাতির পিতা, Relatives and Leaders হত্যাযজ্ঞে মানবতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার মানচিত্রের কলংকিত নায়ক দেশের সেনাশাসকগণ এবং ২০০৫ সালের ৩০শে আগস্ট হাইকোর্টের রায় ছিল উক্ত সেনাশাসকগণ রাষ্ট্রদ্রোহী।

অহিংসা মানব জাতির পরম আশ্রয়। আজ বাংলাদেশে জনতা একটি বিপন্ন রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বাংলাদেশে প্রতারক রাজনীতিবীদগণের চরিত্র কয়লার মত শত ধুলেও ময়লা যায় না। প্রতারণার রাজনীতিতে দেশ ও জাতি স্বাধীনতায় অমৃতের সাধ ভোগ করতেও পারেননি। আজ দেশ ও জগৎ জুড়ে যে গভীরতম অসুক তার জন্যে মানুষের সবর্গ্রাসী লোভ এবং অমানবিক সাম্রাজ্যবাদই তৈরী করেছে “আহা রে মানুষ একটি বিপন্ন প্রজাতি।” মাজের মুষ্টিমেয় রাজনীতিবিদগণ ও ধনিরা উচ্চশিখরে বসে সমস্ত ভোগবিলাস ভোগ করেছে। আর দুঃখীদের শ্রেণীতে চলছে নিদারুণ অভাব, দারিদ্র ক্ষধুা, পীড়ন, শোষণ, বর্জন, যন্ত্রণা ও মৃত্যুভয় এখনও সর্বত্র নৈরাশ্য-নৈরাজ্য। আজকের বাঙালী সমাজ শোষিত, নিপীড়িত, লাঞ্ছিত ও পাকি দালারদের দ্বারা অপমানিতের সমাজ।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ‘এই সব মূঢ় ¤øান মুখে দিতে হবে ভাষা, / এই সব শ্রান্ত শুস্ক-ভগ্ন বুকে ধ্বনিয়া তুলিতে হবে আশা’ নিয়ে দেশ ও দশের মঙ্গল সাধন করার অধিকার কি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছিল না? সামরিক শাসকগণের দুর্নীতির মাফিয়াচক্র থেকে বাঁচতে বঞ্চিত সর্বহারা মানুষ তাই আশ্রয় খুঁজেছে শেখ মুজিবের ভাষণে এবং বুদ্ধিজীবিদের লেখার মাধ্যমে। সময় এসেছে সা¤প্রদায়িক ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। বাংলাদেশের মানুষের জনগণ মন অধিনায়ক বঙ্গবন্ধু জয় হে বাংলার মর্মভেদী দেবদূত শেখ মুজিবুর রহমান।

বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ বীর পুরুষ সর্বকালের ইতিহাস প্রধান জয় হে, জয় স্বাধীনতার বীর পুরুষ! করে গেলে শতাব্দীর অগ্নি। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও শীলতাহানির কারণে আজ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘরে ভাত নেই। কারণ জামাত জেঃ জিয়ার সাথে ষড়যন্ত্র করে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ সালে রাষ্ট্রক্ষমতাসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতের থালা ও বাসস্থান কেড়ে নিয়েছে।
আল্লাহ রসুল কেতাব কোরান / দেয় না এদের আলো / মনটা এদের ভীষণ জটিল / কুটিল কঠিন কালো।” যৌবনের কবি সুকান্ত ভট্টাচাযর্ বলেন, “বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাটি বুঝে নিক দুর্বৃত্ত। বিগত খালেদা- মইত্যা রাজাকার জোট সরকার আইন করে জাতির পিতার জাতীয় শোক দিবস সরকারিভাবে পালন করা বন্ধ করে দেন। দুর্নীতিবাজ জোট সরকারের পৈশাচিক উল্লাসনৃত্যের আমলে ৫০০ বোমার প্রতিধ্বনিতে আল কায়দার হায়নারা চট্টগ্রামের গহন বনে প্রবেশ করে কোথায় হারিয়ে গেল? খালেদা-নিযামী সব জানেন কিন্তু ‘না জানার ভান করে আছেন। উক্ত অভিশপ্ত প্রতারক জোট সরকারই বিরাজমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার জন্য দায়ী এবং দেশ ও জাতির কত যে সর্বনাশ করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। উক্ত দুঃখভরাক্রান্ত পরিস্থিতিতে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে মনে পড়ে স্বাধীনতার কবি শামসুর রাহমানের একটি বিখ্যাত কবিতা এবং পাঠক উক্ত কবিতার মধ্যে খুঁজে পাবেন ফেলে আসা জোট সরকারের বাস্তবচিত্র:

‘হে পাক-পরওয়ার দিগার, হে বিশ্ব পালক,
আপনি আমারে লহমায়,
একজন তুখোড় রাজাকার করে দিন।
তেলা মাথায় তেল ঢালতে পারবো অবিরল,
গরিবের গরিবী কায়েম চিরদিন আর
মুক্তিযোদ্ধাদের গায়ের চামড়া দিয়ে ডগুডুগি বানিয়ে নেচে বেড়াবো দিগবদিগ
আর সবার নাকের তলায়
একনিষ্ঠ ঘুনপোকার মতো অহর্নিশ
কুড়ে কুড়ে খাবো রাষ্ট্রের কাঠামো অবকাঠামো’

বাংলাদেশে ক্ষমতার লোভে জেঃ জিয়া এবং জেঃ এরশাদ সহ জন প্রতিনিধিগণ বাহাত্তরের সংবিধানকে বার বার অনেকবার হত্যা করে নিজেদের রাজনৈতিক লোভ লালসা চরিতার্থ করতে ইসলাম ধর্মকে অপব্যবহার করে রাষ্ঠ্রধর্ম ইসলাম ঘোষনা করেছিল। সংবিধান রাষ্ঠ্রের দলিল, ধর্মগ্রন্থ নয় /রাগ বিরাগের বশবর্তী না হওয়ার অঙ্গীকারে রাষ্ঠ্রধর্ম ভয়। পছন্দ অপছন্দের কারনে / দৈনিক যুদ্ধে কুরুক্ষেত্র ও কারবালা / বিভিন্ন ধর্মের দেশে সংবিধানে কেন রাষ্ট্রধর্মের ঠেলা? সংখ্যা গরিষ্ঠ ধর্মীয় স¤প্রদায় সহ বাংলাদেশের মালিক কোন ধর্মীয় গোষ্ঠি নয়। সকল ধর্মের প্রতি নিরপেক্ষ থাকা রাষ্ঠ্রশক্তির বাঞ্ছনীয় বা ষ্টেট ট্রিটস অল রিলিজিয়নস উইদ আউট ফিয়ার (ভয়) এন্ড ফেভার (আসক্তি বা ভালো লাগার কারনে)। ধর্ম অপব্যবহারের চিরন্তন অভিশাপ নিয়ে / সেই ফিরে এলো আবার। / ধর্মের নাম ধরি অধর্ম লোভ ক্রোধ / বানায় রাজাকার, কাফের বা চন্ডাল / ধর্ম নিরপেক্ষতা সংবিধানে আর নেই / বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কি গেল রসাতল? / জড়িয়ে ধরেছি যেই সংবিধানকে সেই কি আমার নয় ? জয় বাংলা জয় ! জয় বাহাত্তরের সংবিধানের জয়।

লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!