স্পোর্টস ডেস্ক : অলিম্পিক ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে সঠিক পথেই আছে ব্রাজিল। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকে এখন সেমিফাইনালের মঞ্চে গত অলিম্পিকের সোনা জয়ীরা। আজ (শনিবার) টোকিও অলিম্পিকে ছেলেদের ফুটবল ইভেন্টের শেষ আটের লড়াইয়ে মিসরকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।

পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক দিয়ে প্রথমবার ক্রীড়াযজ্ঞের ছেলেদের ফুটবল ইভেন্ট থেকে সোনা জিতেছিল ব্রাজিল। সেবার তাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নেইমার। টোকিও অলিম্পিকে প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ড না এলেও দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে ব্রাজিল। এবার তাদের স্বপ্নযাত্রার নেতৃত্বে রিচার্লিসন। মিসরের বিপক্ষে স্কোরশিটে তার নাম ওঠেনি ঠিক, কিন্তু এই ফরোয়ার্ডের পাস থেকেই জয়সূচক গোলটি করেছেন মাথিয়াস কুনহা।

সাইতামা স্টেডিয়ামের কোয়ার্টার ফাইনালে বল জালে জড়াতে না পারলেও রিচার্লিসন গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচে করেছেন ৫ গোল। মিসরের রক্ষণাত্মক ফুটবলে তার পাস থেকেই বাধার দেয়াল ভাঙে ব্রাজিল। ৩৭ মিনিটে এভারটন ফরোয়ার্ডের পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করন কুনহা। ওই গোলটাই তাদের তুলে দিয়েছে সেমিফাইনালে।

টোকিও অলিম্পিক ফুটবলেও ফেভারিট ব্রাজিল। সোনা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে এসেছে জাপানের ক্রীড়াযজ্ঞে। সেই মিশনে মিসরকে হারিয়ে এবার ফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ কোরিয়া-মেক্সিকোর অন্য কোয়ার্টার ফাইনাল জয়ীর সঙ্গে সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দানি আলভেসরা।

ছেলেদের ফুটবল ইভেন্টে ব্রাজিল ছাড়াও ফেভারিট ধরা হচ্ছে স্পেনকে। তবে সেমিফাইনালে উঠতে ঘাম ঝরাতে হয়েছে পেদ্রিদের। আইভরি কোস্টের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচ ৫-২ গোলে জিতেছে তারা। স্কোরলাইন দেখে আসলে বোঝা যাবে না কতটা উত্তেজনা ছড়িয়েছে রিফুর ম্যাচটি। ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে সমতায় ছিল স্কোরবোর্ড। কিন্তু যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে আইভরি কোস্ট গোল দিয়ে দিলে বিদায়ের সুর শুনতে পায় স্প্যানিশরা। তবে ওই যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটেই স্পেনকে সমতায় ফেরান রাফায়েল মির।

ফলে ২-২ ড্রতে কোয়ার্টার ফাইনাল গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে দাপটে ফুটবলে ৩ গোল দিয়ে ৫-২ ব্যবধানে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় স্পেন। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক জাপান, যারা অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়েছে। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র ছিল।