অনলাইন ডেস্ক : হোয়াইট হাউস ত্যাগের পর নিজের প্রথম রাজনৈতিক সমাবেশ সেরেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার দেশটির ওহাইও অঙ্গরাজ্যের সমাবেশে সমর্থকদের সঙ্গে তার ভাবনা ভাগ করে নেন। আগামী নির্বাচনে তার রিপাবলিকান দলকে ভোট দেওয়ার জন্য সমবেত জনতাকে আহ্বান জানান।
বিবিসি জানিয়েছে, সমাবেশে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিবাসন নীতির সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। তিনি ২০২০ সালের নির্বাচনে জালিয়োতি হয়েছিল বলে আবার উল্লেখ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র এখন ডেমোক্র্যাটদের অধীনে কতটা খারাপ অবস্থায় রয়েছে তার একটা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন তিনি। বক্তৃতার বেশিরভাগ সময় তিনি গেল নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ করে ফের নিজেকে জয়ী দাবি করেন। শীর্ষ কর্মকর্তা, স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা, তার নিজের অ্যাটর্নি জেনারেল এবং কয়েকজন বিচারক, যাদের কয়েকজনকে তিনিই নিয়োগ দিয়েছেন, এদের সবাই নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ নাকোচ করলেও ট্রাম্প আবারও সেই একই কথা বলেন।
সমবেত হাজারো সমর্থকের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। আমরা ওই নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতেছি।’ তার এমন বক্তব্য শোনার পরপরই সমর্থকরা ‘ট্রাম্প জিতেছে’ বলে সেøাগান দেন।
সহিংসতায় উসকানি ও বাইডেনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে বিদেশি রাষ্ট্রনেতার সাহায্য নেওয়ার জন্য ট্রাম্প দুবার অভিশংসন থেকে বেঁচে যান। কয়েকজন রিপাবলিকান তার বিরুদ্ধে ভোট দেন। তারপরও রিপাবলিকান পার্টি রয়েছে ট্রাম্পের করায়ত্তে। বিদায় নিলেও ট্রাম্প নড়েচড়ে বসতে সময় নেননি। রক্ষণশীল আমেরিকানদের উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন। রিপাবলিকান পার্টির মধ্য ও উদারপন্থিদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছেন। নিজের রক্ষণশীল প্রার্থীদের সমর্থন জানাতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য সফর করছেন।
সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে দুবার জিতেছি। যদি সম্ভব হয় আমরা তৃতীয়বারও জয়ী হব। ২০১৬ সালে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে নির্বাচনে জিতেছিল ডোনাল্ড ট্রাম্প।’
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের ঢল ঠেকাতে ততপর হয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছিল- অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ঠেকাতে আগামী ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো সীমান্ত পরিদর্শনে যাবেন তিনি। ট্রাম্পের দাবি, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মানবিক আচরণের কারণে মেক্সিকো থেকে দল বেঁধে মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছেন। টেক্সাস সীমান্ত দিয়েই সবচেয়ে বেশি মানুষ মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্ত বলা হয় টেক্সাস সীমান্তকে। ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে বাইডেন প্রশাসন মোটেই আন্তরিক নয়। এখন ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সীমান্ত সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র