অনলাইন ডেস্ক : সময় লেগেছে মাত্র দুই বছর। এ দুই বছরেই কোম্পানির মূল্য গিয়ে দাঁড়াল ৫.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (৪ বিলিয়ন ইউরো)। বাংলাদেশি টাকায় এ কোম্পানির মূল্য ৪৭ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা, যা প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৫২ পয়সা হিসেবে। বলছিলাম জনি বাউফারহাটের অনলাইন কনফারেন্স হোস্টিং প্ল্যাটফরম হোপিনের কথা। যে কোম্পানির নেই স্থায়ী কোনো অফিস।
হোপিনের কর্মী সংখ্যা ৫০০-এর বেশি। তাদের মধ্যে এমনও অনেকে রয়েছেন, যাদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনি বাউফারহাটের সাক্ষাৎ হয়নি এবং তারা কেউই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে কাজ করেন না।
সানডে টাইমসের ধনীদের তালিকা অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের এ ২৭ বছর বয়সি বিলিয়নিয়ারের প্রতিষ্ঠান হোপিন সম্প্রতি ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বেসরকারি বিনিয়োগ পায়। এতে হোপিনের মূল্য গিয়ে দাঁড়ায় ৫.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে (৪.০৫ বিলিয়ন ইউরো)।
যে কোনো বিষয় একটু ভিন্নভাবে করতে পছন্দ করেন জনি বাউফারহাট।
স্পেনের বার্সেলোনায় এয়ারবিএনবির মাধ্যমে ভাড়া নেওয়া অফিস থেকে জনি বলেন, স্থায়ী কোনো অফিস না থাকার কারণে আমরা এমন কাজ করতে পারি, যা অন্য কোম্পানিগুলো পূর্বে করতে পারেনি।
কোম্পানির স্থায়ী কোনো অফিস না থাকার বিষয়টি তেমন একটা আমলেই নেন না জনি। এমনকি তার স্থায়ী কোনো বাড়িও নেই।
জনি একজন ডিজিটাল যাযাবর, কিছু দিন এক বাসায় তো আবার কিছু দিন অন্য বাসায় স্থানান্তরিত হন। এগুলোও নিজের নয়। ভাড়া নেওয়া। তিনি যেখানেই থাকেন, সেখান থেকেই হোপিনকে পরিচালনা করেন।
জনি বলেন, প্রতিষ্ঠান চালানোর ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রক্রিয়া বেশি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত।
২০১৯ সালের ৫ জুন যুক্তরাজ্যে অনলাইন কনফারেন্স হোস্টিং প্ল্যাটফরম হোপিন মাত্র ছয় কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। এর পর হোপিনের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এলো করোনাভাইরাস মহামারি। ২০২০ সালে হোপিন জাতিসংঘ, ন্যাটো, স্ল্যাক এবং ইউনিলিভারের মতো প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৮০ হাজারের বেশি ইভেন্ট হোস্ট করেছে।
সূত্র: বিবিসি