স্পোর্টস ডেস্ক : দুই দেশের শক্তির পার্থক্য ওমান প্রমাণ করেছিল প্রথম লেগের ম্যাচে ৪-১ গোলে জিতে। শেষ ম্যাচে হারের ব্যবধান ছোট করাই প্রধান লক্ষ্য ছিলো বাংলাদেশের। অন্তত বাংলাদেশের খেলা দেখে তাই মনে হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাও পারলো না লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কাতারের দোহায় জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আগের ম্যাচের একাদশে ৯ পরিবর্তন এনে খেলতে নামা ওমানের কাছে বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছে ৩-০ গোলে।
এর ফলে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আট ম্যাচের ছয়টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ড্রয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তলানিতে থেকে শেষ করল তারা। আর ওমান ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়।

২২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কাতার। ভারত ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়, আফগানিস্তান চার নম্বরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে।
এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের পরের ধাপে খেলতে হলে দলকে পেরুতে হবে প্লে-অফের বৈতরণী। ২০১৮ বিশ্বকাপ ও ২০১৯ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে যেটি পেরুতে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ভুটানের কাছে হেরে ১৬ মাসের জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে গিয়েছিল নির্বাসনে।
চোট ও কার্ডের কারণে সোহেল রানা, জামাল ভূইয়া, মাশুক মিয়া জনি, বিপলু আহমেদ ও রহমত মিয়ার অনুপস্থিতে দলের অবস্থা শুরু থেকেই ছিল নড়বড়ে। একের পর এক আক্রমণে, কর্নারে তপু বর্মন, ইয়াসিন আরাফাত, রিমন হোসেন ও রিয়াদুল হাসান রাফিকে নিয়ে গড়া রক্ষণ কাঁপিয়ে দিতে থাকে ওমান।

ম্যাচের ২২ মিনিটে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণ থেকে ওমান এগিয়ে যায় আল গাফরির গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে দুই গোলই করেছেন ওমানের আল হাজরি।
ওমানের জয়ের ব্যবধান এর দ্বিগুণ হলেও অবাক হওয়ার ছিল না। দুইবার গোললাইন সেভ করেছেন ইব্রাহিম, পোস্ট আর ক্রসবারে লেগে বল ফিরেছে চারবার।
গোটা ম্যাচে গোল করার মতো একটি সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। কর্নার থেকে ইয়াছিন আরাফাতের দারুণ হেডে দলকে বিপদমুক্ত করেছেন ওমানের গোলরক্ষক।