রাশিদা আউয়াল
দাবির স্রোতে ভেসে গেল একটি মেয়ের শখ আহ্লাদ আশা,
পূর্ণ হলো না তার স্বপ্ন সাধ ভালোবাসা।
নয়ন মাঝে কাজল টেনে স্বপ্ন এঁকেছিল
বুকের মধ্যে মিথ্যে আশায় ঘর বেঁধেছিল।
জানা ছিল না হঠাৎ ঝড়ের আঘাতে কেঁড়ে নেবে স্বপ্ন সুখ,
যৌতুক প্রথা এ সমাজে এক মস্ত বড় অসুখ।
কাঁদে বাবা মা, কাঁদে পাড়া প্রতিবেশি
দুঃখ কষ্টে লাজ লজ্জায় বিলীন হলো সবার মুখের হাসি।
দাবি দাওয়া ছিল না বলে “যৌতুক” প্রথা গিয়েছিল ভুলে।
সরল সোজা পেয়ে নির্লজ্জ বেহায়া পাত্র মিষ্টি কথার ছলে,
অভিনয়ে জড়িয়ে নিল মেয়েটিকে মিথ্যে মায়াজালে।
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে স্বপ্নের ঘোর কেঁটে জেগে উঠল মেয়ে,
“যৌতুক দেয়া বন্ধ কর” বলল চেঁচিয়ে।
থেমে গেলো বিয়ে বাড়ির ধুম
কেড়ে নিলো সকলের ঘুম।
নীরব কান্নার অশ্রুজলে
ভাসলো এ সমাজের পাত্রী পক্ষের বুক, লজ্জিত হলো মুখ,
যৌতুক গ্রহণে উচ্ছ্বসিত আনন্দিত ধনাঢ্য পাত্র পক্ষের বিনাশ হলো সুখ।