অনলাইন ডেস্ক : বাস্তবে ভ্যাকসিন কতখানি কার্যকরি তার প্রমাণ পেতে ইসরাইলের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের ফলাফল বিশ্লেষণ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দেশটি ভ্যাকসিন কার্যক্রমে বিশ্বের সব দেশ থেকে এগিয়ে আছে। এরইমধ্যে হাতে আসছে ফলাফলও। এতে দেখা গেছে, শুধু ট্রায়ালেই নয় বাস্তবেও ব্যাপকভাবে কার্যকরি ভ্যাকসিন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লাখ ইসরাইলিকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। সেখানে বৃদ্ধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এরইমধ্যে ভ্যাকসিন প্রদান করা জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম দফায় যাদেরকে ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়েছিল তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার কমেছে ৫৩ শতাংশ। হাসপাতালে ভর্তির হার কমেছে ৩৯ শতাংশ।
একইসঙ্গে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অসুস্থের হার কমেছে ৩১ শতাংশ। ইসরাইলের ওয়েইজমান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী ইয়ার্ন সিগাল এই তথ্য দিয়েছেন।
এই একইসময়ে ৬০ বছরের কম বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়। তাদের মধ্যে নতুন সংক্রমণের হার কমেছে ২০ শতাংশ, হাসপাতালে ভর্তির হার কমেছে ১৫ শতাংশ এবং অসুস্থ হওয়ার হার কমেছে ২৯ শতাংশ। রয়টার্স এ নিয়ে ইসরাইলের প্রধান বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তারা যেসব তথ্য প্রদান করেছেন তাতে ভ্যাকসিন কার্যক্রমের সফলতার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার নিয়মিত ইসরাইলের ভ্যাকসিন কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করছে। ইসরাইল রাষ্ট্র হিসেবে ছোট কিন্তু এর স্বাস্থ্যখাত অত্যন্ত উন্নত। তাছাড়া দেশটির ডাটা সংগ্রহের সক্ষমতা ভালো হওয়ায় বাস্তব দুনিয়ায় করোনার ভ্যাকসিন কেমন কাজ করে তা জানার জন্য অসাধারণ একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে সেখানে। করোনার নতুন ভ্যারিয়ান্টগুলোর বিরুদ্ধেও দারুণ কার্যকরি ফাইজারের ভ্যাকসিন। ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহা-পরিচালক হেজি লেভি জানিয়েছেন, বৃটিশ ভ্যারিয়ান্টের বিরুদ্ধে এই ভ্যাকসিন ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ কার্যকরি। তবে এখনো সাউথ আফ্রিকান ভ্যারিয়ান্ট নিয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।