অনলাইন ডেস্ক : ইতিহাসের বৃহৎ টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে ভারতে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই কার্যক্রমের সূচনা করেন। শনিবার থেকে দেশটির তিন হাজারেরও বেশি কেন্দ্রে করোনাভাইরাসের টিকা পাবেন ভারতীয়রা। এটিই দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম কোনো দেশের করোনাভাইরাসের টিকা প্রদান কার্যক্রম। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। খবরে বলা হয়েছে, প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন করে মোট তিন লাখ মানুষকে টিকা দেয়ার কথা রয়েছে একদিনে। প্রথমদিকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে সম্মুখযোদ্ধাদের। এর আওতায় আছেন চিকিৎসক, নার্স, এম্বুলেন্স চালক, স্বাস্থ্য কর্মী ও সাফাই-কর্মীরা।
এরপরে পুলিশ, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এবং অন্যান্য করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেয়া হবে। প্রথম দফায় টিকা পাবেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। দ্বিতীয় ধাপে টিকা দেয়া হবে ৫০ বছরের বেশি বয়স্কদের। এই ধাপে দেয়া হবে প্রায় ২৭ কোটি টিকা।
টিকা প্রদানে ভারতজুড়ে ২ হাজার ৩৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ৬১ হাজার প্রোগ্রাম ম্যানেজার এবং ২ লাখ ভ্যাক্সিনেটার (যারা টিকা দেবেন) প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের মোট ২১২টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে টিকা প্রদানের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় রাজ্যটিতে মোট ৬ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি। শনিবার থেকেই কলকাতার ১৯টি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য কো-উইন নামে একটি সরকারি অ্যাপে নাম রেজিস্ট্রার করতে হচ্ছে ভারতীয় নাগরিকদের। প্রত্যেক ব্যক্তিকে কবে কোন কেন্দ্রে কখন টিকা নিতে যেতে হবে তাও এসএমএস করে জানানো হচ্ছে। টিকা নেয়ার পর অপেক্ষা করতে হচ্ছে আধা ঘণ্টা করে। যদি কোনো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়, কেন্দ্রেই তার চিকিৎসা করা হবে।
এর আগে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা করোনার দুটি ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে একটি অক্সফোর্ডের টিকা যা ভারতে তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট। অন্যটি ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা কাউন্সিল বা আইসিএম আর ও ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভ্যাক্সিন।