আরফাতুন নাবিলা : রেডক্রসের অ্যাম্বাসেডর হয়ে এরই মধ্যে ১৯৪ দেশ ভ্রমণ করেছেন ডেনমার্কের টর্বজন সি পেডেরসেন। এই ভ্রমণযাত্রায় তিনি কোনো বিমানে চড়েননি। হেঁটে, বাস-ট্রেন চেপে, সমুদ্রে কন্টেইনার বা জাহাজে চড়ে পাড়ি দিয়েছেন পথ। আর মাত্র ৯টি দেশ ভ্রমণ করলেই তিনি হবেন বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যিনি বিমানে না উঠে বিশ্বের সব দেশ ঘুরে ফেলেছেন। তার ভ্রমণের শুরু, বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছেন আরফাতুন নাবিলা।

ভ্রমণের শুরু

২০১৩ সালে বছরের শুরুর দিকে এক সকালের কথা। ডেনমার্কের টর্বজন সি পেডেরসেনের হাতে বাবা একটি পত্রিকা এনে দিলেন। তাতে অল্প খরচে কীভাবে বিশ্ব ঘোরা যায় তা নিয়ে একটি ফিচার ছিল। পুরো লেখাটা পড়ে তিনি বুঝতে পারলেন ভ্রমণের জন্য কখনই লাখ লাখ টাকার দরকার নেই। অল্প খরচেই আত্মবিশ্বাস থাকলে দুনিয়া ঘোরা সম্ভব। এর মধ্যে লোভনীয় একটি অফার পেলেন রেডক্রসের পক্ষ থেকে। রেডক্রসের অ্যাম্বাসেডর হয়ে তাকে ঘুরে বেড়াতে হবে পুরো বিশ্ব। মুহূর্তেই এই অফার লুফে নিলেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন এত বড় সুযোগ যেখানে পাচ্ছেন, সেখানে বিশ্ববাসী যেন তাকে মনে রাখে সেজন্য ভিন্ন কিছু করবেন। ভাবলেন, সবাই কমবেশি ভ্রমণে বিমানে চড়েন। তিনি কোনোরকম বিমানে না চড়ে শুধু রাজপথ আর সমুদ্রপথেই ঘুরে বেড়াবেন। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর ডেনমার্ক ছাড়েন। সেই থেকে শুরু হয় জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাপূর্ণ অনন্য এক যাত্রা।

ডেনমার্কের ভাষায় টর্বজন পরিচিত থর নামে। এ নামেই তিনি এখন সবার মাঝে পরিচিতি অর্জন করেছেন। থরকে যখন রেডক্রস নিয়ে কাজ করার এই প্রজেক্ট সম্পর্কে জানানো হয় তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েই এ দায়িত্ব নেন। একে তো এমন কাজ এর আগে কেউ করেননি। আর দেশ ভ্রমণের ইচ্ছা থাকায় সুযোগটিও হাতছাড়া করেননি। বিশ্বকে জানার জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কীইবা হতে পারত? মানবিক নানা কাজের প্রচার, অসহায় মানুষকে অর্থ প্রদান, স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করে থর নিজের যাত্রা অব্যাহত রেখেছিলেন। এতগুলো দেশ ভ্রমণ শেষে আর মাত্র নয়টি দেশ হলেই তার স্বপ্ন পূরণ হয়ে যেত। এখন তাকে সমর্থন করছেন এমন অনেক মানুষ আছেন। এমনকি তার এই যাত্রায় নিজেদের অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে।

অভিজ্ঞতা

যেহেতু ফ্লাইট বাদ দিয়েছেন তাই তাকে চলাচল করতে হয়েছে পাবলিক বাস, ট্রেন, কন্টেইনার শিপ, মাছের ট্রলার বা নৌকা, ফেরিতে। প্রতি মুহূর্তে তাকে নতুন নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। সমুদ্রপথের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে থর জানান, ক্যারিবিয়ানদের একটি জাহাজে আমাকে যেতে হয়েছিল। ক্যাপ্টেন কেন যেন আমাকে একদমই পছন্দ করতেন না। আর এ কারণে আমাকে রান্নাঘরের মেঝেতে থাকতে হয়েছে। জায়গাটি ছিল একদম তেল চিটচিটে। এভাবে থাকতে কিছুটা অস্বস্তি হলেও এটিকে আমি অভিজ্ঞতার খাতায় লিখে রেখেছি।’

পশ্চিম আফ্রিকায় পৌঁছে ঘুমানোর জন্য ভালো কোনো জায়গা তিনি পাচ্ছিলেন না। রাতের বেলা বন্ধ এক গ্যাস স্টেশনে ঘুমিয়ে পড়েন। প্রচুর মশার কামড় সহ্য করতে হয়েছে তাকে সে সময়। তখন কিছু বুঝতে পারেননি। ভেবেছিলেন এগুলো নিতান্তই সাধারণ মশার কামড়। কিন্তু দুই সপ্তাহ পর যখন ঘানায় পৌঁছালেন তখন আক্রান্ত হলেন সেরেব্রাল ম্যালেরিয়ায়। কথা বলা বা হাঁটা-চলা এক রকম বন্ধ হয়ে গেল। সেরে উঠতে দিনে প্রায় ২৫টি করে ওষুধ খেতে হয়েছে তাকে। এত কিছুর পরও ৪১ বছর বয়সী থর তার ভ্রমণ থামিয়ে দেননি। কোনো ধরনের ফ্লাইটে না চড়ে স্বপ্ন দেখেছেন ২০৩ দেশ ঘোরার। ইতিমধ্যে রেডক্রসের ড্যানিশ এই অ্যাম্বাসেডর রাজপথ আর সমুদ্রপথ মিলে পার করে ফেলেছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার কিলোমিটার পথ।

একটা সময় এমন ছিল যে, নিজের জীবন নিয়েও তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। বেঁচে থাকবেন কি-না এমন বিষয়ও ছিল অনিশ্চিত। একটি ঘটনার কথা মনে করে তিনি বলেন, ‘ক্যামেরুন-কঙ্গো বর্ডারে জঙ্গলের মধ্য দিয়ে একটি রাস্তা দিয়ে ট্যাক্সিতে করে যাচ্ছিলাম। এমন সময় তিনজন ইউনিফর্ম পরা মানুষ আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাদের কাছে বন্দুক ছিল। আমার কাছে তারা বেশ কয়েক ধরনের কাগজপত্র চাইলেন, যার কিছুই আমার কাছে ছিল না। ধরেই নিয়েছিলাম এখন আর বাঁচা সম্ভব নয়। গুলি খাওয়ার অথবা জঙ্গলের ভেতর টেনে নিয়ে যেকোনো ক্ষতির আশঙ্কা ছিল। ওই সময়টুকু সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ছিল। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে ৪৫ মিনিট পর তারা আমাকে ছেড়ে দিল।’

বিপজ্জনক বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলেও নিজের যাত্রা কখনো বন্ধ করেননি থর, কখনো আশাহত হননি। তিনি বিশ্বাস করেন, তার যাত্রা অন্যের জন্য শিক্ষণীয়। তার মতে, ‘আমি সব সময় প্রমাণ করতে চাই আপনি যদি কখনো হাল না ছাড়েন তবে যেকোনো লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন।’

খরচের জোগান

এতগুলো দেশ যেখানে ঘুরেছেন, এর মানেই হয়ত প্রচুর অর্থ খরচ হয়েছে। থর জানালেন, এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। খরচ অবশ্যই হয়েছে তবে খুব বেশি নয়। মোটামুটি তিনভাবে থরের ভ্রমণের খরচ উঠে যায়। এই প্রজেক্টের জন্য তিন ধরনের সোর্স পেয়েছেন তিনি। ১) প্রজেক্টের ফাইন্যান্সিয়াল পার্টনার রস ডিকে ও জিওপ্স দিয়েছেন প্রায় ৫০ শতাংশ; ২) ২৫ শতাংশ থর নিজের জমানো অর্থ, বিভিন্ন লোন, আর্টিকেল লিখে আর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জোগাড় করেছেন; ৩) বাকিটুকু আসে সাগা’র (নিজস্ব ব্লগ ওয়ান’স আপন এ সাগা) ফলোয়ার আর ফ্যানদের দেওয়া নানা ডোনেশন থেকে।

ভ্রমণের সময় খরচ করার জন্য তিনি নির্দিষ্ট একটি বাজেট করেন। দিন হিসেবে এ বাজেট ২০ ডলার। এ অর্থের মধ্যেই রয়েছে খাবার, যাতায়াত, ভিসা আর থাকার জায়গাসহ যাবতীয় খরচ। তিনি সব সময় চেষ্টা করেন খুব কম খরচের কোনো জায়গায় অথবা মানুষের বাসায় থাকতে। অনেক সময় ঘুমিয়েছেন রাস্তার পাশের বস্তিতেও। পথে অসংখ্য বাধা সত্ত্বেও থর ডেনমার্কে নিজের বাড়িতে ফিরে যাননি। তিনি বলেন, ‘আমি যে ফান্ড পেয়েছিলাম সেটি হারিয়ে ফেলেছি, আমার দাদির মৃত্যু হয়েছে, এমনকি আমার হবু স্ত্রীর সঙ্গেও সম্পর্কে ফাটল ধরেছে।’ এত কিছুর পরেও দমে যাননি তিনি।

বর্তমান অবস্থান

১৯৪ দেশ পাড়ি দেওয়া শেষে তার পরিকল্পনা ছিল এই বছরই বাকি দেশগুলো ঘুরে ফেলবেন। কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারীতে থমকে গেছে সব পরিকল্পনা। এ মুহূর্তে তিনি রয়েছেন হংকংয়ে। যেহেতু সেভাবে কোথাও এ মুহূর্তে যাওয়া হচ্ছে না তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেই শেয়ার করছেন নিজের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা। নিজের ব্লগ ‘ওয়ানস আপন এ সাগা’-তে নিয়মিত লিখছেন নিজের জীবনের ঘটনা। যেখানে নতুন জায়গায় পৌঁছে সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন, সেখানে এখন থাকতে হচ্ছে প্রায় ৩০০ দিনেরও বেশি।

যে দেশগুলো থরের এখনো ঘোরা বাকি তার মধ্যে আছে পালাউ, ভানুয়াতু, তুভালু, টঙ্গা, সামোয়া, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ। অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে ভানুয়াতু, সামোয়ায় কোনো কভিড-১৯-এর ঘটনা নেই। সুযোগ পেলে হয়ত সে দেশগুলোই আগে ঘোরা শুরু করতেন থর। হংকংয়ে তিনি এসেছিলেন মাইক্রোনেশিয়া থেকে আসা একটি কন্টেইনার শিপে চেপে। পরিকল্পনা ছিল হংকংয়ে চার দিন থেকে আরেকটি জাহাজে চড়ে পালাউতে যাবেন। কিন্তু নিয়তির চাওয়া বোধহয় অন্যরকম ছিল। এখানে পৌঁছেই আটকে গেলেন মহামারীর প্রকোপে। বর্তমানে হংকং ছেড়ে অন্য কোথাও বের হতে পারছেন না তিনি। তবে হংকংয়ে থাকতে তার মন্দ লাগছে না। তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে। চলাফেরায় সে রকম কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, ক্যাফে আর দোকানও খোলা রয়েছে। ধীরে ধীরে খুলছে সিনেমা হল আর মিউজিয়ামও। তবে বর্ডার এখনো খোলেনি। আর তাই থরকেও যে একদম ঘরে বসে থাকতে হচ্ছে তাও নয়। মজার মজার ট্রেকিং আর হাইকিং করেই সময় কাটছে তার। এখানে তিনি থাকছেন একটি পরিবারের সঙ্গে। তারা থরকে আলাদা একটি রুম দিয়েছেন থাকার জন্য।

বাড়িতে ফেরার ইচ্ছা

প্রায় সাড়ে ছয় বছর ধরে বাড়ি যাওয়া হয়নি থরের। এমন নয় যে তিনি যেতে চান না। কিন্তু বহু চেষ্টার পরও বারবার নিজের কাছে হেরে যান। ‘কখনো কখনো আমি ভাবি এয়ারপোর্টে গিয়ে একটা ফ্লাইটে চেপে বাড়ি চলে যাই। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করি। ভ্রমণের এখানেই ইতি টানি। বাড়ি ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করি। কিন্তু প্রতিবার নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করে হেরে যাই। আবারও নতুন করে মিশনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি।’

ভ্রমণ করতে গিয়ে নানা জটিলতার সামনে পড়তে হয়েছে থরকে। যদিও ৮০ শতাংশ ভ্রমণই খুব সহজে সম্পন্ন হয়েছিল, কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতাগুলো আসলেই চ্যালেঞ্জের। থর বলেন ‘ভিসা, কাগজপত্র ঠিক থাকলে চেক পয়েন্টে তেমন সমস্যা হয় না। বিমানে না গিয়ে যেকোনো দেশেই ভ্রমণ করা কিছুটা জটিল। এয়ারপোর্টে অনেক সিকিউরিটি থাকে। তবু এয়ারপোর্টের চেয়ে বর্ডার পার করা বেশি কঠিন।’

এত চ্যালেঞ্জ পার করেও ভ্রমণের এ অভিজ্ঞতাগুলো থরের কাছে অনেক ভালোলাগার। ২০১৮ সালের নিউ ইয়ারের সময় তিনি ছিলেন অমৃতসরে। সেখানে তার সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য প্রেমিকা এসেছিলেন। গোল্ডেন টেম্পলের সামনে প্রচুর পটকা ফোটানো হয়েছিল। প্রেমিকার সঙ্গে কাটানো এ সময়টুকু থরের ভীষণ পছন্দের। এরপর সেখান থেকে গিয়েছিলেন মুম্বাই ও দিল্লির রেডক্রসে দেখা করতে। বাংলাদেশেও ঘুরে গিয়েছেন তিনি।

পরামর্শ

ভ্রমণপ্রিয়দের জন্য থরের বেশ কয়েকটি পরামর্শ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভ্রমণ করতে ভালোবাসেন, এ কথা শুধু মুখে বললেই হবে না। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। পৃথিবী ঘুরে দেখার জন্য আরও কিছু মাথায় রাখতে হবে। ঘোরার জন্য যে পরিকল্পনা আপনি করেছেন সেটি কতটুকু সফল হবে তার পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার ওপর। যত সমস্যাই আসুক, যত বিপদের মুখোমুখিই আপনি হোন না কেন, ভ্রমণের ব্যাপারে সব সময় ইতিবাচক থাকতে হবে। একবার বের হয়ে কোনো বাহানাতেই আর ফিরে আসা যাবে না। যখন থেকেই ভ্রমণ শুরু তখন থেকেই ইতিবাচক মনোভাব রাখা, চারপাশে নজর দেওয়া আর হাসিমুখ ধরে রাখা জরুরি। এগুলো ঠিকঠাক মতো করতে পারলেই আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনার পৃথিবী বদলে যাবে। যেখানেই যাবেন সেখানকার স্থানীয় খাবার খান, নতুন নতুন স্থানীয় ভাষা শিখুন, সম্ভব হলে সেগুলো ২/৪টা ব্যবহারও করুন।

যেহেতু প্রায় সব জায়গাই আপনার অপরিচিত তাই চেষ্টা করুন মানুষের ওপর বিশ্বাস রাখতে। আমি জানি, পৃথিবীর সব জায়গা নিরাপদ নয়, তবে সত্যিটা হচ্ছে আপনি যেখানেই যাবেন সেখানেই ভালো মনের মানুষের দেখা পাবেন। খেলাধুলা, খাবার, আবহাওয়া, সেলফি, ফেইসবুকে কাউকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমেও অচেনা মানুষও আপন হয়ে ওঠে।’

ভ্রমণের এই যাত্রা শুরুর আগে থরের শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিকসে ১২ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল। তিনি লিবিয়া, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করেছেন। ছিলেন ড্যানিশ আর্মিতে, যুক্ত ছিলেন জাতিসংঘের সঙ্গেও। তার মতে, যত বেশি জায়গায় কাজ করা যাবে, তত নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, কাজ আর অভিজ্ঞতার পরিধি বাড়বে।

নিয়মিত ঘোরাঘুরি করা মানে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিজের কাছে রাখা জরুরি। তাই তিনি সব সময় নিজের সঙ্গে দরকারি কিছু জিনিস রাখেন। এর মধ্যে রয়েছে সিøপিং ব্যাগ, হ্যামক, প্রচুর কাপড়, বই, ইলেকট্রনিকস, ল্যাপটপ, ফার্স্ট এইড, রেডক্রসের জিনিস, দৌড়ানোর জুতো। ভ্রমণ করতে চান এমন ব্যক্তিদের জন্য তার পরামর্শ হচ্ছে সব সময় দরকারি যেকোনো জিনিস নিজের কাছে রাখা। অবশ্যই বেশি ব্যাগ করা যাবে না যেন ঘুরতে সমস্যা হয়।

পরবর্তী পদক্ষেপ

এখন পর্যন্ত সম্ভবত ২৩০ জন মানুষ বিশ্বের সব দেশ ভ্রমণ করেছেন। তবে তাদের মধ্যে সবাই কোনো না কোনো সময় বিমানে চড়েছেন। একমাত্র থরই এখন পর্যন্ত ব্যতিক্রম। কোনো ধরনের বিমানে তিনি ওঠেননি। সব জায়গার লকডাউন একবার উঠে গেলে থর আবারও ভ্রমণ শুরু করতে চান। অবশ্যই এবারও কোনো ধরনের বিমানে না চড়ে। যেভাবে শুরু করেছিলেন সেই পদ্ধতি বদলাতে চান না তিনি। থর আশা করছেন, খুব জলদি পৃথিবী মহামারীমুক্ত হবে, তিনিও নতুন করে পথে পথে ঘুরে বিশ্বজয়ে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন।