মনিস রফিক : চলচ্চিত্রের যাত্রাপথ ইতোমধ্যে ১২৫-এ পা দিয়েছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে নবীন আর শক্তিশালী এই শিল্পমাধ্যমকে ‘অষ্টম আশ্চর্য’ বলা হয়। আমাদের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আশা-নিরাশা আর ভালোবাসার কথা যেভাবে এই শিল্পমাধ্যমে উঠে আসে, তা অন্য শিল্প মাধ্যমে সম্ভব হয় না। মূলত পূর্বের ছয়টি শিল্পের মিথস্ক্রিয়া আর প্রতিফলনে ঋদ্ধ চলচ্চিত্র নামের এই ‘সপ্তম শিল্পকলা’। শুরু থেকে বর্তমানের চলচ্চিত্রের যাত্রাপথটা কেমন ছিল, আর কোন কোন অনুসন্ধিত্সু ক্ষণজন্মা স্বপ্ন দেখা মানুষের স্বপ্নের ফসল এই চলচ্চিত্র, সে সব বৃত্তান্ত উঠে আসবে চলচ্চিত্রকর্মী মনিস রফিক এর লেখায়। চলচ্চিত্র যাত্রাপথের এই বাঁকগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হবে ‘বাংলা কাগজ’ এ।
ষোল.
ব্যবসায়িকভাবে সফলতা পাবার পর ডিজনি ধীরে ধীরে তার ব্যবসায়ী নেটওয়ার্ক আরো বাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লাগলেন। ১৯২৩ সালে ক্যানসাসে বড় ভাই রয় ডিজনি, বন্ধু ইউব ওয়ার্কাস ও তিনি যে বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠানটি দিয়েছিলেন সেটার ব্যর্থতার পর এবং নতুন স্বপ্নে হলিউডে আসার কয়েক বছরেও ব্যর্থতার মধ্যে ঘুরপাক খাওয়া ডিজনি দশ বছরের মধ্যে আর্থিকভাবে এমন এক জায়গায় উঠে যেতে লাগলেন তা সত্যিই বিস্ময়কর। ১৯৩৪ সালে তাঁর প্রোডাকশন কোম্পানীর কর্মীর সংখ্যা দাঁড়ায় সাতশ’র বেশি। নিজের ছবিগুলির পরিবেশনের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়েছিলেন। ১৯৩৪ সালে তিনি লন্ডন ও প্যারিসে তাঁর পরিবেশন সংস্থার শাখা অফিস খুলে ফেললেন। ইতোমধ্যে ডিজনির কার্টুন ছবির চরিত্রগুলো বিশেষ করে মিকি মাউস পৃথিবী জুড়ে এত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠল যে তাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী বাজারে ছাড়া হল। চলচ্চিত্র নির্মাণ ছাড়া এভাবেও ওয়াল্ট ডিজনি প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে লাগলেন।
১৯৩৪ সালেই তিনি একটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যরে কার্টুন ছবি তৈরি শুরু করলেন। “স্নো হোয়াইট এন্ড দি সেভেন ডোয়াফর্স” নামের দেড় ঘন্টার ছবিটির জন্য মোট এক লক্ষ উনত্রিশ হাজার ছয়শোটি হাতে আঁকা ছবির ফ্রেম ব্যবহার করা হয়েছিল। এতগুলো ছবির সংখ্যার কথা চিন্তা করলেই আমরা বুঝতে পারি কি অসীম ধৈর্য্য ও পরিশ্রম করতে হয়েছিল তাঁকে এবং তাঁর দলকে। সেই সময় এই ছবির নির্মাণ ব্যয় হয়েছিল পনের লক্ষ ডলার। ছবিটি এত বেশি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল যে ১৯৩৭ সালে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই ডিজনি আড়াই কোটি ডলার আয় করেন।
শিশু চলচ্চিত্রের ইতিহাসে “স্নো হোয়াইট এন্ড সেভেন ডোয়ার্ফস” একটি অবিস্মরণীয় সৃষ্টি। এই ছবির অপূর্ব কাহিনী সাথে জীবজন্তুদের স্কেচ, সঙ্গীতের ব্যবহার এবং রঙের সার্থক ব্যবহার দর্শকদের সেই সত্যিকারের স্নো হোয়াইট রাজকন্যা আর বামনের দেশে নিয়ে গিয়েছিল। এতদিন শিশুরা মুখে মুখে রূপকথার এই কাহিনী শুনে এসেছিল এবং সেটা যখন অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রেক্ষাগৃহের পর্দায় দেখানো হল তখন তাদের মনে হয়েছিল তারা সত্যিকারের সেই মায়াবী মোহনীয় রাজ্যে চলে গেছে। এই ছবি তুলতে গিয়ে ওয়াল্ট ডিজনি এবং তাঁর বন্ধু ইউব ওয়ার্কাস “মালটি পেন” নামে এক নতুন ধরনের ক্যামেরা তৈরি করেন। বিশাল আকৃতির এই ক্যামেরা পুরো ঘরের জায়গা দখল করে নেয় এবং এটি চালাতে চার পাঁচজন দক্ষ ক্যামেরাম্যানকে এক সঙ্গে কাজ করতে হত। অ্যানিমেটেড ছবিতেও বাস্তবের সজীবতা এবং থ্রি ডাইমেনশনের গভীরতা আনার ক্ষেত্রে এই ক্যামেরার বিশেষ উপযোগিতার জন্য এর উদ্ভাবক হিসেবে ডিজনি স্টুডিওকে একটি বিশেষ অস্কার পুরস্কার দেওয়া হয়।
পাশ্চাত্য ক্লাসিকাল সঙ্গীতের ইতিহাসকে অ্যানিমেটেড কার্টুনের সাহায্যে তুলে ধরার জন্য ১৯৪০ সালে ডিজনি তুললেন “ফ্যান্টাসিয়া” ছবিটি। দুই ঘন্টার এই রঙিন ছবিটি কিছু কারিগরী বৈশিষ্ট্যের জন্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র জগতে বিশেষভাবে স্মরণীয়। চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই ছবিতেই সর্বপ্রথম স্টিরিওফোনিক শব্দের ব্যবহার করা হয়।
১৯৪৩ সালে ডিজনি অ্যানিমেশন জগতে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ছবি নির্মাণ করলেন। “ব্যাম্বি” নামের এই ছবিটিতে একটি নিরীহ হরিণের জীবনের আবেগধর্মী একটি গল্প গড়ে তোলা হয়েছে। হরিণের গতিবিধি ও মনস্তত্ত¡ ভালভাবে বুঝবার জন্য ডিজনি একটি জ্যান্ত হরিণকে স্টুডিওর মধ্যে ছেড়ে দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে হরিণটিকে পর্যবেক্ষণ করে চলচ্চিত্রটির জন্য ছবি আঁকা হয়।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় সৈন্যদের মনোবল বাড়ানোর জন্য ওয়াল্ট ডিজনি দুটি ছবি বানালেন। উল্লেখ্য, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তিনি নিজেই অংশ নিয়েছিলেন। তখন অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার হিসেবে ফ্রান্সের যুদ্ধ ক্ষেত্রের চিত্র তিনি দেখেছেন, সেই সাথে কাছ থেকে উপলব্ধি করেছেন আহত সব যোদ্ধার আর্তি। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে তিনি একজন রণক্ষেত্রের যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধে যোগ দিলেন না সত্য, কিন্তু চলচ্চিত্র সৈনিক হিসেবে তিনি ছবি বানালেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের ওপর তিনি মূলত দুটি ছবি করেছিলেন। প্রথম ছবিটি করলেন ১৯৪৩ সালে। ছবিটি ছিল সিগন্যাল কোরের সৈন্যদের শিক্ষার জন্য “টু ডাউন এন্ড ওয়ান টু গো” নামে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যরে ছবি। সেই বছরেই “ভিক্টরি থ্রু এয়ার পাওয়ার” নামে পূর্ণ দৈর্ঘ্যরে অ্যানিমেটেড ছবি বানালেন। ছবিটি মূলত বিমান বাহিনীর সৈন্যদের আক্রমণের রণকৌশল শেখাবার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এই ছবিটির একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল, বিমানের ইতিহাসকে সংক্ষেপে হলেও সুন্দরভাবে আঁকা ছবির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯৪৪ সালে ডিজনি তুললেন “দি থ্রি ক্যাবালেরোস”। এই ছবিতে অ্যানিমেশন ও জীবন্ত অভিনয়ের এক সমন্বয় করা হয়েছিল। এরপর ডিজনি অ্যানিমেশন ছবি থেকে সরে এসে শিশু ও কিশোরদের জন্য বিভিন্ন ধরনের দুঃসাহসিক কাহিনী চিত্র এবং প্রকৃতি ভিত্তিক নানা রকম তথ্যচিত্র বানাতে শুরু করলেন। ১৯৫০ সালে ডিজনি তাঁর জীবনের প্রথম কাহিনী চিত্র “ট্রেজার আইল্যান্ড” নির্মাণ করলেন। ডিজনির আরো কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দুঃসাহসিক চলচ্চিত্রগুলি হচ্ছে “টুয়েন্টি থাউজ্যান্ড লীগস্ আন্ডার দি সী”, “ওয়েস্ট ওয়ার্ড হো দি ওয়াগনস্” এবং “ওল্ড ইয়েলার”। ছবিগুলো তৈরি হয়েছিল যথাক্রমে ১৯৫৪, ১৯৫৬ এবং ১৯৫৭ সালে। ওয়াল্ট ডিজনির প্রকৃতি ভিত্তিক পূর্ণ দৈর্ঘ্যরে তথ্যগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে “সীল আইল্যান্ড”, “দি লিভিং ডেজার্ট” এবং “দি আফ্রিকান লায়ন”। ছবি তিনটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এবং তিনটি ছবিই তিনি পঞ্চাশের দশকে তৈরি করেছিলেন। জীবনের শেষের দিকে তিনি আরো দুটি ছবি বানিয়েছিলেন এবং ছবি দুটিই তাঁর উল্লেখযোগ ছবির তালিকার মধ্যে পড়ে। এর একটি নির্মাণ করেন ১৯৬৪ সালে “মেরী পপিন্স” নামে এবং আরেকটি হচ্ছে “জাঙ্গল বুক”। শেষের ছবিটি মুক্তি পায় তাঁর মৃত্যুর পরের বছর ১৯৬৭ সালে।
১৯০৮ সালে ক্যানসাসের খামার বাড়ির পাশের ঘন জঙ্গলের কাছে যখন ছোট্ট ডিজনি অন্যান্যদের সাথে বেড়াতে যেতেন এবং ইঁদুর, খরখোশ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ছুটোছুটি দেখতেন। তখনই তাঁর মধ্যে শুরু হতে থাকে এক অদ্ভুত কল্পনার জগত। সেই সাথে প্রায় সমবয়স্ক বড় বোন রুথ যখন অদ্ভুত কল্পনার জগতের গল্পগুলো ছোট্ট ডিজনিকে শোনাতেন, তখনই প্রবল বিশ্বাসে ঐসব বিষয়গুলো গভীরভাবে গেঁথে যেতে থাকে ডিজনির কোমল মনে। বয়স বাড়ার সাথে ক্রুর পৃথিবীর কাছে দেখলেন, বাস্তব জীবনে শিশুর মনোজগতের কোন মূল্য নেই। কিন্তু ডিজনি কখনো তা মেনে নিতে পারেননি। চোখ বন্ধ করে বার বার তাঁর কল্পনার শিশু রাজ্যে বাস করতে চেয়েছিলেন আর স্বপ্ন দেখেছিলেন পৃথিবীর সব শিশুর জন্য এমন এক জগত তৈরি করবেন যার সন্ধান পেলে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য হলেও শিশুরা তাদের মনস্তাত্তি¡ক সুন্দর জগতে আনন্দে উচ্ছ¡াসে সময় কাটাবে। ফলে দেখা যায় তার প্রায় সব ছবিই মূলত শিশুদের জন্য।
শুধু ছবি নির্মাণ করেই তিনি শিশুদের কল্পনার জগতে নিয়ে যাননি বরং শিশুদের স্বপ্নের জগত ডিজনিল্যান্ডে এক বিশাল আনন্দ পার্ক তৈরি করলেন। পার্কটি ১৯৫৫ সালে উদ্বোধন করা হয় আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ার ডিজনিল্যান্ডে। এতদিনে সেলুলয়েডের মাধ্যমে তিনি যেসব অদ্ভুত কাল্পনিক চরিত্রগুলি তুলে এনেছিলেন, সেগুলোর কৃত্রিম অথচ জীবন্ত রূপ দিলেন তাঁর ডিজনিল্যান্ডে। ডিজনিল্যান্ডে কেউ ঢুকলেই হারিয়ে যায় স্বপ্নের জগতে। আশেপাশেই দেখতে পায় মিকি মাউস আর বুদ্ধিমান র্যাবিটকে অথবা একটু ইচ্ছে হলেই ঘুরে আসতে পারে এ্যালিসের ওয়ান্ডারল্যান্ডে। ডিজনিল্যান্ডকে মূলত বলা হয় ম্যাজিক কিংডম। কারণ এখানে অদ্ভুত কল্পনার সাথে মিলেমিশে গেছে ইতিহাস ও দুঃসাহসী রোমাঞ্চকর অভিযানের সব উপাখ্যান। উনবিংশ শতাব্দীর আমেরিকার শেষ এবং বিশ্ব শতাব্দীর আমেরিকার আরম্ভের পটভূমিকায় উড়ন্ত হাতি বা হাঁ করা বিশাল আকৃতির তিমিকে ইচ্ছে করলেই বুঝতে পারা যায় এদের সাথে শিশুদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।
পরিচালক হিসেবে জীবনে প্রায় একশ ছবি তৈরি করা এবং প্রযোজক হিসেবে প্রায় পাঁচশ ছবির স্রষ্টা ওয়াল্ট ডিজনি ১৯৬০ সালের পর থেকে মাঝে মধ্যে শান্ত আর নিশ্চুপ হয়ে একান্ত নীরবে সময় কাটাতেন। সবাই দেখত বেশির ভাগ সময় চোখ বন্ধ করে কি যেন ভাবতেন তিনি। তাঁর খ্যাতির ঐশ্বর্যে তিনি বলতে গেলে ভ্রারাক্রান্ত হয়ে পড়েছিলেন। প্রচুর বিত্ত বৈভবের মালিক হয়েছিলেন। ব্যস্ততায় মনে হত তিনি হাঁপিয়ে উঠেছিলেন। ফলে সামান্য একটু সময় পেলেই ছুটে যেতেন তাঁর স্বপ্নের ডিজনিল্যান্ডে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতেন শিশুদের ছুটোছুটি আর প্রাণান্ত উচ্ছ্বাস। ১৯৬৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তাঁর শরীরটা হঠাত করে খুবই খারাপ হতে থাকে। হয়তো দীর্ঘদিনের নিরলস কঠোর পরিশ্রমের ফলে তাঁর শরীর বিদ্রোহ করে বসেছিল। তারপর সামনের বড় দিনের জন্য শিশুদের কাছে বিভিন্ন ধরনের খেলনাগুলো তুলে দিতে হবে, যার জন্য পৃথিবীর অসংখ্য সব শিশুরা অপেক্ষা করে আছে। আর নিজেও সব সময়ই আকুলভাবে অপেক্ষা করে থাকতেন বড়দিনের জন্য। কারণ এই দিনে তিনি নিজেও শিশু হয়ে যেতেন। সেদিন তাঁর মাথায় শুধু শৈশবের সেই সতেজ আনন্দ ছাড়া আর কিছুই থাকতো না। কেনো যেন সে বারের বড়দিনটা খুব তাড়াতাড়ি কাছে পেতে ইচ্ছে করছিলো তাঁর। বড় বেশি অধৈর্য্য হয়ে পড়েছিলেন সেবার চিরন্তন শিশু হৃদয়ের ওয়াল্ট জিডনি।
সেবার বড়দিন আসার দশদিন পূর্বেই ওয়াল্ট ডিজনি সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। ওয়াল্ট ডিজনির চলে যাওয়ায় সেবার ক্যালিফোর্নিয়ার শিশুরা বড়দিনের আনন্দ সম্পূর্ণভাবে ভুলে গিয়েছিল। বড়দিনের নতুন পোশাকে মলিন মুখে দিক-বিদিক থেকে শিশুরা ফুল নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল ডিজনিল্যান্ডে। সেবার শিশুরা কেউ আনন্দে ডিজনিল্যান্ডে ছুটোছুটি করেনি। ডিজনিল্যান্ডে ঢোকার গেটের পুরনো গীর্জার বিশাল ঘড়িটার সামনে দাঁড়িয়ে শিশুরা তাদের আনা ফুলগুলো বিছিয়ে দিয়েছিল। তখন তাদের কেহই হৃদয়ের ভিতর থেকে বয়ে আসা কান্নাকে থামতে পারেনি। অনেকেই ডুকরিয়ে কেঁদেছিল তাদের মত মনেরই এক বুড়ো শিশুর জন্য যে তাঁর সারাটা জীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন শিশুদের এই হিংসা ও দ্ব›েদ্বর জগত থেকে একটা সুন্দর জগতে নিয়ে যেতে। (চলবে)