অনলাইন ডেস্ক : কবি আসাদ চৌধুরী বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘৩০ লাখ লোক প্রাণ দিলেন একটি মাত্র কারণে- যাতে মাথা নত করতে না হয়। আজকে এই মাথা নত করা অবস্থায় বাংলাদেশ। কষ্ট লাগে’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন দরকার ছিলো প্রচন্ড সাহসী একজন মানুষ। কিন্তু দু:খজনক ‘সাহস’ শব্দটাই বোধ হয় এখন আর ডিকশনারীতে পাওয়া যায় না।
রোববার সন্ধ্যায় টরন্টোর ৯ ডজ রোডের রয়্যাল লিজিয়ন হলে আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় বক্তৃতকালে কবি এই মন্তব্য করেন। কবি ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে টরন্টোর সর্বস্তরের নাগরিকদের উদ্যোগে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সংগঠন, শুভানুধ্যায়ী, ভক্তরা কবিকে ফুল এবং বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। অনুষ্ঠানে টরন্টোর আবৃত্তি শিল্পীরা কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে নাগরিকদের পক্ষে কবি দিলারা হাফিজ সংবর্ধিত কবি আসাদ চৌধুরীকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। সংবর্ধনার জবাবে বক্তৃতা করতে গিয়ে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, আমি যখন কথা বলছি, তখন বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম ২১০ টাকা, লেটেস্টটা আমি জানতাম না। আমি যখন কথা বলছি- জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটির ছেলেরা এখনো ঘরে ফিরে যায়নি। ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির ছেলেরা এখনো ঘরে ফিরেনি।
তিনি বলেন, অনেকগুলো এতো উন্নতি, তারপরও মনুষ্যত্বের অবমাননা দেখছি, কষ্ট পাচ্ছি।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, একটা কথা অনেক আগে লিখেছিলাম। নিজের লেখা কখনো পড়ি না, আজ বলি আপনাদের সামনে। ‘৩০ লাখ লোক প্রাণ দিলেন একটি মাত্র কারণে- যাতে মাথা নত করতে না হয়। আজকে এই মাথা নত করা অবস্থায় বাংলাদেশ। কষ্ট লাগে’।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পেরেছেন- তাকে অভিনন্দন জানাই, আন্তর থেকে অভিনন্দন জানাই। তিনি ২১ আগষ্টের বিচার করতে পেরেছেন- তাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি জেল হত্যার বিচার করতে পারবেন, করে যাবেন। আগাম অভিনন্দন জানাই। কিন্তু সবচেয়ে অভিনন্দন জানাবো বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে যেতে পারেন, প্রতিটি মানুষের মর্যাদাকে, সম্মানকে বড় করে দেখাতে পারেন।
কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি ব্যক্তির সম্মান আছে, প্রতিটি ব্যক্তির মর্যাদা আছে। তারা যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সেই ব্যবস্থা যদি করে যান কৃতজ্ঞতার অন্ত থাকবে না আমার। নতুনদেশ