হিমাদ্রী রয়
জীবন যুদ্ধে নামা মানুষকে দেখ যাপনের প্রতিটি দিন
কফিসপ, রিক্রেয়েশান পার্ক, ফুটপাতে অফিস প্রাঙ্গণে
হাসি বিনিময় করে দেখ ঐ অচেনা মুখগুলোর সাথে
সংসার সংগ্রামে বিপর্যস্ত বন্ধুটিকে দেখ ক্লান্ত ঘাণি টেনে
আন্তরিকতায় বাক্যবিনিময় করে দেখ মায়াবী মুখে
কান্না নিয়ে এসেছিলে যাওয়া হবে শুভাশুভ কর্মগুণে
আশার বাতি জ্বেলে দেখ আনন্দ্র ভরা ভুবনে।
শুকনো গোলাপটি তালাশ করে দেখ বইয়ের পাতার ভাঁজে
পারো যদি ক্ষমা করে দিও সময়ের আঘাতকে
যে সম্পর্ক হারিয়ে গেছে কোন সুদুরে অনাদরে অবহেলায়
বিক্ষত হৃদয়ের ক্ষরণ ভুলে সময়ের প্রলেপ দিও মেখে
নিজের ভিতরে কাঙালকে দেখ শুধুই ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায়।
পুরানো চিঠিতে অভিমানের শব্দ দেখ ভাসে বুক পুকুরে
সেই আলফাজ পড়ে দেখ ডুব সাঁতারে
দুঃখের ওপারে খুশির রামধনু হাসে ধুসর জীবনে
রুপোর থালার মতো চাঁদকে দেখ ভেসে যায় জোছনার প্লাবনে
শিশু কোলে ঘুমপাড়ানিয়া মায়ের কন্ঠে লরি শোনে দেখ
চাঁদের কপালে চাঁদ আনন্দ্র ভরা জীবনে।
বিক্ষিপ্ত ভাবনা দাম দিয়ে নৈরাশ্য কিনে সৌখিন সাজে
অন্ধকার আসে ধেয়ে সময় সময় সেতো চিরকাল দেখায়
দেখো আকাশ কত লাল বেঁচে আছে পৃথিবী
ফুটে আছে ফুল,পাখির উড়াল ফল ধরে আছে শাখায়
দুর্বল চিত্ত বেঁচে থাকে মৃত অনূভুতি নিয়ে
দৃঢ়চেতা পাখি ডানায় বাঁধতে চায় অনাদ্যন্ত আকাশটাকে
মৃত্যু ভয় নিয়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটছে মানুষ সময়ের উজানে
বাঁচার আশাকে ভালোবেসে দেখ ‘আনন্দ্রধারা বহিছে ভুবনে’।
২১/১১/২০