অনলাইন ডেস্ক : ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সহিংস আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ১৫ বাংলাদেশিকে সিঙ্গাপুর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এএফপি। সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ফ্রান্স বিরোধী সহিংসতাকে প্ররোচিত করে এমন পোষ্ট দেয়াদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বহিষ্কারকৃতদের অধিকাংশরাই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানা যায়। এ ধরণের কার্যক্রমের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। মূলত দেশে ফ্রান্স বিরোধী বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও আন্দোলনের প্রেক্ষিতেই দেশের বাহিরে থাকা বাংলাদেশিরা এই ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের পর ফ্রান্সের বিরুদ্ধে খেপে ওঠে মুসলিম বিশ্ব। পরবর্তীতে দেশটিতে ক্লাসে সেই ছবি প্রদর্শন করার পর এক শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে এক যুবক। বিষয়টি নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে মুসলিম বিশ্বের কাছে সমালোচনার মুখে পড়েন দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তার সেই বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আলেম সমাজ।
ফ্রান্সের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি এ সময় অনেকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে হত্যার কথাও বলেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তাও উগ্র মন্তব্য করেন যা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে হওয়া আলোচনায় ক্ষুণ্ণ হয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ফ্রান্স সরকারের প্রতি নিন্দা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার বদলে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে নিয়ে উগ্রবাদ ছড়িয়ে দেয়ার অপরাধে সিঙ্গাপুর সরকার এই ১৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে বহিষ্কার করে।
ওই প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর সরকারের অভিযোগ, তারা সাম্প্রতিক ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহিংসতা প্ররোচিত বা সাম্প্রদায়িক অশান্তিকে তরান্বিত করেছে। আর এজন্যই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফ্রান্স বিরোধী সহিংসতা প্ররোচিতমূলক পোস্ট দেয়াদের বেশিরভাগই নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন বলে জানায় সিঙ্গাপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে দেশটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেপ্টেম্বরের শুরুর দিক থেকেই সতর্ক ছিলো সিঙ্গাপুরের প্রত্যেকটি নিরাপত্তা সংস্থা। এই নিরাপত্তা সংস্থাগুলির তদন্তের ফলে বাংলাদেশিদের বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে তারা কি ধরণের ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এএফপি।