অনলাইন ডেস্ক : গত বছরের অক্টোবরে সিটি কাউন্সিলর হিসেবে বিজয়ী হয়েছিলেন জিম ক্যারিজিয়ানিস। এই বছরের অক্টোবরে সিটি অফিসের একজন ক্লার্ক তাঁর হাতে একটি চিঠি ধরিয়ে দেন। সিটি ক্লার্ক এ নিয়ে কারো সাথেই কথা বলার প্রয়োজন মনে করেননি, এমনকি মেয়রের সাথেও নয়। চিঠিটি পড়ে কাউন্সিলর জিমের চক্ষু চড়ক গাছ। সিটির ক্লার্ক চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছেন- জনগনের ভোটে তিনি যে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন- সেই পদটি খারিজ হয়ে গেছে। তিনি আর কাউন্সলর নন।
সিটি অফিসের একজন কেরানী নির্বাচিত কাউন্সিলরের পদ খেয়ে দিতে পারেন? সিটি ক্লার্ক উলি ওয়াটকিস স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন- তার এমন বিশেষ কোনো ক্ষমতা নেই যে একজন নির্বাচিত কাউন্সিলরের পদ ’খেয়ে’ দেবেন। কিন্তু আইনটাই এমন যে- এ নিয়ে কারো সাথে কথা বলা না বলার কোনো ব্যাপার নাই। আপনা আপনিই তার পদ শূণ্য হয়ে যাবে। তিনি শুধু ‘তার পদ শুণ্য হয়ে য্ওায়ার’ ব্যাপারটি চিঠি লিখে জানিয়েছেন।
কি এমন করেছিলেন জিম ক্যারিজিয়ানিস! তেমন কিছু না। সিটি নির্বাচনে বিজয়ী হ্ওযার পর বড় করে পার্টি দিয়েছিলেন তিনি। সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের ভুরি ভোজ করিয়েছিলেন। সিটিতে জমা দেয়া হিসাবমতে- সেই পরিমানটা ছিলো ২৬ হাজার ডলারের মতো। নির্বাচনোত্তর ২৬ হাজার ডলার খরচ করে এলাকার লোকদের খাইয়েছিলেন তিনি। আর তাতে তার পদটিই চলে গেলো।
মিউনিসিপ্যাল ইলেকশন অ্যাক্ট এর বিধান হচ্ছে- প্রত্যেক প্রার্থীকে নির্বাচনে ব্যয়ের হিসাব দিতে হয়। গত ২৮ অক্টোবর ছিলো গত বছর অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনের প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দেয়ার শেষ দিন। দুপুর ২টা ছিলো ডেড লাইন। ক্যারিজিয়ানিস তার নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাবটা জমা দিয়েছিলেন সাড়ে ১১টার দিকে । ২টার পর পরই সিটি ক্লার্ক জানিয়ে দেন ক্যারিজিয়ানিস এর পদটি শূণ্য হয়ে গেছে, তিনি আর সিটি কাউন্সিলর নন। নির্বাচনী আইন তাকে যে পরিমান খরচের অনুমতি দিয়েছে- তিনি তার চেয়ে বেশি ব্যয় করে আইন লংঘন করেছেন। ব্যাস! ক্যারিজিয়ানিসের সবই শেষ! নির্বাচনী আইনে তাকে ৬১,২০৭.৯৫ ডলার পর্যন্ত তহবিল সংগ্রহের অনুমতি দেয়া আছে। এর মাত্র ১০ শতাংশ আপ্যায়ন এবং ভোটারদের ‘ধন্যবাদ’ দেয়ার খাতে ব্রয় করা যায়। সেই হিসেবে তার সংগৃহীত তহবিলের ১০ শতাংশ ৬১২০.৮০ ডলার মাত্র আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় করতে পারেন। কিন্তু নির্বাচনী ব্যয়ের যে হিসাব তিনি জমা দিয়েছেন তাতে আপ্যায়ন বাবদ ৩২০৮৩.৫০ ডলার ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে এই পরিমান ২৫.৯৬২ ডলার বেশি।
ক্যারিজিয়ানিস অবশ্য চেষ্টা করছেন তার পদ ফিরে পেতে। কিন্তু সোজা পথে তার কোনো সুযোগ নাই। আদালতে মামলা করে জিতে আসতে পারলেই কেবল তার পক্ষে কাউন্সিলরের পদটি আবার ফিরে প্ওায়া সম্ভব। তা না হলের ২০২২ সালের নির্বাচনেও তিনি আর প্রার্থী হতে পারবেন না। নতুনদেশ ডটকম