অনলাইন ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘মিড ডে মিল’ ব্যবস্থাপনা তো বটেই, ভবন নির্মাণ শেখার জন্যও প্রকল্পের আওতায় সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের তথ্য ক’দিন আগেই ছিল ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। নানা আলোচনা-সমালোচনায় ‘মিড ডে মিল’ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি নতুন করে সাজাতে বলা হয়েছে। ভবন নির্মাণের প্রকল্পটি অবশ্য বহাল রয়েছে। তবে এবারে সারাবাংলার অনুসন্ধানে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের তথ্য বেরিয়ে এসেছে, যেখানে ‘উন্নত জাতের ঘাস’ উৎপাদন শিখতে ৩২ জন কর্মকর্তাকে বিদেশ সফরে যেতে হবে। মোট প্রকল্পের তিন শতাংশের কিছু বেশি হলেও টাকার অঙ্কে এসব কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের খরচটা নেহায়েত কম নয়— মাথাপিছু ১০ লাখ টাকা হিসেবে তিন কোটি ২০ লাখ টাকা!

মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা তো বটেই, পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও বলছেন, এই সফরের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তাদের এমন অভিমতের সঙ্গে দ্বিমত রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করছেন, রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের অধীন এই প্রকল্পের শিরোনাম ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাসের চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ১০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি আগামী মঙ্গলবারের (২৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে সাভারে কেন্দ্রীয় গোপ্রজনন ও দুগ্ধ খামারে স্থায়ী জার্মপ্লাজম নার্সারি স্থাপন। এছাড়া খামারি পর্যায়ে ৮ হাজার ৯৭০টি উচ্চ উৎপাদনশীল উন্নত জাতের স্থায়ী বা অস্থায়ী ঘাসের প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হবে। উন্নত জাতের এই ঘাস উৎপাদন বিষয়ে অভিজ্ঞতা নিতেই কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের সংস্থান রাখা হয়েছে প্রকল্পে।

একনেকে উত্থাপনের জন্য তৈরি প্রকল্পের সার-সংক্ষেপ পর্যালোনা করে দেখা গেছে, ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে এ ধরনের একটি প্রকল্প ছোট আকারে বাস্তবায়ন করা হয়। প্রকল্প এলাকাগুলোতে কৃষকদের মধ্যে ঘাস চাষে ব্যাপক সাড়াও পাওয়া যায়। সেই প্রকল্পের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বর্তমান প্রকল্পটি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে প্রকল্পটি সম্প্রসারণধর্মী হওয়ায় এর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। যদিও %A