মুন্নি আহমেদ : কিছুতেই জানতে দিব না তাকে কি আমার সুখ চাওয়া পাওয়া অথবা ভালোবাসা, কেনই বা দিব। সুখের সময়ের বন্ধু করবো সবাইকে, কিন্তু দু:খ-কষ্ট, না পাওয়া লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এসবই শুধু থাকবে আমার হয়ে। যদি শুনে কষ্ট পাও খুব ভালোবাসি বলে, যদি অবহেলায় ফিরিয়ে দাও তোমাকে ভীষণ ভীষণ চাই বলে অথবা যদি কখনো অপমানিত হই তোমার তাচ্ছিল্যতা উপহার হিসেবে পেয়ে কিংবা যদি আমায় ফিরিয়ে দাও অন্য কাউকে ভালোবাস বলে এর থেকে এই তো বেশ আছি দূর থেকে তোমায় ভালোবেসে। মনের গহীনে থাকা প্রেমকে আমি তাই লুকিয়ে রেখেছি তোমার থেকে যোজন যোজন দূরে, যেখানের দেখা কেউ কোনদিনই পাবে না। কাউকে না হয় না-ই জানতে দিলাম মনে মনে তোমাকে ভীষণ চাওয়ার কথা!

‘কখনো জানবে না তুমি’

কার জন্য এই লিখে যাওয়া
তুমি কি তা জানো
না, তুমি জানবেও না কোনদিনও।
জানবে কি করে,
হৃদয়কে ভেঙ্গে দিব টুকরো টুকরো করে
তবুও বলবো না তো,
তোমায় নিয়ে ভেবেছিলাম
মনের গহীনে লুকিয়ে তোমায়।
বুঝতে দেইনি কখনো
লুকিয়ে আমি কত কেঁদেছিলাম জানো!
মনে আশা হয়, কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হবো
তবুও তো কিছুটা হলেও শান্তি পাবো
কিছুটা শান্তি না হয় পেলামই বেশি
তোমায় ভালোবাসার উপহার হিসেবে।
ভেবে নিব জনম আমার সার্থক হলো
জানো তো, এ ভুবনে আমি
এর চাইতে চাইনি বেশি কিছু।
যা পেয়েছি তাতেই সুখী রব
সে যাক না হয় আমার চোখের জ্যোতি।
কাটুক জনম আমার এভাবেই,
নীরবে কাঁদবো, বলবো না কিছু তোমায়
কখনো বা ভুলেও
তোমাকে আমি চুপটি করে রেখে দিব
আমারই কল্পনাতে – জানবে না তো কেউ কখনো
যত কষ্ট লুকিয়ে রেখে।
হাসবো শুধু তোমার পানে চেয়ে,
বুঝতে দিব না তোমায় তবু
এই আমি যে তোমার শুধু!