অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের বাসা থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ, বিদেশি মদের বোতল, বিয়ার ও বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি এবং ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস উদ্ধার করেছে র্যাব। এছাড়া তার বেডরুম থেকে পিস্তলও উদ্ধার করা হয়।
সোমবার পুরান ঢাকার চকবাজারের ৮ তলা ভবনে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে আছেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। বেলা ১২টার দিকে শুরু হওয়া এই অভিযান এখনো চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
অভিযানের এক পর্যায়ে হাজী সেলিমের ওই ভবনে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সেখানে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ ওয়াকিটকি ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস। এছাড়া হ্যান্ডকাফ পাওয়া যায় ওই বাড়িতে। বেডরুমে, বাড়ির কেবিনে মদের বোতল মেলে। অস্ত্র মেলে বেডরুমের খাটের জাজিমে।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানান, কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় র্যাব। হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে র্যাবের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযানের সময় ওই বাসায় ছিলেন ইরফান।
এর আগে রবিবার রাতে রাজধানীর কলাবাগান ক্রসিংয়ের কাছে হাজী সেলিমের গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খানকে মারধর করা হয়। এসময় ওই কর্মকর্তার সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন।
এ ঘটনায় সোমবার হাজী সেলিমের ছেলেসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ধানমন্ডি থানায় মামলা হয়। মামলার মূল আসামি হলেন সংসদ সদস্যের ছেলে ইরফান। তিনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়া নোয়াখালীর এক এমপির জামাতা।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় সংসদ সদস্যের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি। এরপর গাড়ি থেকে কয়েক ব্যক্তি নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করেন। গাড়িটি হাজী সেলিমের। তবে ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন।