স্পোর্টস ডেস্ক : বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনালে জয়ের জন্য মাহমুদউল্লাহ একাদশকে ১৭৪ রানের টার্গেট দিয়েছে নাজমুল একাদশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে নাজমুল একাদশ। নাজমুল একাদশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন ইরফান শুক্কুর। এদিকে মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন সুমন খান।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুক্রবারের পরিবর্তে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে রবিবার। পঞ্চাশ ওভারের এই টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় মাহমুদউল্লাহ একাদশ ও নাজমুল একাদশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে নাজমুল একাদশকে ব্যাটিংয়ে পাঠান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

করোনা পরবর্তী সময়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার কথা ছিলো টাইগার ক্রিকেটারদের। কিন্তু দুই দেশের রশি টানাটানিতে সিরিজটি আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন জানিয়েছিলেন ক্রিকেটারদের তিনি আর ঘরে ফেরাতে রাজি নয়। এরই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয় বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ।

তিন দলের এই টুর্নামেন্টে পয়েন্ট টেবিলের সবার উপরে থেকেই ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নাজমুল একাদশ। অন্যদিকে লিগপর্বে দুই খেলায় জয় নিয়ে ফাইনালে উঠে মাহমুদউল্লাহ একাদশ। দুই দলের মূল শক্তি পেস অ্যাটাক। নাজমুল একাদশের হয়ে পুরো টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন। অন্যদিকে মাহমুদুল্লাহ একাদশের জার্সিতে অসাধারণ বোলিং করেছেন রুবেল হোসেন ও ইবাদত হোসেন।

তবে ফাইনালে এসে কেমন যেন বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে নাজমুল একাদশ। দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে মাঠের বাইরে চলে যান সাইফ হাসান। অন্যপ্রান্তে থাকা সৌম্য সরকারও ঝলক দেখাতে পারেননি। তিনিও ফেরেন মাত্র ৫ রান করেই। এরপর অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের জুটির দিকে সবাই তাকিয়ে থাকলেও তারাও হতাশ করে সমর্থকদের। ৩৭ বল খেলে সুমন খানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে মাঠ ছাড়েন মুশফিক। আর নাজমুল ৫৭ বল খেলে করেন ৩২ রান। আফিফ হোসেনও সুমন খানের বলে আউট হলে নাজমুল একাদশ অনেকটাই তীর হারিয়ে ফেলে। তবে ইরফান শুক্কুর ও তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট কিছুটা আলো ছড়ালে দলের মোট সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৩। সুমন খান ১০ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন। রুবেল হোসেন নেন ২টি উইকেট।

মাহমুদুল্লাহ একাদশ
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, মুমিনুল হক, নুরুল হাসান সোহান, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, সুমন খান, এবাদত হোসেন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, মাহমুদুল হাসান।

নাজমুল একাদশ
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), তৌহিদ হৃদয়, ইরফান শুক্কুর, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, আল-আমিন হোসেন ও নাসুম আহমেদ।