অনলাইন ডেস্ক : করোনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি কী হয় তা নিয়ে উৎকণ্ঠার কারণে আগাম ভোটের হার বাড়ছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাকি এখনও প্রায় চার সপ্তাহ। এরই মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প বা বাইডেনকে।
করোনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি কী হয় তা নিয়ে উৎকণ্ঠার কারণে আগাম ভোটের হার বাড়ছে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাকি এখনও প্রায় চার সপ্তাহ। এরই মধ্যে ৪০ লাখের বেশি মানুষ আগাম ভোট দিয়ে ফেলেছেন ট্রাম্প বা বাইডেনকে।

২০১৬ সালে এই সময়ে এসে আগাম ভোট প্রদানের পরিমাণ ছিল মাত্র ৭৫ হাজার। কিন্তু এবার গত বারের চেয়ে ৫০ গুণ বেশি ভোট পড়েছে বলে আগাম ভোট ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ইউএস ইলেক্টশন প্রজেক্ট জানিয়েছে। রয়টার্স।

ইলেক্টশন প্রজেক্টের প্রশাসক ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মিশেল ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের কারণে নিরাপত্তার জন্য আগাম ও ডাকযোগে ভোট দেয়ার আগ্রহ বেড়েছে। ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বিবেচনায় নেয়াও আগাম ভোটে আগ্রহের কারণ বলে জানান তিনি।

ম্যাকডোনাল্ড বলেন, ‘ভোটের আগে এত বেশি মানুষের ব্যালট পেপারে রায় দিয়ে দেয়ার ঘটনা আমরা এর আগে দেখিনি। মানুষ মনস্থির করার পরই ব্যালট পেপারে রায় দেয়। আমরা বলতে পারি, অনেক মানুষ কাকে ভোট দেবেন সে বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন। এমনকি তারা ট্রাম্পের বিষয়েও একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন।’

আগাম ভোট প্রদানের রেকর্ড দেখে ম্যাকডোনাল্ড মোট ভোট পড়ার হার নিয়েও ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। তার মতে, এবার ১৫ কোটি ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এমনটি হলে তা হবে উপযুক্ত ভোটারের ৬৫ শতাংশের ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং ১৯০৮ সালের পর সর্বোচ্চ ভোট কাস্টিং।

আগাম ভোটের এ প্রবণতার মধ্যে জাতীয় জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন। তবে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোর জরিপ বলছে, রিপাবলিকান ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট ও উপস্থিত না ডাকযোগে ভোট দেয়ার হার নিয়মিতই বাড়ছে।

২০০৪ সালে আগাম ভোট পড়ার পরিমাণ ছিল দুই কোটি ৫০ লাখ। ২০১৬ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়ায় পাঁচ কোটি ৭০ লাখে। ট্রাম্প অবশ্য শুরু থেকেই ডাকযোগে ভোটের বিপক্ষে। তার দাবি হচ্ছে, এক্ষেত্রে ভোটের ফল পেতে অনেক দেরি হবে এবং প্রতারণার আশঙ্কা আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা প্রতারণার ঘটনা বিরল বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের দাবি।

ভোটে অনিয়ম প্রমাণে তৈরি ‘আর্মি ফর ট্রাম্প’ : আগাম ভোট কেন্দ্র এবং ব্যালট বাক্সগুলোতে অনিয়ম প্রমাণের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তৈরি হচ্ছে ‘আর্মি ফর ট্রাম্প’।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগাম ভোট ও ডাযোগে ভোটে ব্যাপক অনিয়ম ও ভোটারদের প্রতারিত করা হবে বলে অভিযোগ করে আসছেন।

তার এসব অভিযোগ সত্য প্রমাণের জন্য হাজারো স্বেচ্ছাসেবীকে মোবাইল ফোন হাতে আগাম ভোটের কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে রিপাবলিকান শিবির।

পেনসিলভানিয়া, উইসকনসিন ও ফ্লোরিডার মতো ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে আগাম ভোট ও ডাকযোগে দেয়া ভোটে অনিয়ম প্রমাণে তৎপর থাকবে ‘আর্মি ফর ট্রাম্প’।