অনলাইন ডেস্ক : তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মার্কিন সামরিক-সংশ্লিষ্ট নয়টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল চীন।

গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের সর্বশেষ পদক্ষেপ এটি। এর আগে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে একই অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অস্ত্র কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল চীন।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। তাদের নিজস্ব সংবিধান ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতা রয়েছে। তবে দ্বীপটিকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে চীন। এই ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিতে জোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এমনকি চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের ‘একত্রীকরণে’ সামরিক শক্তি খাটানোর হুমকিও দিয়ে আসছে বেইজিং। তাইওয়ানের সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী হোয়াইট হাউসকে চীন বারবার আহ্বান জানিয়েছে, দ্বীপের নেতৃত্বের সাথে আনুষ্ঠানিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুধবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা ওই নয়টি মার্কিন সামরিক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করেছে। সেগুলো হল- সিয়েরা নেভাদা করপোরেশন, স্টিক রুডার এন্টারপ্রাইজেস এলএলসি, কিউবিক করপোরেশন, এসথ্রি অ্যারোস্পেস, টিকম লিমিটেড পার্টনারশিপ, টেক্সটওর, প্ল্যানেট ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ, এসিটি১ ফেডারেল এবং এক্সোভারা।

মন্ত্রণালয়টি বলছে, পাল্টাব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে চীনে থাকা এই কোম্পানিগুলোর স্থাবর, অস্থাবরসহ সব সম্পদ জব্দ করা হবে এবং চীনের বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিদের তাদের সঙ্গে লেনদেন ও সহযোগিতা করা থেকে বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বুধবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তাইওয়ানকে সশস্ত্র করার বিপজ্জনক প্রবণতা’ অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন বন্ধ করুন এবং তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করা বন্ধ করুন। সূত্র:রয়টার্স