অনলাইন ডেস্ক : ৯৩ বছর বয়সে আবারও বিয়ে করেছেন মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডক। এটি তার পঞ্চম বিয়ে। পাত্রীর নাম এলেনা জুকোভা। ৬৭ বছর বয়সী এই নারী একজন অবসরপ্রাপ্ত রাশিয়ান আণবিক জীববিজ্ঞানী।

এর আগে গত মার্চে বাগদান সারেন তারা। রোববার (২ জুন) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক তার ক্যালিফোর্নিয়া ভিনেয়ার্ডে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে পঞ্চমবারের মতো বিয়ে করেছেন। স্থানীয় সময় গত শনিবার আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানে ৬৭ বছর বয়সী এলেনা জুকোভার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ৯৩ বছর বয়সী মারডক।

মূলত সাবেক পুলিশ চ্যাপ্লেন অ্যান লেসলি স্মিথের সাথে বাগদান ২০২৩ সালের এপ্রিলে হঠাৎ করে ভেঙে যাওয়ার পরপরই মারডক মিসেস জুকোভার সাথে ডেটিং করছেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়েছিল। পরে গত মার্চে তাদের বাগদানের খবর পাওয়া যায়। সেটি মারডকের ষষ্ঠ বাগদান হলেও এটি মারডকের পঞ্চম বিয়ে।

বিবিসি বলছে, গত বছরের এপ্রিলে আকস্মিকভাবে নিজেদের বাগদান বাতিল করেন রুপার্ট মারডক ও অ্যান লেসলি স্মিথ। সেবছর গ্রীষ্মের শেষেই যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। তবে সাবেক ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বাগদান বাতিলের পর থেকেই রুশ বিজ্ঞানী এলেনা জুকোভার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত মারডক ডেট করছিলেন বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

নিজের সাবেক স্ত্রী চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংয়ের আয়োজিত একটি পার্টিতে জুকোভার সঙ্গে মারডকের দেখা হয়েছিল বলে জানা গেছে। মারডকের অন্যান্য সাবেক স্ত্রীরা হলেন- অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ বংশোদ্ভূত সাংবাদিক আনা মান, ওয়েন্ডি ডেং এবং মার্কিন মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হল।

অন্যদিকে এলেনা জুকোভা এর আগে রাশিয়ান বিলিয়নেয়ার আলেকজান্ডার ঝুকভকে বিয়ে করেছিলেন। আর তাদের মেয়ে দাশা ঝুকোভা একজন শিল্পপতি এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুবই সক্রিয়।

বিশ্বের ‘সবচেয়ে সুখী’ দাবি করা মারডকের চতুর্থ সংসারও ভাঙছে
সেই সঙ্গে দাশার আরও একটি পরিচয় হলো, রাশিয়ার ধনকুবের এবং ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব চেলসা এফসির সাবেক মালিক রোমান আব্রহামোভিচের স্ত্রী ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে বিয়ে হয়েছিল তাদের, এরপর ২০১৭ সালে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, রুপার্ট মারডক ১৯৫০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ায় তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড এবং দ্য সান সংবাদপত্র কিনে নেন। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্ট এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বেশ কয়েকটি মার্কিন প্রকাশনাও কিনে নেন।

এরপর ১৯৯৬ সালে তিনি ফক্স নিউজ চালু করেন। এটি এখন এমন একটি টিভি নিউজ চ্যানেল যা যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি দেখা হয়। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত নিউজ কর্প-এর মাধ্যমে মারডক শত শত স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক মিডিয়া আউটলেটের মালিক রয়েছেন।