অনলাইন ডেস্ক : শিশুটির বয়স মোটে সাত বছর। এর মধ্যেই উড়োজাহাজ চালানোর বিদ্যা সে রপ্ত করে ফেলেছে! উড়োজাহাজ চালনায় প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে তিনবার পাইলটের সঙ্গে ছিল সে। তাকে নিয়ে তার দেশে শুরু হয়েছে হইচই। এরই মধ্যে তারকাখ্যাতি পেয়েছে শিশুটি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সাত বছর বয়সী শিশুটির নাম গ্রাহাম শেমা। তার বাড়ি উগান্ডায়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এরই মধ্যে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
গণমাধ্যমগুলোতে শিশুটিকে ‘ক্যাপ্টেন’ নামে পরিচিত করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। উগান্ডায় নিযুক্ত জার্মানির রাষ্ট্রদূত এরই মধ্যে গ্রাহামের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন। উগান্ডার পরিবহনমন্ত্রীও তাকে এক সভায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গ্রাহামের আগ্রহ বেশি। সে বলেছে, বড় হয়ে উড়োজাহাজের পাইলট হতে চায়। মহাকাশচারী হওয়ার ইচ্ছাও আছে তার এবং যেতে চায় মঙ্গল গ্রহে। গ্রাহাম বলেছে, ‘আমার অনুকরণীয় ব্যক্তি হলেন ইলন মাস্ক।’ এরই মধ্যে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে ‘সেসনা ১৭২’ মডেলের উড়োজাহাজ চালনায় অংশ নিয়েছে সে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এক দুর্ঘটনার পর থেকেই উড়োজাহাজের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে গ্রাহাম শেমা। ঘটনাটি হলো স্থানীয় পুলিশের একটি হেলিকপ্টার খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল। একসময় গ্রাহামের দাদির বাসার ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ওই হেলিকপ্টারের কারণে। গ্রাহামের মা বলেন, ‘এই ঘটনা তার মনে দাগ কেটে যায়। এরপর থেকেই উড়োজাহাজ কীভাবে কাজ করে, তা নিয়ে গ্রাহাম জানার চেষ্টা শুরু করে।’
গত বছর স্থানীয় একটি অ্যাভিয়েশন একাডেমিতে গ্রাহামকে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকে গ্রাহামের জানাশোনা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। এখন উড়োজাহাজ চালানো শিখছে গ্রাহাম শেমা।