সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাঙালি মুসলমান হত্যাযজ্ঞে পাকিস্তানের ধর্মান্ধ ইসলাম! এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! সেই অভিশাপের তাড়নায় বিপদসংকুল পরিবেশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কাছে পরাজিত ধর্মান্ধ রাজনীতি একটি সুবিশাল রহস্য! বাংলাদেশের স্বাধীনতাই আমার ধর্ম! ৭১-এর পরাজিত শক্তিই হিংস্র জীব-জানোয়ারের চেয়েও ভয়ঙ্কর মানুষরূপী কোন জীব। সে সময় মামুনুলদের মতো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা, সঙ্গীত গিলে খাওয়ার মতো হায়েনার দল ছিলো না। ছিলো না ধর্মের নামে ধর্ম অবমাননা করার মতো ভয়ঙ্কর জীবের অস্তিত্ব। মা-বোনের সতীত্ব-সম্ভ্রম হরণ করার মতো দানবদের আনাগোনা। ছিলো না মন্দির-মসজিদ ভাঙার মহোৎসব। মামুনুলদের হুংকারে আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ, বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন, ৭ মার্চ, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, বৈশাখী উৎসবে আস্থাশীল মানুষ সবাই ভীত, শংকিত। বাংলাদেশের জন্মকে এরা প্রকাশ্যে অস্বীকার করে। তাদের হিংস্র হুংকারে আজ অন্য ধর্ম স¤প্রদায়ের মানুষের জন্য বাংলাদেশ আর নিরাপদ বাসযোগ্য নয়।
১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই এক দল বিহারীরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িঘর আর প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়েছিলো। ঠিক ৫০ বছর পর মত উগ্রপন্থী কোন জঙ্গি সংগঠন যদি তখন থাকতো, তাহলে মানুষ ইসলাম ধর্মের আলো বুঝতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ শুক্রবার জুমার নামাজের পর ঢাকায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটালো! এই উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল! বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে হাত দিলো! ৩০ লক্ষ শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করা এই দেশে শীঘ্রই এই জঙ্গিবাদের বিচার হবে, অবশ্যই বিচার হবে ইনশাআল্লাহ্।
মাদ্রাসা, কি ভয়ংকর এক প্রতিষ্ঠানের নাম! আজ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। আমার প্রশ্ন আপনাদের মাদ্রাসায় জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২০০-এর উপর মাদ্রাসায় পড়তে আসা ছোট ছোট এতিম শিশুকে বলাৎকার এর ঘটনা ঘটেছে।
প্রথম তিন মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে আরও ১০ শিশু। তবে মাদ্রাসায় শিশু ধর্ষণের প্রকৃত চিত্র আরও অনেক বেশি বলে বলছেন, গবেষকরা। (বিস্তারিত ভিডিওতে : Video Courtesy: ETV NEWS #হেফাজত #ধর্ষণ #মাদ্রাসা #বলাৎকার #শিশুধর্ষণ #হুজুর)! এত এত শিশু বলাৎকার ও ধর্ষণের শিকার হওয়া সত্বেও যদি অবিভাবকদের টনক না নড়ে তাহলে দোষ অভিভাবকদেরই। ধর্মীয় অনুশাসন এবং রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী যদি সমকামিতা অবৈধ হয় তাহলে বলাৎকারের মত জঘন্য পাপাচারের বিরুদ্ধে হেফাজত নেতারা প্রতিবাদ মিছিল ও সভা সমাবেশ করে না কেন? আমাদের ঘোষণা হলো, কওমী মাদ্রাসা থাকতে হবে।
ধর্মের নামে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত, সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও ভাংচুর করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। এখন থেকে আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে নির্দেশ দিচ্ছি সরকারের পাশে থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে দমন করার। সময় হয়েছে আঘাতের প্রতিঘাত করার। বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত আওয়ামী লীগ অফিস, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর পরিদর্শন শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি এসব কথা বলেন (7 April 2021) তিনি বলেন, আঘাত এসেছে, সময় হয়েছে প্রতিঘাত করার, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ধর্মের নামে হেফাজত অধর্মের কাজ করছে, রিসোর্টে নারী নিয়ে ধরা পড়েছে হেফাজতের যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হক। তাকে রিসোর্ট থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে হেফাজতের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ অফিস, আওয়ামী লীগ যুবলীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
হেফাজতের এই অধঃপতন ধারাবাহিক অপকর্মের ফল! ‘হেফাজতে ইসলামের বর্তমান কমিটির ধারাবাহিক অপকর্মের ফল হচ্ছে মামুনুল-কান্ড। তাদের কর্মকান্ডের কারণে কওমি সমাজ আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। মামুনুল হকসহ বর্তমান কমিটির নেতাদের বয়কট করার জন্য দেশবাসীকে অনুরোধ করছি।’ – হেফাজতের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী! বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টাকারী মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
হেফাজত বা জামাতিরা ধ্বংস, রক্তপাত আর হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছু বুঝতে চায় না। ৭১ এ মুক্তযুদ্ধকে ধর্মযুদ্ধ বলে গুজব আর অপপ্রচার চালিয়ে- আল বদর, আল শামস নামে রাজাকারের দল গঠন করে গণহত্যা চালিয়েছিলো বাংলাদেশের বুকে। তারপর আফগানিস্তানের মত সুন্দর একটি দেশ ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে এই চরমপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর দল। তারা হলো সেই ওয়াহাবি মতাদর্শের তালেবান- আল কায়দার মতো উগ্রপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠীর অনুসারী।
গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ (২০২১) তারিখে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ও হাটহাজারীসহ সারাদেশে জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসযজ্ঞে জামায়াত ও হেফাজতের যে সকল সন্ত্রাসী জড়িত/দায়ী ছিল, এদেরকে ছবি-ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে তাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পদ রাষ্ট্রের অনুক‚লে বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ হিসাবে আদায় করা হোক। সেদিন দেশের মধ্যে তারা (হেফাজত-জামায়াত গং) পাগলা কুকুরের মত আচরণ করেছে।
অতএব তাদের বিচারের আওতায় আনা হলে ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী কর্মযজ্ঞ কমে আসবে। আর যদি রাষ্ট্র তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে ব্যর্থ হোন; তাহলে এ জাতির জন্য অপেক্ষা করছে দ্বিতীয় আরেকটি আফগানিস্তান! এই মুহূর্তে দাজ্জাল এসে যদি তাদের বলে এই সরকার ভাল নয়। দেখবেন জামায়াত-হেফাজত বলবে মারহাবা দাজ্জালই আমাদের আমির!
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ, দেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে গণহত্যা ও আগুনসন্ত্রাস চালায়; ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি ঘটানোর অপচেষ্টা করে এই দেশবিরোধী ও মানবতাবিরোধী ধর্মব্যবসায়ীরা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর, ইসলামের হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে ছদ্মবেশে মাঠে নামে রাজাকারদের বংশধররা। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন্দ্র করে দেশকে অস্থির প্রচেষ্টা করছে এরা। স¤প্রতি এদের সমর্থনে যোগ দেয় আদর্শচ্যুত হয়ে ক্ষয়ে যাওয়া বামজোটের কয়েকজন নেতা। মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়েও বামদের এই বিচ্যুত অংশটি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পর্যন্ত কটুক্তি করেছিল। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয় এবং এই অপশক্তিদের পরাজয় ঘটে। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে বেছে নিয়েছে এরা।
ধর্মব্যবসায়ী মৌলবাদী গোষ্ঠী দুইশত বছর কাফের ইহুদিদের শাসন শোষণ নিপীড়ন ২৪ বছর পাকিস্তানের শোষণ নিপীড়ন সময় ছিলো না, মৌলবাদী গোষ্ঠীরা তাদের দোষর ছিলো। ইসলামের পরিভাষায় জামায়াতি বিএনপি মৌলবাদী গোষ্ঠী মোশরেক মুনাফেক বেঈমান এজিদী দল। মক্কা মদিনার ইমাম হলে কাজ হবে না।
মুনাফেক হলে অকৃতজ্ঞ হলে কোরআন আছে শত প্রমাণ। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের প্রধান হচ্ছে ঈমান। আল্লাহ তাঁর রসুলের বাণী মনে প্রাণে বিশ্বাস ঈমান। ঈমান না থাকলে মুসলমান হওয়া যায় না। আল্লাহ বানী “আল্লাহ কোন অকৃতজ্ঞ জাতি বা ব্যক্তিকে পছন্দ করে না। ৭১ সালে দেশমাতৃকার স্বাধীনতায় ভারত প্রায় দুকোটি বাঙালি নয় মাস আশ্রয় দেয়। সমস্ত মুক্তিযুদ্ধাদের প্রশিক্ষণ অস্ত্র গোলাবারুদ বিমান সবই দিয়ো সাথে থেকে যুদ্ধ করে স্বাধীন করে দেয়। সৌদিসহ বিশ্বের অনেক দেশই স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় নাই। ভারতই আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি সব চেষ্টা করে।
যেসব মুনাফেকর দল স্বাধীনতার বিরোধীতা করে হানাদার বাহিনীর সাহায্য করেছিলো ইসলামে মুনাফেক এজিদ। ইসলামে কোথাও প্রমাণ করতে পারবে স্বাধীনতা বিরোধী মুনাফেক এজিদ না। এরা ধর্মের নামে অভিশপ্ত। মুসলমানদের ঈমানী সার্টিফিকেটের মালিক একমাত্র আল্লাহ রসুল। কোন ধর্মব্যবসায়ী না। যারা দেশকে ভালোবাসে না তারা কিসের নবীর উত্তম। প্রমাণ ১৭৫৭-১৯৭৪ থেকে ১৯৪৭-১৯৭১ দেশের জন্য আত্মদানকারীদের আজও ইতিহাস সাক্ষী। ৭১ এর ত্রিশ লাখ শহীদ দুই লাখ মাবোনের ইজ্জত লুন্ঠন বাংলাদেশকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খাড় করে দিয়েছিলো। স্বাধীনতা বিরোধীরা লুটেপুটে পরবর্তীতে কত বড় মিথ্যা ভারতের লুটে নিয়েছে ভারতের স্বার্থ আছে ইত্যাদি মুনাফেকী কর্ম। ৭১ সালে হানাদার বাহিনী গুলি বর্ষণ হত্যা ধর্ষণে সহায়তা সাথে থেকে লুটতরাজ করেছে সে সময়ের কোটি মানুষ এখনও জীবিত আছে।
মুনাফেকের দল জামায়াতি বিএনপি মৌলবাদী গোষ্ঠী জাতি ধর্ম বর্ণ সমাজ দেশের দূশমন মুনাফেক এজিদের দল শতভাগ প্রমাণিত। ইসলামের ইতিহাসে দেখা যায় মুনাফেকরা এত ভয়ংকর সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যা সত্য পরিণত করা দেখে মহান রব্বুল আলামীন কোরআনে মুনাফেকদের সম্পর্কে কঠিনতর বাণী দিয়েছেন। স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতি বিএনপি মৌলবাদী গোষ্ঠীর সকল ষড়যন্ত্র ধ্বংস হবেই ইনশাআল্লাহ। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা মন্ত্রী এমপি স্বাধীনতা বিরোধীদের অনুপ্রবেশ সুযোগ সন্ধানী হাইব্রিড মোস্তাক গং-দের প্রশ্রয় না দিতো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় বন্যার মত সমস্ত ময়লা আবর্জনা ধূয়ে মুছে যেত যাবেই ইনশাআল্লাহ জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।”
বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশজুড়ে উৎসব চলছিল। এই সুবর্ণ সময়টি আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের জন্য সরকার ছিল কিছুটা ব্যস্ত। ১০ দিনব্যাপী এই উৎসবে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা আসছিলেন বাংলাদেশে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২৬ মার্চ ঢাকায় আসেন প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগমনকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার পাঁয়তারা করে একটা চক্র। বিক্ষোভ ও হরতালের ডাক দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও যুব অধিকার পরিষদ এবং কট্টর ইসলামি সংগঠন হেফাজত ইসলাম।
২৫ মার্চ, রাজধানীর শাপলাচত্বরে মোদী বিরোধী মিছিল থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালায় যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। দেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার দায়ে, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে আটক হন যুব জমিয়তের নেতা ও ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী। বিএনপি-জামায়াতের জোটের শরিক দল জমিয়তের এই নেতাকে পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়েও দেয় পুলিশ। কিন্তু তাদের হামলায় সেদিন আহত হয় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। কিন্তু পরিস্থিতি যাতে শান্ত না হয়, সেজন্য উগ্র বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন হেফাজত নেতারা। তাদের আহ্বানে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সহিংসতা। ইসলাম রক্ষার জন্য জেহাদি ডাক দিয়ে, কওমি মাদ্রাসার শিশু-কিশোরদের রাস্তায় নামিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে হেফাজতের কয়েকজন নেতা। মূলত ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, মাদ্রাসা ছাত্র ও হেফাজত কর্মীদের উত্তেজিত করে, আদিম কায়দায় সীমাহীন ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসন্ত্রাস সৃষ্টি করে এই চক্রটি। থানা-হাসপাতাল-সরকারি অফিস, এমনকি রাষ্ট্রীয় গ্যাসফিল্ড পর্যন্ত রক্ষা পায়নি এদের নাশকতা থেকে। কেউ প্রতিবাদ করলে, তাদের বাড়িঘর পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে এরা। মেরে রক্তাক্ত করেছে শিশু থেকে বৃদ্ধা, সবাইকে।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রায় ১৫০০ বছর আগেই বলে গিয়েছেন, এমন এক যুগ আসবে যে যুগে আলেমের বেশে কিছু মোনাফেকের আবির্ভাব ঘটবে। তাদের মাথায় টুপি থাকবে, লম্বা জোব্বা থাকবে, কাপড় টাখনুর অনেক উপরে থাকবে, মুখে দাঁড়ি থাকবে, কথায় কথায় শিরক এর ফতোয়া দিবে, সাধারণ মুসলমানদেরকে অযথা হত্যা করে বেড়াবে, এরা মসজিদের দিকে বেশি আসবে, কোরআন তোমাদের থেকে ভালো পড়বে কিন্তু কোরআন এদের গলার নিচে কখনোই ঢুকবেনা, হাতে তসবিহ থাকবে, চেহারা থাকবে ফেরেস্তাদের মতো, কথা বলবে নবীদের মতো, “আল্লাহর জিকির করবে কিন্তু এদের অন্তরে থাকবে মোনাফেকি।
এরা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে যেমন ধনুক থেকে তীর বের হয়ে যায়। এরা অগণিত হারে বাড়তে থাকবে এবং এদের শেষ দল দাজ্জ্বালের সাথে গিয়ে মিলিত হবে এবং এদের স্থান হচ্ছে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে। – হে বাঙালি মুসলমানগন তোমরা কী এমন আলেমদের আগমন দেখতে পাচ্ছো না?”
বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন। এদের রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা হত্যা, লুটপাট, লাঞ্চ ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন।
এখন প্রশ্ন, এসব দালালকে দেশে ফিরিয়ে আনলো কে? রাজনীতি করবার সুযোগ দিয়েছে কে? মহান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলে প্রচার করা হয়, সেই মেজর জিয়াউর রহমান। যিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে সামরিক শাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। মওলানা মান্নান, আব্দুল আলীমসহ কুখ্যাত রাজাকারদের বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে নিয়ে তার মন্ত্রিসভা সাজিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন শাহ আজিজকে। আর ‘রাজাকার রাজাকার ভাই ভাই, পাকিস্তানি ঐক্য চাই’ এই আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে জিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী একাত্তরের খুনি গোলাম আযমকে বাংলাদেশে আমদানি করা হয়েছিল।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!