অনলাইন ডেস্ক : পাহাড়া ধসে একটি মেগা সুনামির সৃষ্টি হয়েছিল। এতে সৃষ্ট ভূমিকম্পে ৯ দিন ধরে পৃথিবীতে কম্পন সৃষ্টি হয়। বিষয়টি বিজ্ঞানিদের চিন্তিত করে তুললে শেষ পর্যন্ত তারা এর রহস্য খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছে। খবর বিবিসি
এই রহস্য খুঁতে বিশ্বের ১৫ দেশের ৬৮ জন বিজ্ঞানী কাজ করেছেন। তারা পূর্ব গ্রিনল্যান্ডে, বিশেষ করে সুনামি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাতে সংকেতটি চিহ্নিত করেছেন।
অদ্ভুত এই ঘটনাটি একটি বিশাল হিমবাহ গলে যাওয়ার কারণে হয়। গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি বিশাল ভূমিধস হয়। যে কারণে ২০০ মিটার বা ৬৫০ ফুটের মেগা সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল।
সিসমোলজিস্টরা প্রাথমিকভাবে অন্য কিছু ভেবেছিলেন। তারা মনে করেছিলেন, যন্ত্রগুলোর অস্বাভাবিক কম্পন ত্রুটি ছাড়া কিছু নয়। কারণ, সাধারণ ভূমিকম্প হলে যন্ত্রগুলো স্বল্প সময়ের মধ্যে সংকেত দিয়ে থাকে। কিন্তু এ ক্ষেত্র ব্যাপারটি আলাদা ছিল। যন্ত্রগুলো প্রায় নয় দিন ধরে ভূকম্পের সংকেত দিয়েছে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের একজন সিসমোলজিস্ট এবং পিয়ার-রিভিউড জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার সহ-লেখক স্টিফেন হিকস এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি ভূমিকম্পের সংকেতটিকে একঘেয়ে গুঞ্জন হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এ ঘটনার জন্য বিজ্ঞানীরা বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনকেই দায়ী করেছেন। উষ্ণায়নের প্রভাবে হিমবাহটি বছরের পর বছর ধরে গলেছে এবং সেটাই একটা সময় আছড়ে পড়েছে।