অনলাইন ডেস্ক : বৈশ্বিক ধনকুবের বা বিলিয়নিয়াররা রেকর্ডভাঙা সম্পদ উপার্জন করেছেন ২০২৪ সালে। এক প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে সদ্য বিদায় নেওয়া বছরটিতে বিশ্বের ৫০০ জন শীর্ষ ধনী ব্যক্তির সম্মিলিত উপার্জন ছিল প্রায় ১০ লাখ কোটি ডলার।

অতীতের কোনো বছরে ধনীদের এত বেশি সম্পদ বৃদ্ধির রেকর্ড নেই। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর বিশ্বের শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্মিলিত উপার্জন ছিল ১০ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার। পরে ৩০ ডিসেম্বর সোমবার তা নেমে আসে ৯ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলারে।

এত বিবৃতিতে বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা ২০২৪ সালে যে পরিমাণ আয় করেছেন, তা জার্মানি, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার ওই বছরের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের (জিডিপি) সমান।

২০২৪ সালে যে শীর্ষ ৫০০ জন বিলিয়নিয়ারের সম্পদ বেড়েছে, তাদের মধ্যে সবার সামনে রয়েছেন আছেন প্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তারা। এ তালিকায় প্রথম আটজন হলেন এক্সের মালিক ইলন মাস্ক, মেটা প্ল্যাটফরমের মালিক মার্ক জুকারবার্গ, বিশ্বের বৃহত্তম সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার মালিক জেনসেন হুয়াং, মার্কিন সফটওয়্যার ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বত্বাধিকারী ল্যারি এলিসন, মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অ্যামাজোনের মালিক জেফ বেজোস, ডেল টেকনোলজিসের মালিক ও শীর্ষ নির্বাহী মাইকেল ডেল, গুগলের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ এবং সার্গেই ব্রিন। ২০২৪ সালে এই আটজনের সম্মিলিত উপার্জনের পরিমাণ ৬০ হাজার কোটি ডলার।

সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেছেন ইলন মাস্ক। ২০২৪ সালে তার উপার্জিত সম্পদের পরিমাণ ছিল ৪৪ হাজার ২১০ ডলার। মেটা প্ল্যাটফরমের মালিক মার্ক জুকারবার্গ আয় করেছেন ২১ হাজার ৯০০ কোটি ডলার এবং তৃতীয়স্থানে থাকা এনভিডিয়ার মালিক জেনসেন হুয়াং আয় করেছেন ৭ হাজার ৬০০ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারেও বছরভর ছক্কা হাঁকিয়েছে প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোর শেয়ার। অ্যাপল, মেটা, অ্যামাজন, অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট, এনভিডিয়াসহ অধিকাংশ প্রযুক্তি কোম্পানির শেয়ারের দাম সারা বছরই চড়া ছিল।

গত ৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি নিজেও একজন ব্যবাসায়ী উদ্যোক্তা। ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানে জানা জানা গেছে, ট্রাম্পের জয়ের পর নভেম্বর-ডিসেম্বর ২ মাসে বিশে।বর শীর্ষ ৫০০ ধনীর সম্মিলিত সম্পদ বেড়েছে ৫০ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

সূত্র : ব্লুমবার্গ, আরটি