অনলাইন ডেস্ক : বলিউডে একের পর এক বিদায়ঘণ্টা। ইরফান খান, ঋষি কাপুরের পর ওয়াজিদ খানের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বলিউড। ৪২ বছর বয়সী এই সংগীত পরিচালক অনেক সুর এলোমেলো করে চলে গেছেন সুরের ওপারে। করোনা ও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মারা যাওয়ার কথা প্রথম নিশ্চিত করেন আরেক সংগীতশিল্পী সনু নিগম। ১৯৯৯ সালে সনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের ‘দিওয়ানা তেরা’, ‘আব মুঝে রাত দিন’, ‘ইস কাদার প্যায়ার হ্যায়’—এসব গানে সুর করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। ওয়াজিদ একেকটি গানের জন্য লাখ লাখ টাকা নিতেন। ওয়াজিদ তাঁর পরিবারের জন্য কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন।

বলিউডের মানিকজোড় সাজিদ-ওয়াজিদ-এর সুর বারবার ঝড় তুলেছে। একাধিক হিন্দি ছবিতে তাঁরা সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন। তবে আজ ওয়াজিদ ছাড়া ভাই সাজিদ কোথায় ছন্দহীন, সুরহীন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইয়ের উদ্দেশে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন সাজিদ। ওয়াজিদ সালমান খানের একাধিক ছবিতে গানও গেয়েছেন। ওয়াজিদ বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের অত্যন্ত কাছের ছিলেন। ভাইজানের ‘প্যায়ার কিয়া তো ডরনা ক্যায়া’, ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, ‘গড তুসি গ্রেট হো’, ‘পার্টনার’, ‘গর্ব’, ‘দাবাং সিরিজ’, ‘মুঝসে শাদি কারোগে’, ‘তেরে নাম’, ‘এক থা টাইগার’সহ একাধিক ছবির সংগীত দিয়েছেন ওয়াজিদ। আর গানগুলো দারুণভাবে হিট। ‘মাশাল্লাহ মাশাল্লাহ’, ‘চিনতা তা চিতা চিতা’, ‘হুড হুড দাবাং’, ‘জালওয়া’, ‘আব মুঝে রাত দিন’—এমন অসংখ্য গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। বহু জনপ্রিয় গানের এই সুরকার একটি গানের জন্য ৩০ থেকে ৬০ লাখ টাকা নিতেন বলে জানা গেছে। এবার জানা যাক ওয়াজিদ কত কোটি টাকার সম্পত্তি তাঁর পরিবারের জন্য রেখে গেছেন। খবর অনুযায়ী, এই সংগীত পরিচালক ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি রেখে গেছেন তাঁর পরিবারের জন্য।

সাজিদ ও ওয়াজিদ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
সাজিদ ও ওয়াজিদ খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দু-তিন মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন ওয়াজিদ। আর চিকিৎসাধীন ছিলেন। কিছুদিন আগে ওয়াজিদের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। জানা গেছে, তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল। ২০১০ সালে ওয়াজিদ মরিয়ম আসিফ সিদ্দিকীকে বিয়ে করেন। তাঁদের ঘরে একটি পুত্র ও একটি কন্যাসন্তান আছে।

১৯৮৮ সালে সোহেল খান পরিচালিত বলিউড চলচ্চিত্র ‘প্যায়ার কিয়া তো ডারনা ক্যা’তে প্রথম সংগীতায়নের কাজ করেন সাজিদ-ওয়াজিদ। এরপর সনু নিগমের ‘দিওয়ানা’ অ্যালবামের গানের সুরারোপ করেন। একই বছরে তাঁরা দুই ভাই ‘হ্যালো ব্রাদার’ ছবিতে সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন।