অনলাইন ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী ফল নিয়ে প্রতিবাদ করার অভিযোগে আটকের ১৪ বছর পর অবশেষে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন ইরানের বিরোধী নেতা মেহেদী কাররুবি। সোমবার তিনি গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলে দেশটির সরকারি ও আধা-সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।
ইরানের রাজনৈতিক সংস্কারকামীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আধা-সরকারি দৈনিক জামারানকে কাররুবির ছেলে হোসেইন বলেছেন, কাররুবির রাজনৈতিক মিত্র ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মীর হোসেইন মৌসাভিকেও আগামী কয়েক মাসের মধ্যে গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি দেওয়া হবে।
মেহেদী কাররুবি (৮৭) ও মৌসাভি (৮৩) ২০০৯ সালের ভোটে একটি সংস্কারপন্থি প্ল্যাটফর্ম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনে দেশটির কট্টরপন্থী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ক্ষমতায় ফেরেন। নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাকে বিজয়ী করা হয়েছে অভিযোগে বিরোধীরা দেশটিতে তুমুল বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন।
বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালে ওই দুই সংস্কারকামী নেতাকে আটক করা হয়। যদিও তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি কিংবা তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনও অভিযোগ গঠন করা হয়নি।
সোমবার হোসেইন কাররুবির বরাত দিয়ে দৈনিক জামারানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আমার বাবার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রধানের আদেশে আজ তার বিরুদ্ধে আটকাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।
তিনি বলেন, ‘‘তার বাবাকে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তার বাড়িতে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।’’
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা আইআরএনএ বলেছে, কাররুবিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে মৌসাভির মুক্তির বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংবাদমাধ্যম কোনও তথ্য জানায়নি।
গত বছর ইনসাফ নিউজকে হোসেইন কাররবি বলেছিলেন, ‘‘মৌসাভিকে আটকে রাখা হলে তার বাবা (মেহেদী কাররুবি) নিজের গৃহবন্দি দশা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত মানবেন না।’’
ইরানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নির্বাচনী প্রচারণার সময় ওই দুই রাজনীতিবিদকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
সূত্র: রয়টার্স।