অনলাইন ডেস্ক : অভাবের সংসারে আয়ের মধ্য থেকে টাকা বাঁচিয়ে প্রায় প্রতিদিনই লটারের টিকিট কাটতেন রাজমিস্ত্রি। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা লেগে থাকত। সেই লটারি থেকেই এবার কোটিপতি হয়ে গেলেন রাজমিস্ত্রি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সাংবাদপ্রতিদিনের খবরে বলা হয়, ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার আরামবাগ শহরের। ওই রাজমিস্ত্রির নাম উত্তমবাবু।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই ছেলে এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার উত্তমের। ছেলেরা পড়াশোনা করেছেন। তবে তেমন ভালো চাকরি পাননি কেউই। তাই পঞ্চাশোর্ধ্ব উত্তমবাবু রাজমিস্ত্রির কাজ করেই আয় করেন। সেই টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তার। আয় বাড়াতে একটি গুমটি দোকানও খোলেন। তাতেও সংসারের খরচ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্যান্য দিনের মতো গত বৃহস্পতিবার ১৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় টিকিট মেলান। ভেবেছিলেন অন্যান্যবারের মতো এবারও পুরস্কার পাবেন না তিনি। তবে মুহূর্তের মধ্যেই ভাঙল ভুল। পুরস্কার জয়ীদের তালিকায় টিকিটের নম্বর দেখেই চমকে যান। দেখেন কোটি টাকার প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। পুরস্কারের জয়ের কথা প্রথমে জানতে পেরে যেন মাথা ঘুরে যায় ওই ব্যক্তির।
শান্তভাবে বাড়ি ফেরেন উত্তম। তবে ততক্ষণে পুরো এলাকায় তার কোটিপতি হওয়ার কথা জানাজানি হয়ে যায়। তার স্ত্রী এবং দুই ছেলের কানেও যায় সে খবর। খুশি হন সবাই।
এত টাকা তিনি কী করবেন, এমন প্রশ্নের উত্তরে উত্তম বলেন, ‘আপাতত কিছুই বুঝতে পারছি না। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না হতদরিদ্র অবস্থা থেকে আমি কোটিপতি হয়ে গিয়েছি। এত টাতা জিতে খানিকটা নিরাপত্তাহীনও লাগছে।’
উত্তমবাবুর স্ত্রী বলেন, ‘খুব কষ্ট করে দুই ছেলেকে পড়াশোনা শিখিয়েছি। তারা ভালো কোনো চাকরি করে না। এবার ওদের জন্য কিছু করার কথাই ভাবছি।’
বাবার লটারি জয়ের ফলে এবার সুদিন ফিরবে বলেই আশা উত্তমবাবুর দুই ছেলেরও।