অনলাইন ডেস্ক : ব্যাংকঋণ পায় না, আবার চড়া সুদেও সমবায় থেকেও ঋণ নেয় না। এমন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ঋণসুবিধার আওতায় আনার পরিকল্পনা করেছে বেসরকারি খাতের আইএফআইসি ব্যাংক। এই ঋণের জন্য ১০ টাকা খরচ করে ব্যাংকে সহজ হিসাব খুলতে হবে। এরপরই মিলবে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ। জামানতবিহীন সহজ এই ঋণের সুদহার হবে ৪ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের শাখা ও সব উপশাখায় এই সুবিধা মিলছে। নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩ হাজার কোটি টাকা পুনঃ অর্থায়ন তহবিল থেকে এই সুবিধা দেবে ব্যাংকটি। করোনাভাইরাসের বিপর্যস্ত গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে এই তহবিল গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই তহবিল থেকে ঋণ নিয়ে ব্যাংকগুলো ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাকে ঋণ দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। তবে আইএফআইসি ব্যাংক নিজস্ব নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সারা দেশের অতিক্ষুদ্রদের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকার সুবাদে আমি দেখেছি, একটা শ্রেণি সব সময় ঋণবঞ্চিত থাকে। ছোট দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, ছোট বাহনের চালক, নরসুন্দর রয়েছে এই শ্রেণিতে। আমরা সেই শ্রেণির কাছে পৌঁছাতে চাই। তাদের ঋণের আওতায় আনা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। আমরা সেভাবেই সব শাখা ও উপশাখার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রযুক্তির এমন উন্নয়ন করেছি, যাতে একজন কর্মকর্তা সহজেই ঋণপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন।
ব্যাংক সূত্র জানায়, নতুন ধাঁচের এই ঋণ দিতে সহজ হিসাব চালু করেছে। এই হিসাব খোলা যাচ্ছে খুব সহজে। ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ঘরে বসেই খোলা যাচ্ছে এই হিসাব। আবার শাখায় গিয়েও খোলা যাচ্ছে সহজ হিসাব। এ জন্য ১০ টাকা জমা দিতে হচ্ছে।
আবার ঋণ নিতে খুব বেশি নথিপত্রের প্রয়োজন হবে না। যেহেতু অতি ক্ষুদ্রদের হিসাবের নথিপত্র সেভাবে থাকে না, তাই প্রয়োজনও হবে না। ঋণ পেতে কোনো জামানতও দিতে হবে না। তবে প্রতি মাসে বা বছরে বিক্রি কেমন, তার তথ্য জমা দিতে হবে।
আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারওয়ার এ নিয়ে বলেন, ‘গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকার সুবাদে আমি দেখেছি, একটা শ্রেণি সব সময় ঋণবঞ্চিত থাকে। ছোট দোকানদার, সবজি বিক্রেতা, ছোট বাহনের চালক, নরসুন্দর রয়েছে এই শ্রেণিতে। আমরা সেই শ্রেণির কাছে পৌঁছাতে চাই। তাদের ঋণের আওতায় আনা গেলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হবে। আমরা সেভাবেই সব শাখা ও উপশাখার কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রযুক্তির এমন উন্নয়ন করেছি, যাতে একজন কর্মকর্তা সহজেই ঋণপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। এভাবে আমরা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়তে চাই।’
এদিকে সারা দেশের দোকানদারদের এই ঋণের আওতায় আনতে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সঙ্গে চুক্তি করেছে ব্যাংকটি। এর আওতায় ইতিমধ্যে কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদীর মনোহরদী, শেরপুর ও রংপুরের দোকানদারদের হিসাব খোলা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকার কারওয়ান বাজারের প্রায় ৫০০ ব্যবসায়ীর তথ্য সংগ্রহ করেছে দোকান মালিক সমিতি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা চলতি সপ্তাহেই ১০০ হিসাব খুলে ঋণ দেওয়ার চেষ্টা করব। এটা শুরু করা গেলে অন্য এলাকার ব্যবসায়ীরা স্বেচ্ছায় এগিয়ে আসবে। এত কম সুদে ঋণ পেলে দোকানদারেরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে