অনলাইন ডেস্ক : ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নেওয়ার পর থেকেই এর মালিকও মার্ক জাকারবার্গ। এই ম্যাসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে এখন ভারতে আর্থিক লেনদেন চালু করতে চায়। এজন্য বিজেপি-আরএসএসকে সন্তুষ্ট রাখতে গিয়ে নানা বিতর্কের মুখে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় এ ম্যাসেজিং অ্যাপ।
এ ব্যাপারে ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী দাবি করেছেন ‘আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিন বিজেপির সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের যোগসাজশ ফাঁস করে দিয়েছে। ৪০ কোটি ভারতীয় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। এই সংস্থা এখন চাইছে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন চালু করতে। তার জন্য মোদী সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। এভাবেই হোয়াটসঅ্যাপের ওপরেও নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিজেপির।’
তবে এখন পর্যন্ত বিজেপির পক্ষ থেকে এ অভিযোগের প্রতিক্রিয়া দেয়া হয়নি।
সম্প্রতি মার্কিন দৈনিক ‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল’-এর একটি প্রতিবেদন বলা হয়, জেনেশুনেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ভারতের বিজেপি নেতাদের ঘৃণা বা উসকানিমূলক মন্তব্য মুছে ফেলতে চায় না।
এ প্রতিবেদন প্রকাশের পর ভারতজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। সেই বিতর্ক কিছুটা থিতু হয়ে আসার পরই মার্কিন সাপ্তাহিক পত্রিকা ‘টাইম ম্যাগাজিন’-এ প্রায় একই রকম একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলমানদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক সংবাদ প্রচার করে বিজেপির বিধায়ক শিলাদিত্য দেব। তিনি মুসলমান যুবক কর্তৃক তরুণী ধর্ষণের নিউজ শেয়ার করে তার কমেন্টে লিখেন, ‘দেখুন বাংলাদেশি মুসলমানরা কীভাবে আমাদের দেশের মানুষকে টার্গেট করছে?’
এ কমেন্টটি একবছর পর্যন্ত অনলাইনে ছিল। যদিও এখন তা মুছে দেয়া হয়েছে। গত ২১ আগস্ট পর্যন্ত এটি ছিল।
ফেসবুকের সাবেক একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইম ম্যাগাজিন জানায়, ওই সময় ভারত ও এশিয়া অঞ্চলের ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর ছিলেন শিবনাথ থুকরাল। ভারত সরকারের লবিং করাও তার কাজের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়াও তিনি রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্য মডারেশনের দায়িত্বও ছিল।
যদিও ওই পোস্টটি মুছে দিয়ে পরে ফেসবুক জানায়, আমরা প্রথম দিকে রিভিউয়ে এটি মুছে দিতে ব্যর্থ হয়েছিলাম। এটা আমাদের মিসটেক ছিল।
মূল বিষয়, ভারতের বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের কথা মাথায় রেখেই বিজেপি তথা ভারতের শাসক দলকে চটাতে চায় না ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরে ওই প্রতিবেদনেও অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিজেপি নেতাদের ঘৃণা-মন্তব্য মুছে ফেলতে চায় না মার্ক জাকারবার্গের সংস্থা