সোনা কান্তি বড়ুয়া : সেলুলয়েডের পর্দায় ভারতসম্রাট আকবরের সামনে আনারকলি গাইছেন, পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া। ২০১৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া গাইছেন, ভালবাসায় ভয় কিসের? খুদা আর বান্দার মধ্যে কোনও আড়াল নেই, তাই গোপনীয়তাও কিছু নেই। স্বয়ং খুদা আর আমার মধ্যেই যখন কোনও আড়াল নেই, তা হলে খুদার আর এক বান্দা ভারতসম্রাটকে ভয় পাওয়ারই বা কী আছে? বান্দাই তো। হায় আনারকলি! খুদার সামনে সব অকপটে বলতে পারলেও খুদার বান্দার সামনে সেই সাহস দেখানোর পরিণতি হয়েছিল জ্যান্ত কবর।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায়
“যেথায় আছি যে যেখানে / বাঁধন আছে প্রানে প্রানে।
কথা কও, কথা কও। / অনাদি অতীত, অনন্ত রাতে
কেন বসে চেয়ে রও? / কথা কও, কথা কও।
যুগযুগান্ত ঢালে তার কথা / তোমার সাগরতলে,
কত জীবনের কত ধারা এসে / মিশায় তোমার জলে।”
২০১৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে বাংলাদেশী টরন্টো বৌদ্ধ সমিতির সদস্য নষ হ’লে টরন্টোর যুথিকা বড়ুয়া গান গাইতে পারবেন না। BUT ACCORDING TO THE REQUEST OF বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলন ২০১৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া গাইছেন, মৈত্রী ভালবাসায় টরন্টো বৌদ্ধ সমিতির. ভয় কিসের? পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া? ‘২০১৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের বিমূর্ত এই রাত্রি বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে মৈত্রী মৌনতার সুতোয় বোনা একটি রঙিন চাদর..! হৃদয়ের অচেনা দুটি নদী’, ‘হারজিত চিরদিন থাকবে’! এ মৈত্রী ভাবনাকে পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া। ভালবাসায় ভয় কিসের? হৃদমাঝারে প্রিয়তমার স্বপ্নপুরী “পেয়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া! গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত গাইছেন,
“ভালোবেসে সখী, নিভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো
তোমার মনের মন্দিরে।।
আমার পরানে যে গান বাজিছে
তাহার তালটি শিখো
তোমার চরণমঞ্জীরে… ( রচনাকাল: ১৮৯৭ ইং; ১৩০৪ বঙ্গাব্দ (সাজাদপুর)!
আমরা লেখালেখি করি, বষ গান গাই মনের নেশায়, মাইন্ড করবেন না! ধর্মান্ধ নেতা তপেশদা বললেন, “ভাই অনারে দেইলে ডর লাগে!” আমরা যারা লেখালেখি করি (বষ গান গাই) তাই এভাবে নানা সময়ে নানা ভাবে কথা শুনতে হয়। জনৈক কবি লিখেছিলেন,
“নিন্দুকেরে বাসি আমি সবার চেয়ে ভালো
যুগ জনমের বন্ধু আমার আঁধার ঘরে আলো।
সবাই মোরে ছাড়তে পারে বন্ধু যারা আছে,
নিন্দুক সে ছায়ার মত থাকবে পাছে পাছে।
নিন্দুক সে বেঁচে থাকুক বিশ্ব হিতের তরে
আমার আশাপূর্ণ হবে তাহার কৃপা ভরে।”
সমাজটা বড়ই অদ্ভূত – এখানে সবাই সুখের ভাগীদার হয়, দুঃখের নয়। কা রো দুঃসংবাদ মুহুর্তেই ছড়িয়ে পড়ে লোকালয়ের সর্বত্র, হউক সত্যি কিংবা মিথ্যা। আর তাতে কিছু মানুষ অন্যকে হেরাজ কিংবা মানসিক কষ্ট দিতে যা করার সে সব করে বেড়ায়। মনুষ্যত্বহীন সমাজে মানুষেরা তারপরেও মানিয়ে চলে জীবন ও জীবিকার তাগিদে! লেখালেখি করি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় থেকে। আর মাধ্যমিকে এসে ৩/৪ কিলোমিটার পায়ে হেটে এসে পত্রিকা পড়তাম, আর যখন বাবা মা ভাইদের দেওয়া টাকা ২/৩ টাকা হতো একটা পত্রিকা কিনতাম, নতুবা সেলুনে el LIBRARY বসে দীর্ঘ সময় পত্রিকা পড়তাম।
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদ ও সৈনিকদের গভীর ভালোবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি, যুথিকা বড়ুয়ার নিবেদন, “বাংলা আমার জন্মভ‚মি” স্বরচিত ও সুরারোপিত একটি দেশাত্ববোধক গান!
বাংলা আমার জন্মভ‚মি / বাংলা আমার মা
মাতৃভাষা বাংলা আমার / কী যে গড়িমা
বাংলা আমার মা। / বাংলা মায়ের সন্তান ছিল
শহ্য শক্তি বীর / ছিনিয়ে বাংলা দিয়েছে প্রাণ
করে নি নত শীর / আজকের দিনে দুঃখ পাই ওমা
নেই যার সীমা / বাংলা আমার মা।
শহীদ হয়েছে শূন্য করে / মা জননীর কোল!
ধন্য ওরা পণ করে যে / হয়েছে সফল।
ইতিহাসের পাতায় লেখা / থাকবে চিরদিন
রক্তের বিনিময়ে বাংলা / হয়েছে স্বাধীন
শ্রদ্ধা জানাই আমরা তাঁদের ওমা / নেই যাঁর উপমা
বাংলা আমার মা।
২০১৩ সালের ১৩ জুলাইয়ের বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে সৌভ্রাতৃত্ব আলোর মিছিলে অবিদ্যার গভীর অন্ধকারে অহমিকার ক্ষুধিত বন্দী শালায় বন্দী বাংলাদেশী টরন্টো বৌদ্ধ সমিতিকে তিনি গানের দেবী যুথিকা বড়ুয়া শুনিয়েছিলেন মানবতার বাণী, সুখী হও সুখী হও / এ মৈত্রী ভাবনা। হার্ভার্ডে সাইকোলজি পড়ান, স্টাম্বলিং সুখের চর্চায়, অন হ্যাপিনেস নামে একটা বই লিখেছিলেন, যে বইটাকে বাদ দিয়ে সুখের চর্চা অসম্ভব। বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনের “হৃদমাঝারে” গানের দেবী প্রেয়সী যুথিকার নয়নে “আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে? বোষ্টন বৌদ্ধ সম্মেলনে কালজয়ী গানের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কবি যুথিকা বড়ুয়ার কবিতষ “মাধবী রাতে” লিখেছিলেন:
“মাধবী রাতে”!
গোধূলীর রিমঝিম শেষে, উঠল চাঁদ মুচকি হেসে,
ছড়ায়ে রেশমী জোছনার স্নিগ্ধ আলো দূর-দিগন্ত ঘেঁষে।
উঁকি দেয় সুখতারা, মোর হ্রদয় আকাশে।
সাথী ছিল সাথে। আমোদে, আহাল্লাদে,
উচ্ছাসিত কলকাকলীতে
উঠেছিল মেতে রাঙা অনুরাগে,
এক অভিনব বৈচিত্র্যময়
কোমল অনুভ‚তির জাগরণে।
যেন হঠাৎ বসন্তের আগমনে
ধেয়ে এলো ধূসর বাদলা মনে,
হ্রদয়-মন-প্রাণ মাতাল করা যৌবনের বাণ!
যেন স্রোতস্নীনি প্রেম যমুনার উত্তাল তরঙ্গে ভেসে বেড়ানো-
একযুগল মুক্ত-বিহঙ্গের আবেগপূর্ণ মধুর আলাপন!
আবেগে সোহাগে, আদরে আবদারে
প্রতিটি নিঃশ্বাস প্রঃশ্বাসের সারাক্ষণ,
মেলে বিস্মিত নয়ন।
উঠেছিল জেগে খুশীর আলোড়ণ।
চলেছিল, চঞ্চল মনের একটানা-
ছন্দবিহীন সুরের মুর্ছণায় গুন্ গুন্ গুঞ্জরণ।
ক্ষণে ক্ষণে স্নিগ্ধ বাতাসের মিষ্টি চুম্বনে,
ওঠে ছিল কেঁপে নাজুক বদন মোর মধুর শিহরণে ।
যেন স্বর্গোদ্যান!
নানা বর্ণের ছন্দে নিবিড় আনন্দে
শুধু ভালোবাসার অবগাহন!
পূর্ণ চন্দ্রিমার উজ্জ্বল আলোকের
রেশমী জোছনা গায়ে মেখে,
কল্পনায় করি বিচরণ, শূন্য নিবিড় স্বর্গলোকে!
জ্বালায়ে নয়নের জ্যোতি
ছড়ায়ে সবুজ মনের দ্বীপ্তি,
অবাধ গতীতে এসেছিল নেমে সুখ নদীর ঢল।
যেন স্বপনে দেখা সুবর্ণ ঝিকিমিকি উজ্জ্বল আলোয়
চমকিত একটি শীশমহল।
দিশাহারায় চঞ্চল মনময়ূরী আবেগে বিহ্বল,
আঁখীদু’টি তার ছল্ ছল্।
ভাগ্য হোক বিরল!
তবু জানি, এমন মাধবী রাত আর,
জীবনে আসবে না ফিরে বার বার!
শুধু সাক্ষী থাকুক, আকাশের চন্দ্র-গ্রহ-তারা,
বাগিচার সুরভীত জুঁই-কনক-চাঁপা
আর সন্ধ্যা-মালতিরা
সাজায়ে অমলিন স্মৃতিবিজড়িত
এক অনবদ্য মধুর অভিসার।
পৃথিবীটা অনেক বড় ও সুন্দর। তাকে উপভোগ করতে মনের সকল মলিনতা ভুলে চলতে হবে, তবেইতো উপভোগ করা যাবে। সারাক্ষণ পরচর্চা না করে আত্ম উন্নয়নে কাজ করুন, শান্তি ও প্রশান্তি দুটার সাথে সাথে মানবিক উন্নয়ন হবে। তখন অন্যেরা যা বলবে বলুক নিজের মধ্যে একটা বিশ্বাস থাকবে, আমি সেটা করেনি, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এভাবে মায়ার বাঁধনে জড়িয়ে জীবনকে আলোকিত কর। এমন কোন কাজ কর না যেটা অন্য কারো ক্ষতি কিংবা বেদনার কারন হতে পারে। তবে লেখালেখির পেশাটা সব সময় কারো বন্ধু হয়ে থাকা যায় না। শুরুতে ধর্মান্ধনেতা তপেশদা বললেন, “ভাই অনারে দেইলে ডর লাগে” এভাবে বলবে। তবে ভুলে গেলে চলবেনা যারা এসব বলে আমাদের ভালবাসা তিরস্কার কিংবা অন্য কিছু করা প্রয়াস দেখায় তাদের নানা অর্জনে আমরাও সাথী ছিলাম।
ভাঙ্গা গড়ার পৃথিবীতে কত ভাঙ্গবে কত গড়বে তাকেই সাথী করে চলতে হবে। পরিশেষে সবার প্রতি আহবান ও অনুরোধ রইল, যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ! এটাকে মাথায় রেখে নিজেদের পদপদবী ও ব্যক্তি স্বার্থকে প্রধান্য না দিয়ে খোঁচাখুচি না করে এক সহকর্মীর কথা অন্যের কাছে বলে সাময়িক প্রশান্তি না খুঁজে নিজে সৎ ও যোগ্য হউক, সন্মান ও সুনামের অধিকারি হতে পারবেন, অভিমত একান্ত আমার ব্যক্তিগত!
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া (Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!