অনলাইন ডেস্ক : ইরানপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে যুক্ত করেছে কানাডা। আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) ইয়েমেনের হুতিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে এ ঘোষণা দিয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর নেতৃত্বাধীন দেশটির সরকার। আন্তঃসরকারি বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাংক সোমবার এ ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘তারা কানাডার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংজ্ঞা পূরণ করেছে।
লেব্ল্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সত্তা হিসেবে আনসারুল্লাহর এ সংযোজন বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবং কানাডাকে আমাদের মিত্রদের সঙ্গে সারিবদ্ধ করার প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘হিংসাত্মক চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের কর্মকাণ্ডের বিশ্বে কোনো স্থান নেই এবং আমরা আন্তর্জাতিকভাবে এই কার্যক্রমের বিস্তার রোধ করতে চাই। কানাডা ও তার নাগরিক এবং বিশ্বজুড়ে আমাদের স্বার্থের প্রতি হুমকি মোকাবেলা করার জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করতে থাকব।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে লোহিত সাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্রদের একাধিক বাণিজ্যিক ও নৌ জাহাজে আক্রমণ করে আসছে হুতি।
হামলার কারণে লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে, কানাডা লোহিত সাগরে হামলার প্রতিক্রিয়ায় এই বছরের শুরুতে হুতির বিরুদ্ধে ব্রিটিশ এবং আমেরিকান হামলাকে সমর্থন করে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে আনসারুল্লাহ তথা হুতিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে যুক্তরাষ্ট্র।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্তটি কানাডার পররাষ্ট্রনীতির অংশ।
এর লক্ষ্য আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে এমন গোষ্ঠীর প্রভাবকে রোধ করা। ইয়েমেনের বৃহৎ অংশ নিয়ন্ত্রণকারী হুতিদের বিরুদ্ধে অঞ্চলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের জন্য সহিংসতা এবং অন্যান্য উপায় ব্যবহার করার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা এই অঞ্চলে সংঘাত বৃদ্ধির পেছনের কারণ বলে দায়ী করা হচ্ছে।
ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীটি আনুষ্ঠানিকভাবে আনসারুল্লাহ নামে পরিচিত, ২০০০ সালের গোড়ার দিকে ইয়েমেনে এটি গড়ে উঠে। হুতি ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ট মিত্র।
সূত্র : টরেন্টো সান