অনলাইন ডেস্ক : প্রায় সময় আমরা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা নিয়ে বিভিন্ন কথা শুনি। হিমোগ্লোবিন কি এটা জানা থাকা দরকার। রক্তকোষে লৌহসমৃদ্ধ একধরনের প্রোটিন হচ্ছে হিমোগ্লোবিন।এটি রক্তের লোহিত রক্ত কণিকায় থাকে এবং রক্তের মাঝে প্রয়োজনীয় ঘনত্ব বজায় রাখে। এই হিমোগ্লোবিনের কারণেই রক্ত লাল হয়। হিমোগ্লোবিনের মূল কাজ দেহের প্রতিটি অংশে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন রক্তের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগতে হয়। এরমধ্যে অ্যানিমিয়া অন্যতম। এছাড়াও মাথা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
একজন পুরুষের দেহে হিমোগ্লোবিনের স্বাভাবিক মাত্রা প্রতি ডেসিলিটারে ১৩.৫ থেকে ১৭.৫ গ্রাম। নারীদের রক্তে ১২-১৫.৫/১৬ গ্রাম। তবে অনেকের সময় রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকে। তবে কিছু খাবার খেলে হিমোগ্লবিনের মাত্রা ঠিক হয়ে যায়। কোন খাবারগুলো খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান।
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সির অভাব হলেও রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, টমেটো, গোলমরিচ ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এগুলো লৌহ শোষণে সহায়তা করে ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ে।
প্রাণিজ খাদ্য: কলিজা, ডিম, দুধ, মাংসের মতো প্রাণিজ খাদ্য থেকে খুব সহজে হিম (হিমোগ্লোবিনের অপ্রোটিন অংশ হিম+গ্লোবিন) তৈরি হয় এবং তা শরীরে খুব দ্রুত শোষণ হয়। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে সেই পরিমাণে হিম তৈরি হতে পারে না বলে প্রাণিজ উৎসকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়।
ফলিক অ্যাসিড: ফলিক অ্যাসিড একপ্রকার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি লাল রক্তকণিকা তৈরিতে প্রয়োজনীয় উপাদান। সবুজ পাতাযুক্ত সবজি, কলিজা, ভাত, শিমের বিচি, বাদাম, কলা, সবুজ ফুলকপিতে অনেক ফলিক অ্যাসিড পাওয়া যায়।
লৌহযুক্ত খাবার: শরীরে লৌহের ঘাটতি হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। লৌহসমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মুরগির কলিজা, ঝিনুক, ডিম, আপেল, বেদানা, ডালিম, তরমুজ, লাল আঙ্গুর, ব্রকলি, কুমড়ার বিচি, খেজুর, জলপাই, কিশমিশ ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে ডালিম খুব দ্রুত রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়ায়।