অনলাইন ডেস্ক : গাজার হাসপাতাল, এম্বুলেন্স সহ সাধারণ মানুষের উপর হামলাকে যুদ্ধাপরাধ ও বেআইনি হিসবে বিবেচনা করে তদন্ত করা উচিত বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। তাদের এক প্রতিবেদনে আজ মঙ্গলবার( ১৪ নভেম্বর) সংগঠনটি বলে, ইসরায়েলের আক্রমণ গাজার স্বাস্থ্যসেবাকে একদম ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।
গাজায় হামলা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের নিরপেক্ষ তদন্তের করা উচিত বলে মনে করে সংগঠনটি। যদিও গত ৫ নভেম্বর থেকে ইসরায়েল গাজার হাসপাতালের তলদেশে হামাস সেনাদের লুকিয়ে থাকার অজুহাতে বারবার হাসপাতালে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা এর পক্ষে কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এইচআরডব্লিউ বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন অনুযায়ী হাসপাতাল ও এম্বুলেন্সে হামলা চালানো সম্পূর্ণ মানবাধিকার লঙ্ঘন। মানবাধিকার সংগঠনটি আরও জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসে গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল, আল-আহলি হাসপাতাল, আন্তর্জাতিক চক্ষু হাসপাতাল, টার্কিশ-প্যালেস্টাইন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল এবং আল-কুদস হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে তারা তদন্ত শুরু করেছে।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরাইলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ১৯২ স্বাস্থ্যকর্মী নিহত হয়েছেন। আরেকটি তথ্যে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত গাজার সবচেয়ে বড় তিনটি হাসপাতাল সহ অধিকাংশ চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন ধ্বংসের দোরগোড়ায়।
এছাড়াও জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয় শিবিরের ১০১ কর্মী নিহতের ঘটনায় গতকাল সংগঠনটি তাদের কার্যালয় গুলোতে পতাকা অর্ধনমিত রেখেছিলেন।
সূত্র: আলজাজিরা