বকুল ভৌমিক
স্বাধীনতা সে মুক্ত আকাশে লাল সূর্য উদয়ের ধূসর জ্যোতি
না দেখা সপ্তর্ষি মন্ডলের দুরের অরুন্ধতী।
স্বাধীনতা শুধুই তিরিশ লক্ষ্য প্রাণের দামে কেনা একটি মিথ্যে প্রতিশ্রুতি
রাজনিতীর ছলনায় সাগর তলে ডুবে তোমার আত্মহুতি।
স্বাধীনতা শুধুই রক্তাক্ত দীঘির অবহেলিত ফুল শাপলা লতা
কৃষকের ধানের খেতের খরায় পুড়া, ফাটা মাটির বুকের ব্যাথা।
স্বাধীনতা এক বাঁশ বাগানের সাথী হারা দোয়েল পাখি
স্রোতস্বিনী নদী পদ্মার জলধারায় সিক্ত বীরাঙ্গনার দুঃখের আঁখি।
স্বাধীনতা শুধুই অনাহারী বাঙালির পাতে ঐতিয্য সর্বস্ব ইলিশ পান্তার ঘ্রাণ
“আমার সোনার বাংলা তোমায় ভালবাসি..” প্রতিশ্রুতিবিহীন
একটি ভালোবাসার গান।
স্বাধীনতা শুধুই ইট পাথরে গড়া জড় কাঠামো নতজানু ষ্মৃতির সৌধ স্তম্ভ সাঁড়ি
দিবস মেনে শাসকের দেয়া মিথ্যে আশ্বাসের ফুল ঝুড়ি।
স্বাধীনতা তুমি এলে গৌরবে সৌরভে বাঙালির নতুন আশার আলোতে
অসা¤প্রদায়িকতা আর সাম্যের সুরে, খেটে খাওয়া মানুষের নায্য
অধিকারের প্রতিশ্রুতিতে।
প্রাণ দিল জাতির পিতা নর পিচেশদের পৈশাচিকতার ছোঁবলে
স্বাধীনতা তুমি লজ্জায় নত হয়ে নির্বাক, তুমি থেমে গেলে।
তোমার বুকে পা রেখে রাজাকারদের উল্লাস, জেলায় জেলায় জঙ্গিদের বোমার ফায়ার ওয়ার্কস আর আনন্দ উচ্ছ্বাস।
আঘাতে আঘাতে ধর্ম্ম নিরপেক্ষতা, অসা¤প্রদায়িকতা, বাংলার
সংস্কৃতি অসুস্থ বুকে
নিরবে কাঁদে নিশিত রাতের আঁধারে মনের দুঃখ শোকে।
বনবাসী রক্তচোষারা আজও তোমার রক্তে ভিন দেশে গড়ে বেগম পাড়া
শত আঘাতে তাই তুমি ক্লান্ত, মর্মাহত, তুমি ক্ষত, তুমি নত, তুমি দিশেহারা।
অটোয়া