সোনা কান্তি বড়ুয়া : বাংলাদেশে গৃহ ও দেশ মানুষের বুকেই থাকে! সাতচল্লিশ থেকেই বাংলাদেশে পাকিস্তানী মৌলবাদ সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত! ধর্ম ব্যবসায়ী রাষ্ট্র-রাজনীতির খেয়াল-খুশিতে হাজার বছরের চেনা ভ‚খণ্ড বাংলাদেশের পূর্ববঙ্গ – মুহূর্তে অচেনা পূর্ব পাকিস্তান হয়ে গেল! জয় বাংলার স্বাধীনতা দিবসে চোখে আসে পানি! বাঙ্গালী গণহত্যায় পাকিস্তানে আল্লার গজব! বাংলাদেশে অমর ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে পাকিস্তানী ষড়যন্ত্রের রক্তাক্ত গণহত্যার মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চে প্রতিষ্ঠিত হলো “বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস” আলোকিত বিশ্বের গৌরবোজ্জ্বল প্রতিশ্রুতি। এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে বাংলাদেশে পাকিস্তানী গণহত্যা দিবস! ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চে পাকিস্তান ইসলামের নাম দিয়ে ফতোয়া দিলেন, বাংলাদেশে বাঙালি দেরকে হত্যা কর “অপারেশন সার্চ লাইট নামে ৩০ লক্ষ নর নারী সহ শিশু হত্যা, ২ লক্ষ মা-বোনকে ধর্ষন এবং বুদ্বিজীবি হত্যা নামক পাকিস্তানী অন্ধকার রাজনীতির জন্ম হল!
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান! আমার স্বরচিত কবিতায় “জন্ম লগনে বাংলাদেশ, রক্তে আমার বাংলাদেশ / কান্নায় আমার বাংলাদেশ / মন্ত্র আমার বাংলাদেশ! হাঁসিতে আমার বাংলাদেশ। কথায় কথায় বাংলাদেশ। তীর্থ আমার বাংলাদেশ, বিত্ত আমার বাংলাদেশ! পাকিস্তান-ভারত বিভাজনে বিভক্ত মানব সত্তার কান্নায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির রক্তে রক্তে প্রবহমান এবং পাকিস্তানকে পরাজিত করে বাংলাদেশের বিজয় হয়। বাংলাদেশে স্বাধীনতা আন্দোলন বাঙালির বুকেই থাকে! বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতায়
“আজি এ প্রভাতে রবির কর /কেমন পশিল প্রাণের ‘পর,
কেমনে পশিল গুহার আঁধারে / প্রভাতপাখির গান!
না জানি কেন রে এত দিন পরে / জাগিয়া উঠিল প্রাণ!
জাগিয়া উঠেছে প্রাণ,/ ওরে উথলি উঠেছে বারি,
ওরে প্রাণের বাসনা প্রাণের আবেগ / রুধিয়া রাখিতে নারি।”
বাংলাদেশে পাকিস্তানের বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের ফল আল্লার গজব এবংপাকিস্তানকে এখনই ঋণ দেবে না IMF.! ভিক্ষায় নামছে পাকিস্তানের মানুষ, বাঁচাতে পারবে আইএমএফ’র ঋণ? ইসলাম ধর্মের নাম দিয়ে লুটেরা পাকিস্তান রুখো! বাঙ্গালী জাতিকে নিশ্চিহ্ন করতে বাংলাদেশে দিনের পর দিন অমানবিক পাকিস্তান বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞ করেছে! পাকিস্তানের বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞের ফল পাকিস্তান আজ সর্বনাশের পথে চলেছে! ধর্মান্ধ পাকিস্তানের ইসলামি রাজনীতির এতো উলঙ্গ দর্প বাংলাদেশে কেন? মানুষের মনুষ্যত্ব কেড়ে নেওয়াটাই পাকিস্তানের ও জামাতের হিংসায় উন্মত্ত সা¤প্রদায়িক রাজনীতিতে পাকিস্তানের বাঙ্গালী হত্যাযজ্ঞ!
নানা ষড়যন্ত্রের দুর্ভেদ্য প্রাচীর বিদীর্ণ করে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চে প্রতিষ্ঠিত হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস! ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে পাকিস্তানের গণহত্যারঅভিযোগ ও বিচার প্রসঙ্গ! বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে ঘোষণা করেন: “কিন্ত দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় ২৩ বৎসরের করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। ২৩ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নর-নারীর আর্তনাদের ইতিহাস। বাংলার ইতিহাস- এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে ১০ বছর পর্যন- আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৬৯ এর আন্দোলনে আয়ুব খানের পতন হওয়ার পরে যখন ইয়াহিয়া খান সাহেব সরকার নিলেন, তিনি বললেন, দেশে শাসনতন্ত্র দেবেন, গনতন্ত্র দেবেন – আমরা মেনে নিলাম। তারপরে অনেক ইতিহাস হয়েগেলো, নির্বাচন হলো।”
বাংলাদেশে পাকসেনা ও রাজাকারদের বাঙ্গালী গণহত্যায় পাকিস্তানে আল্লার গজব! দিনের পর দিন অমানবিক পাকিস্তান বাংলাদেশের বাঙ্গালীর ২৩ বৎসরের (১৯৪৭ – ১৯৭১) করুণ ইতিহাস, বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। প্রতিটি ধর্মে আলাদা আলাদা কিতাব, আলাদা নবী, আলাদা মহামানব, আলাদা ঈশ্বর! তাতে পাকিস্তানের ও বাঙ্গালী রাজাকারদের অসুবিধা কেন? কেন সকলকে মুসলমান বানাতে হবে? কেন সকল নবী পয়গম্বরকে ইসলামের নবী বলতে হবে? কেন সকলের ধর্মকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করতে হয়? কেউ কি তার বাড়ী জমি অন্যকে দান করে দেয়? তাহলে বেহেস্ত দেবার প্রলোভন টা কী জালিয়াতি নয়?
বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন এবং জামাতের সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা (পরাজিত জামাত) হত্যা, লুটপাট, অমানবিক ধর্মীয় উন্মাদনায় সকল স¤প্রদায়ের নাগরিকগণকে লাঞ্চনা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন।
বঙ্গবন্ধু গোলাম আযমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছিলেন এবং জামাতের সা¤প্রদায়িক রাজনীতি করার অধিকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তারা (পরাজিত জামাত) হত্যা, লুটপাট, অমানবিক ধর্মীয় উন্মাদনায় সকল স¤প্রদায়ের নাগরিকগণকে লাঞ্চনা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, বিচার করে শান্তি দিয়েছিলেন। এমনকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীতে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারেও বঙ্গবন্ধু দৃঢ় মনোভাব ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু কাদের কারসাজিতে তারা শাস্তি পেল না, আশা করি সচেতন সমাজ একদিন খুঁজে বের করলেন এবং জনসমক্ষে তা প্রচার করবেন।
১৯৭২ সালের ৪ই নভেম্বর বাংলাদেশ গণপরিষদ গৃহীত এবং ১৯৭২ সালের ১৪ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ গেজেটের অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রথম খন্ডে প্রকাশিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ (২) অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, “রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী পুরুষের সমান অধিকার লাভ করিবেন। “সাধারণ মানুষ রোজগার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে আন্দোলন হবে পেটের তাগিদে। প্রচারমাধ্যমগুলো বিজ্ঞাপনের লোভ, প্রশাসনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সেই লড়াইয়ে শামিল হবে প্রকৃত দেশ গড়ার জন্য, মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য। মানবতার জয়গানে দেশের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ, কোন রাষ্ট্রধর্ম নয়!
জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রæতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রæতার উপশম হয়; ইহাই চিরন্তন ধর্ম! স্বরচিত কবিতায় আমার বাংলাদেশ :
“হাজার বছর ধরে চলেছেন বাঙালি বগুড়ার পুন্ড্রবর্ধনের পথে,
বঙ্গোপসাগর থেকে সিংহল সমুদ্রে মহাকালের রথে।
পালরাজ্যে ঘুরেছি আমি, ধর্মপালের অতীত জগত,
দেখেছি শালবন বিহার ও চট্টগ্রামের পন্ডিত বিহার যত।
ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত আমি, মনে পড়ে কত ঝর্ণা
আমারে কিছুক্ষণ শান্তি দিয়েছিল উৎপলা বর্ণা।
প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার জাতিধর্ম নির্বিশেষে ঐতিহ্যের ধন,
নববর্ষে বাঙালি ভাই বোনের পাহাড়পুরে মিলন।”
সাতচল্লিশ থেকেই ধর্মান্ধ পাকিস্তানী রাজনীতির আক্রমণের শিকার বাংলাদেশ কেন? সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয় লাভের পর প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেও তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ও ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা করলে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে গ্রেপ্তারের আগে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এই স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার নৈতিক ও আইনগত অধিকার ছিল একমাত্র বঙ্গবন্ধুরই, যা তিনি সত্তরের নির্বাচনে বিজয়ের মাধ্যমেই অর্জন করেন। কোনো ড্রামের ওপর দাঁড়িয়ে কারও এই স্বাধীনতা ঘোষণার দাবি করার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার অধিকার এককভাবেই ছিল বঙ্গবন্ধুর।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একটি ঈদ এসেছিল বাঙালির জীবনে। দীর্ঘ একমাস রোজা শেষে নভেম্বরের ২০ তারিখের সেই দিনটি ছিল শনিবার। মুসলিমদের জন্য সংযমের মাস হলেও, সেই রমজানজুড়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অসহায় নারী-পুরুষদের ওপর নৃশংস তাণ্ডব চালায় জামায়াত, রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনারা। অমানবিক ধর্মীয় উন্মাদনায় ৭১-এর পরাজিত জামাতের ধর্মান্ধ শক্তিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অভিশাপ বাংলাদেশে অমানবিক ধর্মান্ধ পাকিস্তানী রাজনীতির ভয়ঙ্কর ষড়য়ন্ত্র! বৌদ্ধ বাংলায় এয়োদশ শতাব্দীতে ইসলাম ধর্মকে তলোয়ার বানিয়ে তুর্কি সন্ত্রাসী মুসলমান বখতিয়ার খিলজি দখলে নেন। ১৬৬৬ সালে মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খান, বৌদ্ধ আরাকানীদের পরাজিত করে চট্টগ্রাম দখলে নেন। ধর্মান্ধ ইসলাম এমন এক অভিশাপ ধর্মান্ধ জটিল ধাঁধা, যা থেকে নিস্তার পাইনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা! সাতচল্লিশ থেকেই ধর্মান্ধ পাকিস্তানী রাজনীতির আধিপত্যবাদের দুর্বৃত্তপনা বাংলাদেশে কেন?
সাতচল্লিশ থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের হিন্দু উদ্বাস্তুদের স্বাধীনতা গৃহ ও দেশ মানুষের বুকেই থাকে। পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানও সহজে সব কিছু ছেড়ে পূর্ব পাকিস্তানে যেতে চাননি! পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তুদের মধ্যে চলচ্চিত্রে ঋত্বিক ঘটকরা এবং কথাসাহিত্যে অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়-প্রফুল্ল রায়রা তাঁদের ছিন্নমূল স্মৃতিসত্তার ছবি এঁকেছেন। ক্যাম্পের দলিত কাহিনি লিখেছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। সাতচল্লিশ থেকেই বোধহয় ভাগাভাগি-খেলার এই নেশাটা আমাদের রক্তের মধ্যে ঢুকে গেছে। / ভাগের মা গঙ্গা না-ই পাক, এই ভাগাভাগির নেশাই আমাদের গঙ্গাযাত্রা করিয়ে ছাড়বে।’
দুই বাংলার বাঙালির ভিটার সন্ধানে! ভারত পাকিস্তান-বিভাজনে বিভক্ত মানব সত্তার কান্না! হিন্দু মুসলমানদের হিংসা পুষে রাখা ভারত “ভাগ’ কথাটা এখানে রক্তে রাঙানো ১৯৪৭ সাল ১৪ আগস্ট এবং ১৫ আগস্ট! দেশভাগ’ এখানে সর্বাত্মক : দেশের ভাগ, মানচিত্রের ভাগ, আত্মা, সম্পর্ক, যোগাযোগ, এমন কি আমার লিখিত “আমি’টির ও ভাগ, পার্টিশন আমার সর্বস্ব; আমার সত্তাকেই বিভক্ত করে রেখেছে। একটি সোশাল নেটওয়ার্কিং গ্রæপ কিছু দিন আগে দুই বাংলার উদ্বাস্তুদের হারিয়ে যাওয়া গৃহের খোঁজের জন্যে তৈরি হতেই সাড়া ফেলে দেয় গ্রুপটি। আন্দামান থেকে মধ্য ভারত, বাঙালির ভিটার সন্ধানে সেখানে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত, ঝড়ের মতো আর্তি আছড়ে পড়ে। ভুল বানানে আবেগদীপ্ত চিঠি, ভাঙা পালঙ্ক, এমনকি কানের দুল, চুড়ির ছবি দিয়ে দেশকে খোঁজার, শিকড়ের সন্ধানের আকুতি দেখে মনে হয়, বস্তুবিশ্বের চেয়ে মানুষের কল্পনার বাস্তবতা কিছু কম নয়, বরং বেশি।
বাঙালির মুক্তি ও স্বাধীনতাই ছিল বঙ্গবন্ধুর ধ্যানজ্ঞান। এই মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জীবনের ১৩ বছরেরও বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন কারাগারে। ঘুরে বেড়িয়েছেন বাংলার আনাচে-কানাচে। তাঁর নেতৃত্বে ২৩ বছরের ধারাবাহিক আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৭১ সালের মার্চে এসে সশস্ত্র রূপ লাভ করে। তাঁর স্বাধীনতার ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। ৯ মাসের রক্তস্নাত যুদ্ধ, ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান এবং দুই লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তথা বাঙালির জন্য জাতিরাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে।
গত ২১ জুন ২০২২ দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন কমিশনে সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের শ্বেতপত্র ও বাংলাদেশে হিন্দু হত্যায় মৌলবাদী সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের দুই হাজার দিন- প্রথম ও দ্বিতীয় খন্ড সম্বলিত শীর্ষক ২ হাজার ২০০ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম বাংলাদেশে গঠন করা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে (Samakal গত ২১ জুন ২০২২); বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে কমিশন। গণকমিশনের ওই শ্বেতপত্রে মৌলবাদ ও সা¤প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ ধর্ম ব্যবসায়ী! বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠাকালীন মূলনীতি ধর্মনিরপেক্ষতা থেকে সরে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। মঙ্গলবার রাত ৮টায় (17 November, 2020) ইয়াং বাংলা আয়োজিত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা যে ধর্মেরই হইনা কেনো, আমরা সবাই বাঙ্গালী।”
আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং তুর্কি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছাপিয়ে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক হামলাও তার নিরিখে দেখার অবকাশ আছে। কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু এবং মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু বাংলার হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা (“প্রদোষে প্রাকৃতজন” Page 50)!
আমাদের হাজার বছরের বৌদ্ধ বাংলা পূর্ব পাকিস্তান হলো এবং তুর্কি সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ছাপিয়ে সা¤প্রতিক সা¤প্রদায়িক হামলাও তার নিরিখে দেখার অবকাশ আছে। কথাশিল্পী শওকত আলীর লেখা “প্রদোষে প্রাকৃতজন” এবং “দুষ্কালের দিবানিশি” গ্রন্থদ্বয়ে দক্ষিন এশিয়ার হিন্দু এবং মুসলমান শাসকগণ কর্তৃক বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞের রক্তাক্ত ইতিহাস লিপিবদ্ধ করেছেন, “তুর্কী আক্রমন অত্যাসন্ন। তবু বাংলার হিন্দু সামন্ত-মহাসামন্তদের বৌদ্ধ হত্যাযজ্ঞ ও অত্যাচারের শেষ নেই। সেই অত্যাচার রুখে দাঁড়ায় কখনো অন্ত্যজেরা, কখনো বৌদ্ধেরা (“প্রদোষে প্রাকৃতজন” Page 50)!
বাংলাদেশের পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটে ছাড়া হতে চাননি। বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি- এমন অজস্র কাহিনি আছে। ওদিক থেকে ব্যবসায়ী সাহা পরিবারগুলির অনেকেই বহু পরে এদিকে আসেন। নমঃশূদ্র-রাজবংশী চাষীরাও সহজে জমি ছাড়তে চাননি। দুই তরফেই অনেকদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল, কিছু একটা সমঝোতা অচিরেই হয়ে যাবে, পূর্বাবস্থা ফিরে আসবে! দেশভাগের পর ফজলুল হক সাহেব যে বন্ধুবান্ধব ও আড্ডার টানে কলকাতায় ফের ঘুরতে এসেছিলেন, তার মধ্যে একটা ভরসার গল্পও ছিল।
বিশ্ববৌদ্ধ পুরস্কার প্রাপ্ত প্রখ্যাত মানবতাবাদী লেখক সোনা কান্তি বড়ুয়া Bachelor of Arts, University of Toronto), The AuthorÕs World famous and glorious New Book entitled ÒPRE – VEDIC MOHENJODARO BUDDHISM & MEDITATION IN THE NUCLEAR AGE , (516 Pages) “ সাবেক সভাপতি, বাংলা সাহিত্য পরিষদ, টরন্টো, খ্যাতিমান ঐতিহাসিক, কথাশিল্পী, বিবিধগ্রন্থ প্রনেতা প্রবাসী কলামিষ্ঠ, লাইব্রেরীয়ান, বিশ্ববৌদ্ধ সৌভ্রতৃত্ব পত্রিকার সহ সম্পাদক এবং জাতিসংঘে বিশ্ববৌদ্ধ প্রতিনিধি!