অনলাইন ডেস্ক : অগ্রিম ভোটে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলিতে বাংলাদেশি প্রার্থী জয় চৌধুরীর পক্ষে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ জুন। এর আগে ১৩ থেকে ২২ জুন পর্যন্ত চলবে নিউইয়র্কে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে অগ্রিম ভোট প্রদান।
বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস, উডসাইড, ইস্ট এল্মহার্স্ট ও করোনা এলাকার অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৩৪-এ এশিয়ান কমিউনিটির একমাত্র প্রার্থী বাংলাদেশি জয় চৌধুরী। ব্যালটে অ্যাসেম্বলি প্রার্থীদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে জয় চৌধুরীর নাম ও ছবি। অ্যাবসেন্টি ব্যালট ও অগ্রিম ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে জয় চৌধুরীর পক্ষে বাংলাদেশিসহ সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশি, ভারতীয়, নেপালি, তিব্বতিয়ান, পাকিস্তান ও চায়নিজ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা জয় চৌধুরীর পক্ষে জোট বদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন। অঞ্চলভিত্তিক নিজস্ব টিম গঠন করে প্রতিটি ব্লকে চষে বেড়াচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশি ও সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির নেতারা।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশিদের প্রাণকেন্দ্র জ্যাকসন হাইটসের এই নির্বাচনী এলাকায় প্রায় অর্ধেকের বেশি এশিয়ান কমিউনিটির বসবাস। শুধু বাংলাদেশি ভোটারই রয়েছে প্রায় ৩ হাজার। প্রায় ১২ হাজার এশিয়ান কমিউনিটির এই অ্যাসেম্বলি ডিস্ট্রিক্টে জয় চৌধুরীর বিপরীতে শ্বেতাঙ্গ ও হিস্পানিক কমিউনিটির চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। তাই এশিয়ান কমিউনিটির একমাত্র প্রার্থী হিসেবে জয় চৌধুরীর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি। জয় চৌধুরীকে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স সমর্থক গোষ্ঠীসহ আমেরিকার মূলধারা, নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিসহ এশিয়ান দেশগুলোর বৃহত্তম আঞ্চলিক সংগঠনগুলো। শুধু তাই নয়, শ্বেতাঙ্গ ও হিস্পানিক কমিউনিটির কয়েকটি সংগঠনও জয় চৌধুরীকে সমর্থন জানিয়েছে।
সাউথ এশিয়ান আমেরিকান ভোটার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জয় চৌধুরী ছিলেন আমেরিকার যুব ডেমোক্রেটের নির্বাচিত ট্রেজারার। এ ছাড়া তিনি নিউইয়র্কের লাগার্ডিয়া কলেজ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দুইবারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। স্টূডেন্ট সেমিস্টারে বেতন কমানোর দাবিতে নিউইয়র্কে ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। এই আন্দোলনে ছাত্রদের দাবি মেনে নেন বর্তমান গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো।
করোনাভাইরাসের এই দুর্যোগেও নিউইয়র্কের কয়েক লাখ ট্যাক্সি চালকের পক্ষে বেকার ভাতার লিখিত দাবি তুলেছেন বাংলাদেশি তরুণ নেতা জয় চৌধুরী। মার্কিন সেনাবাহিনীর একজন গর্বিত সদস্য জয় চৌধুরী করোনা ভীতি উপেক্ষা করে খাবার ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন কমিউনিটির শত শত পরিবারের ঘরে। কয়েকমাস আগে নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। জয় চৌধুরীর এই গ্রেপ্তারের খবর সরাসরি সম্প্রচার করে আমেরিকার মূলধারার নিউজ চ্যানেলগুলো।
জয় চৌধুরী জিতলে, বাংলাদেশ জিতবে-এই স্লোগানেই দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশিসহ সাউথ এশিয়ান কমিউনিটির সবাই এক যোগে কাজ করছেন জয় চৌধুরীর ক্যাম্পেইনে। তিনি জিতলে নিউইয়র্কে মিনি বাংলাদেশ খ্যাত জ্যাকসন হাইটসে প্রতিনিধিত্ব করবেন একজন বাংলাদেশি। এই লক্ষ্যেই ভোটারদের দরজায় কড়া নাড়ছেন অ্যাসেম্বলি মেম্বার প্রার্থী জয় চৌধুরীর কর্মী-সমর্থকেরা।