অনলাইন ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাত যাচ্ছে প্রথম ইসরাইলি বাণিজ্যিক ফ্লাইট। সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় এ সরাসরি ফ্লাইট চলাচল শুরু হলো। সাধারণত ইসরাইলি বিমানের জন্য বন্ধ থাকা সৌদি আরবের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ফ্লাইটটিকে। সৌদির ওপর দিয়ে আমিরাতে পৌঁছবে ইসরাইলি বিমানটি। এল আল এয়ারলাইনের তিন ঘণ্টাব্যাপী এই ফ্লাইটে থাকবেন ইসরাইলি ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি দল। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, সম্প্রতি করা চুক্তির আওতায় তৃতীয় আরব দেশ ও প্রথম উপসাগরীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলে স্বিকৃতী দিয়েছে আরব আমিরাত। মার্কিন মধ্যস্ততায় হওয়া চুক্তিটির আওতায়, পশ্চীম তীর অধিগ্রহণের পরিকল্পনা স্থগিত রাখবে ইসরাইল। এর বদলে দেশটিকে স্বিকৃতী দিয়েছে আমিরাত। যার আওতায় দুই দেশের মধ্যকার সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে চলেছে।
গত শনিবার, ১৯৭২ সাল থেকে আরোপ করা ইসরাইল বর্জন বিষয়ক একটি আইন প্রত্যাহার করে নিয়েছে আমিরাত। এছাড়া আগস্টের শুরুর দিকে দুই দেশের মধ্যকার সরাসরি টেলিফোন সেবাও প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে।
সোমবার ইসরাইল থেকে আমিরাত যাওয়া ফ্লাইটটিতে (ফ্লাইট এলওয়াই৯৭১) থাকবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনার, ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেইর বেন-শাবাত। ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যে চুক্তি হওয়ার পেছনে কুশনারের গোপন আলোচনার ভূমিকা রয়েছে।
ইসরাইলি ও মার্কিন কূটনীতিকদের দলটি আমিরাতে পৌঁছে সেখানকার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। ইসরাইল ও আমিরাতের মধ্যকার সম্পর্ক জোরদার করা নিয়ে কথা বলবেন। সেখান থেকে তারা ফিরবেন ফ্লাইট এলওয়াই৯৭২ করে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এক টুইটে জানিয়েছেন, এই ফ্লাইট হচ্ছে শান্তির জন্য শান্তির দৃষ্টান্ত।
এদিকে, আন্তর্জাতিক পরিম-লের বেশিরভাগই ইসরাইল ও আমিরাতের সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে মেনে নিলেও, এর তীব্র সমালোচনা করেছে খোদ ফিলিস্তিনিরাই। তারা বলেছে, এটা পেছন থেকে ছুরির মতো।
আমিরাতের আগে মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে কেবল মিসর ও জর্ডানই যথাক্রমে ১৯৭৮ ও ১৯৯৪ সালে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এছাড়া আরব লীগের সদস্য মৌরিতানিয়া ১৯৯৯ সালে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল। তবে ২০১০ সালে সে সম্পর্ক ছিন্ন করে নেয় তারা।