অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা এখন ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি নৃশংসতায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
গাজা উপত্যকাটি যখন রক্তে–ধ্বংসে বিপর্যস্ত, তখন সৌদি আরবের আল–উলাতে আয়োজন করা হয়েছে ডিজে পার্টি। গত ৭ এপ্রিল পবিত্র মদিনা নগরীর কাছেই অনুষ্ঠিত এ আয়োজন নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
জানা গেছে, আল–উলার বিখ্যাত এলিফ্যান্ট রক বা জাবাল আল–ফিলের সামনে পাশ্চাত্য সুরে রাতভর চলেছে গান, নাচ ও আলোক আয়োজন। এতে অংশ নেন দেশি–বিদেশি তরুণ-তরুণীরা। অনুষ্ঠানের ভিডিও ও ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অর্থাৎ ৫৫৫ দিন ধরে জ্বলছে গাজা উপত্যকা। ধ্বংসের বিভীষিকায় রূপ নিয়েছে অবরুদ্ধ উপত্যকাটি। দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর বোমার আঘাতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ধ্বংসস্তুপে প্রিয়জনদের মরদেহ হন্যে হয়ে খুঁজে চলেছেন অনেকে। স্বজন হারানোর আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠেছে আকাশ। গাজায় এখন একমুঠো খাবারের জন্য হাহাকার করছে ছোট্ট শিশুরা। নেই খাবার পানি, বিদ্যুৎ, প্রয়োজনীয় কাপড়। চিকিৎসা নেওয়ার জন্য যেই হাসপাতাল প্রয়োজন, তাও গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর সেনারা। বোমার আঘাতে ধ্বংস করা হয়েছে উপত্যকাটির মসজিদগুলো।
নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর এমন বর্বরতায় নীরব ভূমিকার জন্য সমালোচিত হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলো। বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যখন ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ হচ্ছে, তখন আরব দেশগুলোতে চলছে নাচ-গান আর আতশবাজি উৎসব। যা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। সামাজিকমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নেটিজেনরা।
এর আগে চলতি মাসেই উৎসবের আলোয় আলোকিত হয় কাতারের আকাশ। ইসরায়েলি বোমার আঘাতে যখন ফিলিস্তিন জ্বলছে, ঠিক তখন আতশবাজি প্রদর্শনে কোটি কোটি টাকা খরচ করে দেশটি।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর