স্পোর্টস ডেস্ক : আর সবার মতো গত মার্চ থেকে গৃহবন্দি দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। এই গৃহবন্দি অবস্থায় বাবাকে হারিয়েছেন সিদ্দিকুর। সেই শোক কাটিয়ে এখন কোর্সে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের একমাত্র এশিয়ান ট্যুরের শিরোপা জয়ী গলফার। এশিয়ান ট্যুর কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে খেলা শুরু করতে চাইছে। শুরুতে থাকছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিনহান ওপেন গলফ। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানে খেলবেন বাংলাদেশি এই গলফার।

প্রাথমিক সূচিতে সেপ্টেম্বরে রয়েছে আরও দুটি প্রতিযোগিতা। জাপানে হবে প্যানাসনিক ওপেন, আর তাইওয়ানের মারকিউরিস ওপেন। তিনটি প্রতিযোগিতাতেই অংশ নিতে চান সিদ্দিকুর।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এশিয়ান ট্যুরের তিনটি প্রতিযোগিতা রয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বরের প্রতিযোগিতাগুলোতে আমি খেলতে চাই। আয়োজকদের আমি হ্যাঁ বলেছি। তবে তার আগে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হবে। তাহলেই খেলতে যেতে পারি।’ সেপ্টেম্বরে গলফ কোর্সে নামার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত দেশসেরা এই গলফার। বাসাতেই নিয়মিত করছেন ফিটনেস নিয়ে কাজ, ‘যখনই খেলা শুরু হবে আমি খেলতে প্রস্তুত। বাসায় ফিটনেস নিয়ে নিয়মিত কাজ করছি। টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল দিকগুলো নিয়ে কাজ করছি। খেলা শুরুর আগে ২ সপ্তাহ কোর্সে অনুশীলন করলেই আশা করছি সব ঠিক হয়ে যাবে।’ দুইবারের এশিয়ান ট্যুর জয়ী সিদ্দিকুরের সামপ্রতিক পারফরম্যান্স আশা জাগানিয়া নয়। মার্চে মালয়েশিয়ায় সর্বশেষ প্রতিযোগিতায় হন ৩১তম। করোনার এই বিরতিতে নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি, ‘আমার লক্ষ্য যেমন ছিল তার চেয়ে আরও ভালো গলফ খেলতে চাই। নিজেকে আরও ধারালো করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ার অপেক্ষায়।’
করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক টুর্নামেন্টে স্থগিত কিংবা বাতিল হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর আয়োজন ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ’। ঘরের কোর্সের এই টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়া নিয়ে হতাশা জানিয়ে সিদ্দিকুর বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অনেক টুর্নামেন্ট বাতিল হয়েছে। তাতে আমার একটু আফসোস হয়নি। কিন্তু ঘরের কোর্সে বঙ্গবন্ধু ওপেন অনুষ্ঠিত না হওয়ায় কষ্ট পেয়েছি। তবে আগামীর আসর নিয়ে আমি আশাবাদী।