অনলাইন ডেস্ক : আগামী সেপ্টেম্বরের আগেই কানাডার বেশির ভাগ মানুষের হাতে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পৌঁছানোর জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। গত শুক্রবার অটোয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ট্রুডো বলেন, দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তার সরকার সব প্রদেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘কানাডা বড় পরিসরে টিকাদান কার্যক্রমের জন্য ভালোভাবেই প্রস্তুত। এটা হবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান অভিযান। যে যেখানেই থাকুক না কেন, আমাদের প্রত্যেকের কাছেই টিকা পৌঁছাতে হবে।’ কানাডীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ড্যানি ফরটিনকে দেশব্যাপী করোনার ভ্যাকসিন বিতরণ কার্যক্রমের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। একসময় ইরাকে ন্যাটো বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন এই সেনা কর্মকর্তা।

গত কয়েক সপ্তাহে কানাডায় হু হু করে বাড়ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। কানাডার বৃহত্তম শহর টরোন্টো ও পার্শ্ববর্তী পিল অঞ্চলে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে চলতি সপ্তাহে লকডাউন জারি করা হয়েছে। এসব এলাকায় হোটেল-রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কানাডার শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. থেরেসা ট্যাম জানিয়েছেন, দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের অন্তত ৭৫ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে কুইবেক, ওন্টারিও এবং আলবার্তা প্রদেশে। এভাবে ব্যাপক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে দেশের চিকিত্সাব্যবস্থা ও জরুরি সেবাগুলো চাপের মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্কের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক বলেছেন, এসব তথ্য স্বাধীনভাবে পর্যালোচনা করা হবে। যুক্তরাজ্যের গৃহায়ণমন্ত্রী রবার্ট জেনরিক স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, অযাচিত উদ্বেগের কোনো কারণ রয়েছে। আমরা এখন নিয়ন্ত্রকদের কাছে চিঠি লিখে টিকা সম্পর্কিত তথ্যের স্বাধীন মূল্যায়ন করতে বলেছি। আমাদের এখন স্বাধীন পর্যালোচনা করতে দিতে হবে।’