অনলাইন ডেস্ক : সিরিয়ার অন্তবর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে মোহাম্মদ আল বশিরকে। সিরিয়ার প্রধান বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শামের সাথে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

এদিকে, জননিরাপত্তা নিশ্চিতের অজুহাতে এবার সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ২৫০টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা বানচালে মার্কিন হামলা অব্যাহত রাখার হুমকিও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ দেশ ছেড়ে পালানোর পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছে বিদ্রোহীরা। কুখ্যাত সাইদনায়া সামরিক কারাগারে বন্দিদের স্বজনদের জিম্মায় ছাড়ার আগে সই নেয়া হচ্ছে সরকারি নথিপত্রে।

অভিযোগ আছে, ২০১১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সেখানে ৩০ হাজারের বেশি কয়েদিকে হত্যা করা হয়েছে। নিজ নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন কোটিরও বেশি বাস্তুচ্যুত নাগরিক। গৃহযুদ্ধের কারণে আশ্রিত শরণার্থীদের সিরিয়ায় ফিরে যেতে ইয়ালদগী সীমান্ত খোলার কথা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এমন পরিস্থিতিতে বাশারবিহীন সিরিয়ার তিনটি বিমানবন্দর, অস্ত্রাগার আর প্রতিরক্ষা স্থাপনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালেও দামেস্কে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে।

সিরিয়া সীমান্ত দিয়ে সেনা সদস্যদের ভেতরে ঢোকার ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরাইল। একে সাময়িক পদক্ষেপ উল্লেখ করে চিঠি লিখেছেন জাতিসংঘে ইসরাইলের প্রতিনিধি। বাশার-পরবর্তী পরিস্থিতিতে ইসরাইলিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে যে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। প্রশাসনিক শূন্যতার সুযোগে সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। বলেছেন, জঙ্গি উত্থান দমনে সিরিয়ায় মার্কিন হামলা অব্যাহত থাকবে।