অনলাইন ডেস্ক : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ৪ থেকে ৫ দিনে ভোট গুনতে পারে না। আমরা ৪ থেকে ৫ মিনিটে গুনে ফেলি। যুক্তরাষ্ট্রের আমাদের কাছে শেখার আছে। আবার যুক্তরাষ্ট্রের ভালো দিকগুলো থেকে আমাদেরও শেখার আছে।’
এ বক্তব্য জাতির জন্য লজ্জাকর ও হতাশাজনক। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে অতীতের চেয়েও আরো বিপদ আসন্ন। কারণ তিনি ইতিমধ্যেই আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছেন। সর্বকালে সর্বদেশে মানুষ অন্যায়ের নিন্দা করেন কিন্তু তিনি অন্যায়কে শুধু অনুপ্রাণিত করেননি দৃষ্টান্ত হিসেবেও উপস্থাপন করেছেন। তিনি তাঁর অনৈতিক কাজকে আনন্দ সহকারে শুধু অনুমোদনই করেননি তা অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছেন।
তাঁর প্রতিক্রিয়াপূর্ণ মনোভাব, আদর্শ ও উদ্দেশ্য প্রসারিত করার উদ্যোগ আমাদের মনে নতুন আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পাবার পর আমরা তাঁর এমন কোন নৈতিক বিনিয়োগ দেখিনি যা দিয়ে তাঁকে পরিমাপ করা যায়।
আমাদের নির্বাচন কমিশন দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে, জনগণের ভোটাধিকারকে এবং গণতান্ত্রিক চেতনাকে কবর দিয়ে দিয়েছেন সেই কবেই। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের মানসিক ভূগোল নীতি-নৈতিকতা অনুসন্ধানের উপযোগী নয় এবং কমিশন নৈতিকতার প্রতিনিধিত্বও করে না। কোন প্রতিষ্ঠানের নৈতিক অজ্ঞতা রাষ্ট্রের জন্য আশীর্বাদ হতে পারে না।
সিইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএমে ভোটের আয়োজন হলে রাতে ভোট দেওয়ার ‘সুযোগ’ পাবে না। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক নির্দেশনা মোতাবেক জাতীয় কাজকে অপরিহার্য কর্তব্য মনে করেননি। ‘নৈতিকতা’ ও ’স্বাধীনতা’ কোনটার প্রয়োগ নির্বাচন কমিশন করতে পারেনি। বরং প্রতি পদে পদে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছে, প্রতিশ্রুতি লংঘন করেছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনী ব্যবস্থা আমাদের জাতীয় চরিত্র এবং মূল্যবোধকে ধ্বংসের শেষ সীমায় নিয়ে গেছে। ‘চুরি যাওয়া ভোটে’র কারণে রাষ্ট্র ক্রমাগত দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নির্বাচন কমিশনের অভিসন্ধি রাষ্ট্রের জন্য অভিশাপ।
ভোট দেয়াকে যিনি অধিকার মনে না করে ‘সুযোগ’ মনে করেন এবং ‘রাতে ভোট দেয়া’র সুযোগ ছিল বলে স্বীকার করেন তাঁর কাছ থেকে নৈতিক সবক শোনা জাতির জন্য লজ্জাকর। অনেকেই জানেন না দৃষ্টান্ত দিয়ে নৈতিক প্রত্যয়ের সৃষ্টি হয় না। ’নৈতিক প্রত্যয়’ ও ’নৈতিক বোধ’ ব্যক্তির বিবেকে ও মননে থাকতে হয়, তারপর জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দেখা যায়। দৃষ্টান্ত দিলেই নৈতিকতার অধিকারী হওয়া যায় না। নৈতিকতার আদর্শ ও ভিত্তি মানুষের যুক্তিবৃত্তির মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
কিছুদিন পূর্বে নির্বাচন কমিশন সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম ও পদবী বদল করার জন্য আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তখন কমিশনের তুঘলকী কর্মকাণ্ড নিয়ে মানবজমিন নিবন্ধ প্রকাশ হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন জানেইনা কোন আইন সংশোধন করতে পারে কেবলমাত্র মূল সংস্থা, অন্য কেউ না। নির্বাচন কমিশন আরো জানেনা, বাংলা ভাষা থেকে বিদেশি শব্দ বাদ দেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে নেই। যে কমিশন তার কর্মের সাংবিধানিক পরিসীমা জানেনা সে কমিশন কী করে জাতিকে সবক দেয়। এই যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নাম ও পদ-পদবীর নাম পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘ কয়েক মাস অনধিকার চর্চা করে সময় এবং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় করেছে এজন্য কমিশনকে অবশ্যই জবাবদিহিতায় আনা উচিত। নৈতিক অনুশাসন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার আগে নির্বাচন কমিশনের নিজের আত্মসংহতি পরখ করা উচিত।
আমাদের নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংক্রান্ত সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। জাতির আত্মমর্যাদাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে, মৌলিক অধিকারকে করুণাযোগ্য করে তুলেছে, কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কোন আত্মদহন নেই, অনুতাপ নেই এমনকি বিবেকের দংশনও নেই।
নির্বাচনে জড়িত প্রশাসন, পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবাই জানে জনগণের ভোট সুরক্ষা দেয়া যাচ্ছে না, জনগণকে প্রতারিত করা হচ্ছে, অসম্মানিত করা হচ্ছে এবং স্বাধীন দেশের নাগরিককে ক্রীতদাসে রূপান্তর করা হচ্ছে। তারপরও কমিশন একটি সত্য কথাও উচ্চারণ করার যোগ্যতা রাখে না। বরং কমিশনের কেউ দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতার কারণে ভুলেও পদত্যাগ করার সাহস পাননি। উপরন্তু কমিশন ‘চুরি যাওয়া ভোট’, ‘রাতের ভোট’ ইত্যাদি জঘন্যতম অন্যায় কে নিরঙ্কুশ অনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে, লজ্জাকে আড়ালে রেখে হাসি মুখে প্রশংসা করে যাচ্ছে এবং সফলতার বয়ান দিয়ে যাচ্ছে।
সিইসি দ্রুত ভোট গণনাকে সাফল্য হিসেবে দেখছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনের নেই বলে আক্ষেপ করছেন।
জনাব কে এম নুরুল হুদা সাহেবের বিদ্যমান দৃষ্টিভঙ্গী জাতি কোনদিন গ্রহণ করতে পারবে না। কারণ মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত রাষ্ট্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশের জনগণ কী ‘আকাঙ্ক্ষা’য় এবং কী ‘উদ্দেশ্যে’ বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটি পত্তন করেছিলেন তা সংবিধানের প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে আমাদের রাষ্ট্রের অন্যতম মূল লক্ষ্য হবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে…. যেখানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য স্বাধীনতা সুবিচার নিশ্চিত হইবে। এই ‘আকাঙ্ক্ষা’ ও ’উদ্দেশ্যে’ পরিবর্তন যোগ্য নয়। মুক্তিযোদ্ধা জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সরকার বা কমিশন পরিবর্তন করে ফেলতে পারবে এমন ধারণাও অযৌক্তিক ও অবাস্তব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি ভোট এবং প্রতিটি ভোট চরম যত্ন সহকারে গণনা করা হয়। নির্বাচনের দিনের ভোট, পোস্টাল ভোট, যে সকল নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে থাকে সেই প্রবাসীদের প্রতিটি ভোট গণনা করে জয় পরাজয় নির্ধারণ করা হয়। জয়-পরাজয়ের মালিক ‘ভোটার জনগণ’, সরকার নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দু-একটি রাজ্যে দশ দিন যাবত ভোট গণনা করেও চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে পারেনি। একটি ভোটও যেন গণনার বাইরে না থাকে.. একটি ভোটও যেন অবহেলার শিকার না হয় তার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হয়। নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে সংরক্ষিত নির্বাচন ব্যবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
আমাদের নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক কর্তব্য বিসর্জন দিয়েছে, বিসর্জন দিয়েছে কর্তব্যের নীতি; সুবিধাবাদী কর্মনীতি অনুসরণ করে নিজেদেরকে অধিকতর নিরাপদ রাখতে চেয়েছে.. অনৈতিক প্রশংসা করে বিপদ মুক্তির কৌশল গ্রহণ করেছে।
সিইসি মহোদয়ের কাছ থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বা অন্য কোন দেশের শিক্ষা নেয়ার কিছু নেই। তিনি নিরাপত্তা ও পদবীর সুরক্ষার স্বার্থে যেভাবে নৈতিক কর্তব্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন তা কারো জন্যই অনুকরণীয় হওয়া উচিত নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশন বাহ্যিক প্রভাব বা লাভ-লোকসান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়, শুধুমাত্র সংবিধান, বিবেক ও কর্তব্যবোধ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভুলেই গেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে আবিষ্কারের দেশ। ‘দ্রুত ভোট গণনা’র সুবিধার্থে শিক্ষা নেয়ার উপদেশ দিলেন সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে যার রয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানের সকল শাখাতেই অন্তহীন আবিষ্কার। এমনকি কম্পিউটার, ইন্টারনেট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এ.আই) এবং আইসিটি ইত্যাকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই আবিষ্কার, ফেসবুক-গুগল এর অবস্থান সেখানেই, যে দেশের ঘরে ঘরে কম্পিউটারসহ নানা প্রযুক্তির সমাহার। ভোট গ্রহন ও ভোট গণনায় ‘ইভিএম’’ সহায়তাপূর্ণ হতে পারে এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বোঝে না, এ উপলব্ধি শুধুমাত্র আমাদের নির্বাচন কমিশনেরই থাকতে পারে পৃথিবীর আর কারো নেই। বরং ইভিএম যে শঠতাপূর্ণ হতে পারে তা মার্কিন নীতি নির্ধারকগণ এবং জনগণ বোঝে। এমনকি ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বা তার প্রশাসন ‘ক্ষমতা’ আরও চার বছরের জন্য বহাল রাখার নানান কৌশল গ্রহণ করলেও ইভিএমকে কোন কৌশল হিসেবে বেছে নেন নি কারণ তারা জানেন মার্কিন নীতি নির্ধারক এবং জনগণ তা মেনে নেবে না। অনেকে তাকে খ্যাপাটে মনে করলেও এতটা উন্মাদ তিনি নন।
আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্য আমাদের নির্বাচন কমিশন এখনো নৈতিকভাবে উপযোগী নয়। মহৎ কিছু অর্জন করতে হলে আগে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে হয়।
দুদিন আগে বাংলাদেশের দুটি সংসদীয় আসনে উপনির্বাচন হয়ে গেল। ভোটারের উপস্থিতি ছিল নগণ্য। ভোটার জানে তার ভোট দেবার কোন অধিকার নেই, তার ভোটের কোনো মূল্যও নেই। তাই তারা উপস্থিত হননি। এই সহজ সত্যটা প্রধান নির্বাচন কমিশনার বোঝেন না। তাই তিনি বলতে পারেন ভোটারের উপস্থিতি কম কেন তা তিনি জানেন না। অপরদিকে করোনার ভয়াল থাবায় বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বকালের সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতিতে সাম্প্রতিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেল। কোন কিছুই ভোটারদের ভোট প্রদান থেকে বিরত রাখতে পারেনি, এমনকি সর্বগ্রাসী করোনাও। ভোট প্রদান যেমন সেখানে গুরুত্ব পেয়েছে, প্রদত্ত প্রতিটি ভোট গণনাও সেখানে সমানভাবেই গুরুত্ব পেয়েছে। ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার উদ্দেশ্যে যেনতেন প্রকারে লোকদেখানো নির্বাচন অনুষ্ঠান তাদের লক্ষ্য ছিল না। নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতা দ্রুত সম্পাদনের চেয়েও নির্বাচনের মর্মবস্তু (content) এর সঠিকতার তথা জনগণের ‘ইচ্ছার প্রতিফলন’ এর গুরুত্ব সেখানে বেশি ছিল। এটাই যথার্থ। আমাদের নির্বাচন কমিশনের সেই উপলব্ধি আছে কি?
তাই, আমাদের দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারগণ ভোট প্রদানে বিরত থেকে এ বার্তাই দিচ্ছেন যে ভোটাভুটি ও ভোটগ্রহণের নামে যা হচ্ছে তা সঠিক নয়, এটা প্রহসন, এ ব্যবস্থা তারা প্রত্যাখ্যান করছেন। ভবিষ্যতে যখনই সুযোগ আসবে তখনই জনগণ এই নির্বাচন কমিশনসহ তার গৃহীত সকল ব্যবস্থাদি ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করবেন। ইতিহাস শিক্ষা দেয়, জনগণ যা চায় তাই হয়।
কোন দৃষ্টান্ত গ্রহণ করা প্রসঙ্গে কান্ট বলেছেন আমি নিজে মিথ্যা, প্রতারণার আশ্রয় গ্রহণে রাজি হলেও সমস্ত লোক অনুরূপ প্রতারণা নীতি অনুসরণ করুক তা আমি চাইতে পারি না, তার কারণ যদি এই হয় যে, সকলেই আমার মত প্রতারণা শুরু করলে যে লাভের আশায় আমি প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছিলাম সে লাভ-অনতিবিলম্বে লোকসানে পরিণত হবে-শেষে আমাকে প্রতারণা শুরু করবে।
ভোট হচ্ছে জনগণের ‘আমানত’। জনগণের আমানতকে নির্বাচন কমিশন আমানত হিসেবে গ্রহণ করার পর সে আমানতকে খেয়ানত করা আত্ম বিরোধী কর্মপন্থা এবং রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড। আমানত কেন নৈতিক ও অপরিহার্য তার ব্যাখ্যাদান প্রসঙ্গে কান্ট বলেন আমানতের খেয়ানত নীতি আত্মঘাতী এই কারণে যে, মানুষ যদি এমনিভাবে বিশ্বাসে গচ্ছিত ধনকে আত্মসাৎ করে তাহলে অবশেষে দেখা দেবে যে, বিশ্বাসের ভিত্তিতে মানুষ কখনোই আর আমানত রাখবে না। এর ফলাফল সমাজ হিতকারী নয়।
নির্বাচন কমিশন জনগণের আমানতকে আত্মসাৎ করেছেন, আস্থাকে ধ্বংস করেছেন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব কর্তব্য থাকা সত্ত্বেও জনগণের প্রতি যে উদাসীনতা অবহেলার নীতি অনুসরণ করেছেন, একদিন তারা নিজেরাই অবহেলার শিকারে পরিণত হবেন, মানুষের আকাঙ্ক্ষিত সহানুভূতি ও শ্রদ্ধা থেকে নিজেদেরকে বঞ্চিত করবেন।