অনলাইন ডেস্ক : নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য যে সার্চ কমিটি করা হয়েছে, তা বিএনপি মানে না বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এসবে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। ইসি গঠন বা সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া এগুলোর কোনো মূল্য নেই। আওয়ামী লীগ তাদের মতো করেই সব নাম দিয়ে দেয়। নির্বাচন কমিশন ও সার্চ কমিটি যদি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে হয় এটা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না।
আজ শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ী এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সার্চ কমিটিতে কাদের নাম দিয়েছে? সার্চ কমিটিতে যাকে প্রধান করা হয়েছে তিনি নিজেই আওয়ামী লীগের নমিনেশন চেয়েছিলেন। সার্চ কমিটির প্রধানের বাবা ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য এবং তার ভাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সচিব ছিলেন। সুতরাং তার কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করা যায় না।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ওবায়দুল কাদেরের সমস্যা হচ্ছে যে ওনারা কোনোদিন নিজের চেহারাটা দেখেন না। মানুষের যে ভাষা, এটা তারা বোঝেন না। এখন পর্যন্ত তারা যে গত দুটো নির্বাচন করেছেন অর্থাৎ ১৪, ১৮ এবং মাঝখানে যে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন হয়ে গেছে কোনোটাই সুষ্ঠুভাবে হয়নি।
‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকে তারা সবসময় নির্বাচন কমিশনকে দখল করে নেয় এবং তারা তাদের মতো করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করে। যে কারণে ২০১৪ সালে শুধু বিএনপি নয়, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট করেছিল। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের রাতেই তারা ভোট করে নিয়ে চলে গেছে। সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সিল-ছাপ্পর মেরে তারা করেছে’-যোগ করেন ফখরুল।
স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে গোলাগুলি হয়েছে। শতাধিক মানুষ হতাহত হয়েছেন। ফলে নির্বাচন ব্যবস্থাটার ওপর মানুষের আস্থা চলে গেছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা চলে গেছে। সুতরাং এখানে সার্চ কমিটি বা নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেটা গুরুত্বপুর্ণ সেটা হলো নির্বাচনকালীন সময়ে কোন ধরনের সরকার থাকবে। যদি দলীয় সরকার থাকে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ যদি থাকে তাহলে কখনো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমানসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।