অনলাইন ডেস্ক : গুণগত ও মানসম্পন্ন ওষুধ সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সারা দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি ফার্মেসি চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সায়েদুর রহমান। তিনি জানান, বহুল ব্যবহৃত ২৫০ ধরণের ওষুধ মিলবে এসব ফার্মেসিতে। এসব ফার্মেসিতে ওষুধ কেনা যাবে তিন ভাগের এক ভাগ দামে।
মঙ্গলবার (০৮ এপ্রিল) অধ্যাপক সায়েদুর রহমান গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে ল্যাব সার্ভিস আছে, অন্য প্রাইমারি হেলথকেয়ার সার্ভিস আছে কিন্তু কোথাও কোনো ফার্মাসিউটিক্যাল সার্ভিস নেই। এটা হবে একটা নতুন বন্দোবস্ত, যা চালু করতে হবে। সরকারি যত হাসপাতাল এবং ক্লিনিক আছে, সেখানে এই ফার্মেসি করা হবে।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে সরকারি ফার্মেসির বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ওষুধ চুরি ঠেকানো। তাই, পুরো ব্যবস্থা ডিজিটাল করা হবে। অধ্যাপক সায়েদুর রহমান বলেন, বছরে ১৩শ কোটি টাকার ওষুধ কেনে সরকারি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি-ইডিসিএল। এবার থেকে বাজেট বাড়বে । প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি পরিমাণে কেনা হবে ওষুধ। বাড়ানো হবে সরকারের উৎপাদন সক্ষমতাও।
দেশে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগে কয়েক কোটি মানুষ আক্রান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, একজন রোগীর গড় চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৪ ভাগই যায় ওষুধ কেনার পেছনে। ফলে, ওষুধ কিনতে গিয়েই প্রতি বছর দরিদ্র হন অনেক রোগী।
এসব রোগীর কথা চিন্তা করে এবার তিন ভাগের এক ভাগ দামে ওষুধ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।