অনলাইন ডেস্ক : রাশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিখাইল কাসিয়ানভকে ‘বিদেশি এজেন্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মস্কো। মূলত রুশ বিচার মন্ত্রণালয় কাসিয়ানভকে তাদের ‘বিদেশি এজেন্টদের’ তালিকায় যুক্ত করেছে।
সাধারণত ক্রেমলিন বিরোধীদের দমন করার জন্য রাশিয়ায় এই ধরনের উপাধি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। রোববার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্পষ্টবাদী সমালোচক হিসেবে পরিচিত মিখাইল কাসিয়ানভ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় রুশ আগ্রাসন শুরুর পরপরই রাশিয়া ত্যাগ করেছিলেন তিনি।
বিবিসি বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রথম মেয়াদে ২০০০-২০০৪ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছিলেন মিখাইল কাসিয়ানভ। কিন্তু ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা করেছেন তিনি।
উদার আর্থিক বিশেষজ্ঞ এই রুশ রাজনীতিক এখন রাশিয়ার বাইরে নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ক্রেমলিনের অনেক সমালোচক এবং সুশীল সমাজের বহু ব্যক্তি রাশিয়ায় ‘বিদেশি এজেন্ট’ তালিকায় রয়েছেন। অতীতে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিতদের বোঝাতে এই উপাধিটি ব্যবহার করা হতো।
‘এজেন্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের সোশ্যাল মিডিয়াসহ তাদের প্রকাশনাগুলোতে তাদের ‘বিদেশি এজেন্ট’ স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং কর্তৃপক্ষকে তাদের তহবিলের উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত আপডেট দিতে হবে। এছাড়া রাশিয়ান রাজনৈতিক জীবনেও তাদের অংশগ্রহণ সীমিত।
রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় বলেছে, মিখাইল কাসিয়ানভ ‘ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযানের বিরোধিতা করেছিলেন’ এবং ‘রাশিয়ান যুদ্ধবিরোধী কমিটির সদস্য ছিলেন। এই সংস্থাটির কার্যক্রম রাশিয়ার পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নীতিকে অসম্মান করার লক্ষ্যে পরিচালিত হয়’।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসে কাসিয়ানভের নেতৃত্বাধীন পার্টি অব পিপলস ফ্রিডম (পার্নাস)-কে দমনের আদেশ দেয় রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। ছোট উদারপন্থি এই বিরোধী দলে অতীতে বরিস নেমতসভ নামে এক নেতা ছিলেন।
তিনি ছিলেন পুতিন বিরোধী সবচেয়ে সোচ্চার সমালোচকদের একজন। ২০১৫ সালে ক্রেমলিনের কাছে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।