অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। ইতিমধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন সাত কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার। রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাটিক কমলা হ্যারিসের মধ্যে টানটান প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। কাউকেই কারও চেয়ে কমিয়ে দেখার সুযোগ নেই। দুই প্রার্থীর পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতা দমনে নির্বাচনের দিন এবং পরে সুরক্ষা জোরদারে বিভিন্ন পদক্ষেপ দেওয়া হচ্ছে। সবশেষ খবরে জানা গেছে, শান্তি বজায় রাখতে এখন পর্যন্ত ১৯টি অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে বেশি দৃষ্টি থাকবে ব্যাটলগ্রাউন্ড বা সুইং স্টেটগুলোর দিকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজ্য হলো নেভাদা। ২০২০ সালের নির্বাচনের পর সেখানে বিক্ষোভ করেছিলেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তাদের কাউকে কাউকে সশস্ত্র অবস্থায় দেখা গেছে। সেখানে বেশ কিছু ভোট গণনা সেন্টারের চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অ্যারিজোনার শেরিফ তার বিভাগকে উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছেন। যদি বড় কোনো সহিংসতা দেখা দেয় তাহলে ড্রোন এবং স্নাইপারকে প্রস্তুত রেখেছেন।
অ্যারিজোনার কাউন্টি শেরিফ রাস স্কিনার বলেছেন, হুমকি ও সহিংসতার জন্য তার বিভাগ ‘উচ্চ সতর্কাবস্থায়’ আছেন এবং তিনি কর্মীদের দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ২০২০ সালে ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য মিশিগানে ট্রাম্প সমর্থকরা ডাউনটাউন ডেট্রয়েট কনভেনশন হলে নেমে আসে। তারা জানালায় আঘাত করতে শুরু করে। এই বছর সেখানে মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। প্রায় ১৫ জন পুলিশ অফিসার হলটিতে টহল দিচ্ছেন।
এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়্যার, আইওয়া, ইলিনয়, নর্থ ক্যারোলাইনা, নিউ মেক্সিকো, ওরেগন, উইসকনসিন ও ওয়াশিংটন রাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মিশন রয়েছে এবং ওয়াশিংটন ডিসি, কলোরাডো, ফ্লোরিডা, হাওয়াই, নেভাদা, ওরেগন, পেনসিলভেনিয়া, টেনেসি, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ায় সেনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।